ফরিদপুর শহরতলীর কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করতে গিয়ে সহপাঠীদের বাধার কবলে পড়ে অপহরণকারী ও তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস। এ সময় অপহরণকারীদের দুইজনকে আটক করে গণধোলাই দেওয়া হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত এলাকাবাসী ও ছাত্রীর সহপাঠীরা মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ আটক করা দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুর পৌরসদরের কোমরপুর এলাকার আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন এলাকায়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, সোমবার সকালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি মাইক্রোবাসে করে আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সাহসিকতার সঙ্গে ওই ছাত্রীর সহপাঠী ও স্থানীয়রা স্কুল মাঠের মধ্যে মাইক্রোবাসটি গতিরোধ করে। এ সময় দুইজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে ক্ষুব্ধ সহপাঠী ও স্থানীয়রা মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আটককৃতরা হলেন– ফরিদপুর সদর উপজেলার ইশান গোপালপুর ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে মামুন (৪০) ও শহরের গোয়ালচামট এলাকার বাদশা মোল্লার ছেলে আলমগীর (৫২)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল বলেন, একটি মাইক্রোবাস নিয়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ওই স্কুলের এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করে। সহপাঠীদের বাধার মুখে তারা ব্যর্থ হয়। সে সময় দুইজনকে আটক করে গণধোলাই দেন স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি আগুন ধরিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণ। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।