নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পোস্ট অফিস থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরত্বে একটি রেজিস্ট্রি চিঠি পৌঁছাতে সময় লেগেছে পুরো এক মাস। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে নানা সমালোচনার ঝড় ওঠে।
শুক্রবার বিকালে নেত্রকোনা জেলা পোস্ট অফিস পরিদর্শক আবু হেনা মুনাফিক করিমকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বলেন, মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য আমরা অনেক পরিশ্রম করি। যথাসময়ে চিঠি পৌঁছানোই নিয়ম। গ্রহণ করার কাউকে না পেলে বা কেউ গ্রহণ না করলে চিঠি ফেরত যাবে। তবে এমন ঘটনা আমাদের ঐতিহ্যবাহী ডাক বিভাগের জন্য বিব্রতকর। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট নেত্রকোনা শহরের কোর্ট স্টেশন পোস্ট অফিস থেকে একটি চিঠি রেজিস্ট্রি করা হয়। বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠির গন্তব্য বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৭ আগস্ট চিঠিটি মোহনগঞ্জ প্রধান ডাকঘরে এসে পৌঁছে। কিন্তু সেই চিঠি তিন কিলোমিটার দূরত্বের ওই বিদ্যালয়ে পৌঁছে ৭ সেপ্টেম্বর। এত স্বল্প দূরত্বে একটি চিঠি পৌঁছতে এক মাস সময় লাগায় পোস্ট অফিসে কর্মরতদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা।
বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়ার বিষয়ে আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছিল। দেরিতে চিঠি পাওয়ায় তিনি এর জবাব দিতেও দেরি করেছেন। তবে পোস্ট অফিসের এমন গাফিলতি দুঃখজনক।
মোহনগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম রতন বলেন, একটি রেজিস্ট্রি চিঠি তিন কিলোমিটার দূরে পৌঁছাতে এক মাস সময় লেগেছে। এটি পোস্ট মাস্টার ও পিয়নসহ সংশ্লিষ্ট সবার গাফিলতি। এতে করে ডাক বিভাগের প্রতি মানুষ আস্তা হারাবে।
মোহনগঞ্জ প্রধান ডাক ঘরের পোস্ট মাস্টার মো. ওবায়দুল হক জিকু বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। পিয়ন চিঠি নিয়ে যথা সময়ে গিয়েছিলেন কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে পাননি। পরে ফোনে তিনি চিঠিটি পরে অফিস থেকে নিবেন বলে জানান। পরে এটি নিতে দেরি করে ফেলেছেন। আর এ বিষয়ে প্রেরকের কোনো অভিযোগও এখনো পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রধান ডাক ঘরের পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহার বলেন, এমন দুই একটি ঘটনা ডাক বিভাগের জন্য বিব্রতকর।