চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্তে মাথাভাঙ্গা নদীতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ৬৮টি স্বর্ণের বারের ভারে ডুবে মিরাজ মণ্ডল নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে নাস্তিপুর সীমান্তের ৮০ নম্বর পিলারে কাছে এ ঘটনা ঘটে। বিকাল ৪টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে ১০ কেজি স্বর্ণ পাওয়া যায়।
মিরাজ মণ্ডল (১৯) উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের ভাটপাড়ার ইয়াসিন মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয়রা ও বিজিবি সূত্র জানায়, রোববার দুপুরে দামুড়হুদা সীমান্তের নাস্তিপুর গ্রামের মিরাজ মণ্ডল তার শরীরে স্বর্ণ বেঁধে কলার ভেলায় করে মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে ভারতে যেতে যান। এ সময় মাথাভাঙ্গা নদীর মাঝখানে পৌঁছলে তার কাছ থেকে নদীর স্রোতে কলার ভেলা সরে যায়। এতে প্রায় ১০ কেজি স্বর্ণের ভারে পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন। বিকাল ৪টার পর স্থানীয়রা বিজিবি, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় মাথাভাঙ্গা নদীতে অভিযান চালিয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন।
মিরাজের শরীরে বাঁধা কাপড়ের ৪টি পুটলিতে ছোট–বড় ৬৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বিজিবি। যার ওজন ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম। আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি ২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোববার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি দামুড়হুদা উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে স্বর্ণের একটি বড় চালান পাচার হবে। খবর পেয়ে নাস্তিপুর সীমান্তে গাংপাড়ায় বিজিবি সদস্যরা অবস্থান নেন। দুপুরে স্থানীয়রা খবর দেন মিরাজ তার শরীরে স্বর্ণের বার নিয়ে মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছে। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। বিকাল ৪টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। রাতেই স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে চালানপূর্বক দর্শনা থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।