শিক্ষার্থীরা অনেক সময় স্কুল–কলেজে কিংবা প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। জানা থাকলে তারা সহজে উত্তর দিতে পারেন। আর জানা না থাকলে লজ্জায় পড়তে হয় বা শিক্ষকদের কাছ থেকে অনেক কথা শুনতে হয়। তাই জানতে হলে তাদের প্রচুর পড়তে হবে। আজকের আলোচনার বিষয় হলো গণিতের জনক কে? অর্থাৎ কাকে গণিতের জনক বলা হয় এবং তার নাম কি? যদি কেউ গণিতের জনক সম্পর্কে না জেনে থাকেন তবে এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণ পড়ুন, সহজেই জেনে যাবেন।
গত কয়েক শতকে গণিতের প্রচুর উন্নতি হয়েছে। তবে এ কথা একেবারেই ভুল নয়, গণিতের ইতিহাস মানব সভ্যতার মতোই প্রাচীন।
অনেক গণিতবিদ ছিলেন এবং বর্তমানেও আছেন যারা গণিতের বিকাশে অবদান রেখেছেন কিন্তু দুঃখের কথা এটাই যখন প্রশ্ন আসে, গণিতের জনক কে? অনেকেই এ সম্পর্কে জানেন না। তাই এ নিবন্ধে গণিতের জনক কে এবং গণিত সম্পর্কিত খুঁটিনাটি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে।
গ্রিক গণিতবিদ আর্কিমিডিসকে গণিতের জনক বলা হয়। যিনি ছিলেন প্রাচীনকালের সর্বোৎকৃষ্ট গণিতবিদ। তিনি তার সময়ে গণিতে অনেক অবদান রেখেছেন যা আজও প্রয়োগযোগ্য এবং প্রবাহমান। আর এ জন্যই আর্কিমিডিসকে ‘গণিতের জনক‘ বলা হয়ে থাকে। আর্কিমিডিস তার অনেক তাৎপর্যবহ নিপুণত্বের জন্য প্রসিদ্ধ। যেমন– আর্কিমিডিস নীতি, আর্কিমিডিস পিচ, ফ্লুইড স্ট্যাটিক্স, লিভার, মাইক্রোস্কেল ইত্যাদি যা এখনো ব্যবহৃত হয়। গণিতে তার অবিনশ্বর অবদানের জন্য তাকে ‘গণিতের জনক‘ বলা হয়। আর্কিমিডিস যখন সিরাকিউসের রাজা দ্বিতীয় হিরোর সেবায় ছিলেন তখন তাকে গণিতের জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মূল কারণ ছিল, গণিত এবং বিজ্ঞানে তার অসাধারণ উদ্ভাবন।
আর্কিমিডিস খ্রিস্টপূর্ব ২৮৭ সালের দিকে সিসিলি ম্যাগনা গ্রেসিয়ার সিরাকিউসে একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি গণিত, বিজ্ঞান, কবিতা, রাজনীতি এবং সামরিক কৌশলের প্রতি খুব অনুরাগী ছিলেন। এই আগ্রহের জন্য তিনি মিশরের গণিতের স্কুলে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং রহস্যঘেরা গণিত ও বিজ্ঞানের সন্ধানে তার পুরো জীবন অতিবাহিত করেন। তার রচিত বই এবং গবেষণা কাজ থেকে জানা যায় যে, আলেকজান্দ্রিয়া, মিশরের অনেক পন্ডিতদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। তিনি ইরাটোস্থেনিস এবং কননের মতো বিশিষ্ট গণিতবিদদের সঙ্গে চিঠিপত্রের আকারে তার কাজগুলো প্রকাশ করেছিলেন।
আর্কিমিডিসের প্রাথমিক জীবন অনেক বৈচিত্র্যময় হলেও দুর্ভাগ্যবশত তার জীবন সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায়নি। কারণ, তার জীবনী যা হেরাক্লিডিস লিখেছিলেন, তা হারিয়ে গেছে। যে কারণে আজ অবধি তার প্রাথমিক জীবন, পরিবার, বিবাহের অবস্থা বা সন্তান সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।