রংপুর চিড়িয়াখানার সঙ্গে প্রাণী বিনিময় করেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। রংপুর চিড়িয়াখানায় এক জোড়া বাঘ দিয়ে এক জোড়া জলহস্তী নিয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম ধাপে ১২ বছর বয়সি একটি পুরুষ জলহস্তী এ চিড়িয়াখানায় পৌঁছেছে। এতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে সপ্তাহখানেক পর আরও একটি জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আসবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় চট্টগ্রাম থেকে পাঠানো হয় রোমিও–জুলিয়েট নামে এক জোড়া বাঘ। লাল কাপড়ে মোড়ানো লোহার দুটি খাঁচায় ঢুকিয়ে বাঘ দুটি নিয়ে যাওয়া হয় রংপুরে।
ট্রাকে ভরে রংপুর থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয় জলহস্তী। এখানে কুমির রাখার জায়গায় তৈরি করা হয়েছে নতুন অতিথি জলহস্তীর বাসস্থান। আনার পরপরই এখানে রাখা হয় জলহস্তীটি। কুমিরের খাঁচা তৈরি করা হয়েছে পাহাড়ের পশ্চিম পাশে লেকের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চিড়িয়াখানার সভাপতি আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের নির্দেশনায় বাঘের বিনিময়ে চিড়িয়াখানায় জলহস্তী আনা হয়েছে। একটি জলহস্তী এসেছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে আরও একটি আসবে।
তিনি বলেন, জলহস্তী স্তন্যপায়ী তৃণভোজী প্রাণী। একটি প্রাপ্তবয়স্ক জলহস্তীর ওজন গড়ে ১ হাজার ৫০০ কেজি হয়ে থাকে। এ প্রাণীর খাবার ঘাস–পাতা ও বিভিন্ন ধরনের ফলমূল। জীবনকাল ৩০ থেকে ৪০ বছর।
১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ৬ একর পাহাড়ি জমির ওপর গড়ে তোলা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি জলহস্তীসহ এখন পর্যন্ত মোট ৬৯ প্রজাতির ৬ শতাধিক পশু–পাখি রয়েছে। চলতি বছর ১৬ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় এক জোড়া সিংহ। একই সময় আনা হয় চার জোড়া ওয়াইল্ড বিস্ট। বর্তমানে এ চিড়িয়াখানার জমির পরিমাণ ১০ দশমিক ২ একর।