গেল কোরবানীর ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে যানজট নিরসনে বিকল্প সড়ক হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি নির্মাণ ও কিছু অংশে সংস্কার করে এলজিইডি। এতে উত্তরের ঈদ যাত্রা যানজটমুক্ত রাখতে এই সড়কের বেশ ভূমিকা ছিল বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু সেতু বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সিরাজগঞ্জ এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০২৩–২৩ অর্থ বছরে গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় তিনটি স্কিমে এই সড়কের অধিকাংশ নির্মাণ ও কিছু অংশে সংস্কার করা হয়। সাড়ে ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি নির্মাণ ও সংস্কারে ব্যয় হয় ১৭ লক্ষ ৩৭ টাকা। সড়কটি নির্মাণে খুশি স্থানীয়রা।
সড়কে চলাচলকারী ভ্যানচালক হযরত আলী, শাহ আলম, জহুরুল ইসলাম বলেন, এই সড়ক দিয়ে আগে যাত্রী অথবা মালামাল বহন তো দূরের কথা, খালি ভ্যানই টেনে নেওয়া খুব কষ্টকর ছিল। আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল এই সড়কটি পাকাকরণ করার। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর কোরবানীর ঈদের আগে সড়কটি পাকা করে দিয়েছে এলজিইডি। আগে বড়ধুল থেকে এই এলাকায় দিনে একবার আসা যেত, এখন দিনে অন্তত ৬ বার আসা যায়। এতে আমাদের আয় আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। এমন কি অনেক আরামে এই সড়কে ভ্যান চালাতে পারি।
উপজেলার বড়ধুল গ্রামের ধান ব্যবসায়ী পলাশ শেখ বলেন, ঝাঐল ওভারব্রিজের পশ্চিম পাশের এই সড়কটি নির্মাণের আগে আমরা মহাসড়কে ধান রেখে সেখান থেকে মাথায় করে গুদামজাত করেছি। এতে আমাদের কয়েকগুণ বেশি খরচ হতো। কিন্তু বর্তমানে এই সড়কটি নির্মাণের ফলে ট্রাকে ধান নিয়ে সরাসরি গুদাম ঘরে যাওয়া যায়। এতে আমাদের খরচ কমার পাশাপাশি ব্যাপক সুবিধা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর দায়িত্বে থাকা সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল হক পাভেল বলেন, গত কোরবানীর ঈদে উত্তরের যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে ঝাঐল ওভারব্রিজের পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে এলজিইডির কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলে তারা জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি নির্মাণ ও কিছু অংশে মেরামত করে দেন। এতে ঈদের আগে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লে এলজিইডির নতুন নির্মিত বিকল্প সড়ক নিয়ে ছোট ছোট সব যানবাহন চলাচল করানো হয়। এতে গেল কোরবানী ঈদে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমে যানজট ছিল না বললেই চলে।
সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, বহুদিন ধরে ভারাঙ্গা কবরস্থান থেকে ঝাঐল ওভারব্রিজের পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ ও কিছু অংশে সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিল এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবি ও ঈদের আগে যানজট নিরসনে সড়ক বিভাগ এবং বঙ্গবন্ধু সেতু বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুরোধে সড়কটি নির্মাণ ও কিছু অংশে মেরামত করা হয়। এতে গেল ঈদে এই সড়ক দিয়েই প্রচুর ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করে। এতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কমায় ঈদে তেমন যানজটের সৃষ্টি হয়নি। এ ছাড়াও দীর্ঘ ভোগান্তির পর সড়কটি নির্মাণে এলাকাবাসীদের মধ্যেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।