কেউ কি দিবালোকে প্রদীপ জ্বালায়? আলো অমানিশা দূর করে, মানুষের চলার পথ সচ্ছল করে। যে সমাজ মিথ্যাচারে সম্পূর্ণ ডুবে আছে তেমন সমাজের জন্য অপরিহার্য হলো জলন্ত প্রদীপ, যা নিয়ত জ্বলে জ্বলে সমাজটিকে আলোকময় করে রাখবে।
প্রচার প্রচারণা চালানো হয় বর্তমানের জন্য, বর্তমানের প্রচার বা হেদায়েত অতীতের কোনো পূজোয় লাগে না। বক্তাগণ তাদের ধর্মোপদেশ ভারী করার জন্য পূর্বাপর অনেকগুলো রেফারেন্স সংযোজন করে, যা সকলের পক্ষে, সমভাবে বহন করা সহজ হয়ে ওঠে না। অনেক ডাক্তার আছেন যারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঔষধ লিখে দিয়ে প্রেসক্রিপশন কঠিন করে তোলে, আসল কথা হলো রোগীকে সুস্থ করে তোলা।
একইভাবে গুনাহগারদের নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য মসিহ সোজা সাপটা কথা বলেছেন, “পাপ থেকে মন ফিরাও” “তোমার পাপ ক্ষমা করা হলো” “অদ্যই তুমি আমার সাথে পরমদেশে যাবে।” “লাসার বের হয়ে এস।” “খাটিয়া তুলে লও” “নতুন করে জন্ম না নিলে কেহই খোদার রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারবে পারবে না।” তোমাদের বিশ্বাস এত অল্প কেন।
মসিহের মানবরূপে আবির্ভাবের পূর্বে তিনি ক্ষমতাধর কালাম বা বাক্য হিসেবে ছিলেন, ছিলেন পাকরূহ হিসেবে। তিনি যেমন আদিতে ছিলেন, একইভাবে বর্তমানেও আছেন এবং অনন্তকাল জুড়ে তিনিই পতীত আদমের একমাত্র ভরসাস্থান।
অতীতের পিতর আমাদের মনে সাহস ও উৎসাহ যোগাতে পারে, তবে যিনি পিতরকে মুক্তপাপ করেছেন তিনিই রয়েছেন বর্তমানে আমাদের নতুনভাবে সৃষ্টি করার জন্য। পৌল বা পিতর আমাদের মুক্তিদাতা হতে পারেন না, তবে যারা মসিহে নিবেদিত ছিলেন এবং যে পাকরূহের অভিষেকের ফলে তাদের জীবনকর্মে এসেছে আমুল পরিবর্তন, সেই পাকরূহের কাছে আমাদের অপরিহার্য, আর খোদ মসিহ হলেন সেই অদেখা পিতার একক হুবহু পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ (গালাতীয় ১ : ১৫)। তিনি ছিলেন, তিনি থাকবেন এবং বর্তমান জুড়ে আছেন বিদ্যমান।
মামা–ভাগ্নের গল্প গেয়ে কোনো লাভ নেই। মসিহ যথার্থ বলেছেন (ইউহোন্না ১০ : ১০) মসিহের মধ্যে সকল বৈষম্য দূরভুত (গালাতীয় ৩ : ২৮) মসিহের মধ্যে অবস্থানের ফলেই পাকরূহের ফল প্রষ্ফুটিত হয়।
প্রত্যেক যুগে তদানিন্তন সমাজ আলোকিত করেছে প্রভুতে মনোনীত সন্তানেরা যাদের বিষয়ে ইতিহাসের পাতা থেকে আজ আমরা জানতে পারছি, উক্ত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে আমাদের দায়িত্ব বর্তমানকার পিতরদের উৎসাহ যোগানো; যেন তারাও ভবিষ্যতের পিতরদের জন্য প্রেরণার কারণ হতে পারে।
পুরাতন পিতরদের নিয়ে আমাদের সময় দিতে হবে ৫শতাংশ আর বর্তমানকার পিতরদের জন্য সেবা, প্রার্থনা ও সার্বিক সহযোগীতা দিতে হবে ৯৫%ভাগ।