অপেক্ষা করছিলাম পাসপোর্ট অফিসে নবায়ন করা পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য। আমার মত অনেক নর-নারী অপেক্ষায় আছে, বসার আসন খালী পাওয়া বেশ সময়ের ব্যাপার। ভাগ্যক্রমে পেয়ে গেলাম একটা, কালবিলম্ব না করে বসে পড়লাম।
আমার পাশে সমাসীন ভদ্রলোক বৈষম্য নিয়ে আলাপ করছিলেন। তিনি হয়তো বৈষম্যের শিকার অথবা ভুক্তভোগী। তার বর্ণনা শুনার পর আমি আলাপে অংশ নেবার জন্য অনুমতি চেয়ে নিলাম। প্রথমে আমি বললাম, বৈষম্য দূর করতে হলে সর্বপ্রথম যা করা অত্যাবশ্যক তা হলো স্বীকৃতি, যার অর্থ হলো, আমরা সকলেই যে মানুষ তা আপত্তি বিনে অবশ্যই মেনে নিতে হবে।
মানুষের সাথে মানুষের যে বৈরিতা চলে আসছে প্রথম জোড়া মানুষ থেকে, তা অবশ্যই অপসারণ করতে হবে। মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য, হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়েছে তা হলো কেবল পাপ ও খোদাদ্রোহীতার কুফল ও ক্ষতিকারক প্রভাব। হৃদাভ্যন্তরে পাপ পুষে রেখে বাহিরে সাধুর ভূমিকা পালন করা হবে কপটতা, অন্যায়-অপরাধ; আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে কখনোই অমন মরণব্যাধী আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে দূর করা সম্ভব নয়। অনেক সময় বাহিরের দিকটা সাদা ধবধবে অর্থাৎ বিনয়ী ও মার্জিত দেখা গেলেও ভিতরে লুকানো থাকে লোভ ও স্বার্থপরতা; তেমন ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে চুনকাম করা সাদা কবরের সাথে তুলনা করা চলে। বাহিরে সাদা হলেও কবরের ভিতরে থাকে পুতিগন্ধময় হাড়গোড়। তাই ভিতরে তেমন পৈশাচিক মন্ত্র ও লালসা নিয়ে বাহিরের আচরণ ভদ্র কেতাদুরস্ত রাখলে তাতে সমস্যার সমাধান কতটা হতে পারে বলুন? আমাদের জানতে হবে সেই পরম সত্ত্বাকে যিনি স্বীয় সুরতে মানুষ সৃষ্টি করলেন। উদ্দেশ্য হলো বাতেনী খোদার সকল গুনাবলী প্রকাশ্যে প্রকাশ করা।
দুঃখজনক হলেও বিষয়টি পরম সত্য; মানুষ ইবলিসের প্রতারণায় পড়ে খোদা দত্ত সেই অধিকার ও গুনাবলি ইতোপূর্বে হারিয়ে বসেছে। মানিব্যাগে মানি নেই তা কেনাকাটা করবেন কেমন করে?
মানব আকৃতির ভিতরে যদি মানবতাই না থাকলো, তথা মহামানবের অর্থাৎ মানুষের নির্মাতা প্রেমের পারাবার খোদার পরশ না পেয়ে থাকে, তবে তেমন মানুষটি কেবল ভিন্ন মানুষই রয়ে গেল, যাকে বলে ভুতাশ্রিত মানুষ যে কিনা স্বীয় সহোদর ভ্রাতা হাবিলকে বধ করে নিজের হাত রাঙ্গিয়ে নিয়েছে। তাকে একটা খুনি ছাড়া আর কি বলা যাবে। তাই কোনো খুনির মধ্যে প্রেম সহমর্মীতা যে থাকতে পারে না তা জ্ঞানির পক্ষে উপলব্ধি করা কঠিন বিষয় হবার কথা নয় “ভাইকে যে ঘৃণা করে সে খুনী। কোন খুনীর মধ্যে যে অনন্ত জীবন থাকে না, তা তোমাদের অজানা নেই” (১ম ইউহোন্না ৩ : ১৫)।
পাপ মানুষের মধ্যে খোদার পবিত্রতা ও প্রেমবিরোধী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে রেখেছে, যেগুলো হলো: জেনা, নাপাকী, লম্পটতা, মূর্তিপূজা, জাদুবিদ্যা, শত্রুতা, ঝগড়া, লোভ, রাগ, স্বার্থপরতা, অমিল, দলাদলি, হিংসা, মাতলামি, হৈ-হুল্লা করে মদ খাওয়া, আর এই রকম আরও অনেক কিছু। আমি যেমন এর আগে তোমাদের সতর্ক করেছিলাম এখনও তা-ই করে বলছি, যারা এই রকম কাজ করে আল্লাহর রাজ্যে তাদের জায়গা হবে না (গালাতীয় ৫ : ১৯-২১)। আর পাকরূহ মানুষের মধ্যে উৎপন্ন করেন মানব কল্যাণ ও খোদার গৌরবজনক স্বভাব আচরণ। “কিন্তু পাক-রূহের ফল হল: মহব্বত, আনন্দ, শান্তি, সহ্যগুণ, দয়ার স্বভাব, ভাল স্বভাব, বিশ্বস্ততা, নম্রতা ও নিজেকে দমন। এই সবের বিরুদ্ধে কোন আইন নেই। যারা মসিহ ঈসার, তারা তাদের গুনাহ-স্বভাবকে তার সমস্ত কামনা-বাসনা সুদ্ধ ক্রুশে দিয়ে শেষ করে ফেলেছে” (গালাতীয় ৫ : ২২-২৪)।
আমার পাশে সমাসীন ভদ্রলোক বৈষম্য নিয়ে আলাপ করছিলেন। তিনি হয়তো বৈষম্যের শিকার অথবা ভুক্তভোগী। তার বর্ণনা শুনার পর আমি আলাপে অংশ নেবার জন্য অনুমতি চেয়ে নিলাম। প্রথমে আমি বললাম, বৈষম্য দূর করতে হলে সর্বপ্রথম যা করা অত্যাবশ্যক তা হলো স্বীকৃতি, যার অর্থ হলো, আমরা সকলেই যে মানুষ তা আপত্তি বিনে অবশ্যই মেনে নিতে হবে।
মানুষের সাথে মানুষের যে বৈরিতা চলে আসছে প্রথম জোড়া মানুষ থেকে, তা অবশ্যই অপসারণ করতে হবে। মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য, হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়েছে তা হলো কেবল পাপ ও খোদাদ্রোহীতার কুফল ও ক্ষতিকারক প্রভাব। হৃদাভ্যন্তরে পাপ পুষে রেখে বাহিরে সাধুর ভূমিকা পালন করা হবে কপটতা, অন্যায়-অপরাধ; আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে কখনোই অমন মরণব্যাধী আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে দূর করা সম্ভব নয়। অনেক সময় বাহিরের দিকটা সাদা ধবধবে অর্থাৎ বিনয়ী ও মার্জিত দেখা গেলেও ভিতরে লুকানো থাকে লোভ ও স্বার্থপরতা; তেমন ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে চুনকাম করা সাদা কবরের সাথে তুলনা করা চলে। বাহিরে সাদা হলেও কবরের ভিতরে থাকে পুতিগন্ধময় হাড়গোড়। তাই ভিতরে তেমন পৈশাচিক মন্ত্র ও লালসা নিয়ে বাহিরের আচরণ ভদ্র কেতাদুরস্ত রাখলে তাতে সমস্যার সমাধান কতটা হতে পারে বলুন? আমাদের জানতে হবে সেই পরম সত্ত্বাকে যিনি স্বীয় সুরতে মানুষ সৃষ্টি করলেন। উদ্দেশ্য হলো বাতেনী খোদার সকল গুনাবলী প্রকাশ্যে প্রকাশ করা।
দুঃখজনক হলেও বিষয়টি পরম সত্য; মানুষ ইবলিসের প্রতারণায় পড়ে খোদা দত্ত সেই অধিকার ও গুনাবলি ইতোপূর্বে হারিয়ে বসেছে। মানিব্যাগে মানি নেই তা কেনাকাটা করবেন কেমন করে?
মানব আকৃতির ভিতরে যদি মানবতাই না থাকলো, তথা মহামানবের অর্থাৎ মানুষের নির্মাতা প্রেমের পারাবার খোদার পরশ না পেয়ে থাকে, তবে তেমন মানুষটি কেবল ভিন্ন মানুষই রয়ে গেল, যাকে বলে ভুতাশ্রিত মানুষ যে কিনা স্বীয় সহোদর ভ্রাতা হাবিলকে বধ করে নিজের হাত রাঙ্গিয়ে নিয়েছে। তাকে একটা খুনি ছাড়া আর কি বলা যাবে। তাই কোনো খুনির মধ্যে প্রেম সহমর্মীতা যে থাকতে পারে না তা জ্ঞানির পক্ষে উপলব্ধি করা কঠিন বিষয় হবার কথা নয় “ভাইকে যে ঘৃণা করে সে খুনী। কোন খুনীর মধ্যে যে অনন্ত জীবন থাকে না, তা তোমাদের অজানা নেই” (১ম ইউহোন্না ৩ : ১৫)।
পাপ মানুষের মধ্যে খোদার পবিত্রতা ও প্রেমবিরোধী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে রেখেছে, যেগুলো হলো: জেনা, নাপাকী, লম্পটতা, মূর্তিপূজা, জাদুবিদ্যা, শত্রুতা, ঝগড়া, লোভ, রাগ, স্বার্থপরতা, অমিল, দলাদলি, হিংসা, মাতলামি, হৈ-হুল্লা করে মদ খাওয়া, আর এই রকম আরও অনেক কিছু। আমি যেমন এর আগে তোমাদের সতর্ক করেছিলাম এখনও তা-ই করে বলছি, যারা এই রকম কাজ করে আল্লাহর রাজ্যে তাদের জায়গা হবে না (গালাতীয় ৫ : ১৯-২১)। আর পাকরূহ মানুষের মধ্যে উৎপন্ন করেন মানব কল্যাণ ও খোদার গৌরবজনক স্বভাব আচরণ। “কিন্তু পাক-রূহের ফল হল: মহব্বত, আনন্দ, শান্তি, সহ্যগুণ, দয়ার স্বভাব, ভাল স্বভাব, বিশ্বস্ততা, নম্রতা ও নিজেকে দমন। এই সবের বিরুদ্ধে কোন আইন নেই। যারা মসিহ ঈসার, তারা তাদের গুনাহ-স্বভাবকে তার সমস্ত কামনা-বাসনা সুদ্ধ ক্রুশে দিয়ে শেষ করে ফেলেছে” (গালাতীয় ৫ : ২২-২৪)।