তিনটি ট্রাস্টে দান করা অর্থের বিপরীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দানকর দাবির বিরুদ্ধে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা পৃথক তিনটি আবেদনের ওপর রায়ের জন্য ৩১ মে দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সুমাইয়া ইফরিত বিনতে আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফারজানা রহমান।
আইনজীবীদের তথ্যমতে, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট, ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট এবং ইউনূস সেন্টার ট্রাস্ট—এই তিন ট্রাস্টে অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস দান করেন। তিনটি ট্রাস্টে তাঁর দান করা অর্থের পরিমাণ ৭৬ কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। পরে ডেপুটি কমিশনার অব ট্যাক্সেস (ডিসিটি) মূল্যায়ন করে ২০১১–১২, ২০১২–১৩ এবং ২০১৩–১৪ করবর্ষের জন্য ওই অর্থের ওপর ‘দানকর’ হিসেবে ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ১৬ হাজার ৮০০ টাকা আরোপ করেন। ‘দানকর’ আরোপের বিরুদ্ধে অধ্যাপক ইউনূস কমিশনার অব ট্যাক্সেসে আপিল করে বিফল হন। ডিসিটির সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
এরপর কর ট্রাইব্যুনালে আপিল করে বিফল হন মুহাম্মদ ইউনূস। এ অবস্থায় ২০১৫ সালে হাইকোর্টে পৃথক তিনটি আবেদন (রেফারেন্স) করেন তিনি। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল দিয়ে দানকর আদায়ে নোটিশের কার্যক্রম অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য স্থগিত করেন। এরপর রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সম্প্রতি রাষ্ট্রপক্ষ এ–সংক্রান্ত রুল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেয়। আবেদনগুলো ১৬ মে কার্যতালিকায় উঠলে সেদিন আদালত শুনানির জন্য ২৩ মে দিন রাখেন। আবেদনগুলোর ওপর মঙ্গলবার শুনানি শেষ হয়।