মোহাম্দ হোসেন পরিচালিত ‘অবুঝ দুটি মন’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যদিয়ে ১৯৯৩ সালে
সিনেমায় নায়ক হিসেবে চিত্রনায়ক আমিন খানের অভিষেক হয়। ১৯৯৩ সালে সিনেমাটি
মুক্তির আগেই বাদল খন্দকার তার প্রথম সিনেমা ‘দুনিয়ার বাদশা’ নির্মাণ
করেছিলেন। এতে আমিন খানের নায়িকা ছিলেন শাবনূর। এখন সিনেমায় নিয়মিত না হলেও
আমিন খান চলচ্চিত্র জীবনের পথচলায় তিন দশক পার করেছেন। ১৯৯৩-এর পর থেকে এ
পর্যন্ত অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে
‘হৃদয় থেকে হৃদয়’, ‘দুনিয়ার বাদশা’, ‘হৃদয় আমার’, ‘শয়তান মানুষ’, ‘জনম
জনম’, ‘আমার মা’, ‘মনের মতো মন’, ‘রাঙ্গা বউ’, ‘সাগরিকা’, তোমার আমার
প্রেম, ‘কে আমার বাবা’, ‘মগের মুল্লুক’, ‘কঠিন বাস্তব’, ‘ঠেকাও মাস্তান’,
‘লাল দরিয়া’, ‘পিতার আসন’, ‘হীরা চুনী পান্না’, ‘সমাধি’, ‘বোনের জন্য
যুদ্ধ’ ইত্যাদি। আমিন খান জানান, এখন পর্যন্ত ১৭৩টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
বিভিন্ন সিনেমায় তার বিপরীতে মৌসুমী, শাবনূর, পপি, পূর্ণিমা, ঋতুপর্ণা’সহ
আরো অনেকেই অভিনয় করেছেন। আমিন খান অভিনীত সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত
‘ডাইরেক্ট অ্যাটাক’ সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায়। চলচ্চিত্র ছাড়াও আমিন খান
বহু নাটক ও টেলিফিল্মেও অভিনয় করেছেন। বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন। খুলনার
সন্তান আমিন খানের বাবা রোখমান আলী খান ও মা আরজুদা খান। তার স্ত্রী
স্নিগ্ধা খান। তার দুই সন্তান রাইয়ান খান ফারহান ও আজমাইন খান ঈশান। আমিন
খান বিগত দশ বছর ধরে ‘ওয়ালটন’-এ কর্মরত। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের
সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরক্টের হিসেবে কর্মরত। আমিন খান বলেন, ‘আমার
চলচ্চিত্র জীবন পরবর্তীতে আমার চাকরী জীবন নিয়ে আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ
সন্তুষ্ট। আজকের অবস্থানের নেপথ্যে আমার চাচা আবু হাসান খান, প্রযোজক
পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জেমী ভাই, বাদল খন্দকার ভাইসহ প্রতিটি সিনেমার
প্রযোজক পরিচালক ও সকল কলাকুশলীর কাছে কৃতজ্ঞ। আমার ভক্ত দর্শকের প্রতিও
আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আমার স্ত্রী স্নিগ্ধার প্রতিও কৃতজ্ঞ। সে আমাকে
প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। সবাই আমার জন্য আমার পরিবারের জন্য দোয়া
করবেন।