ভূগর্ভে সুদীর্ঘকালের জমে থাকা লাভা যখন উদ্ঘীরণ করে, তখন তা ঠেকিয়ে রাখার মত আস্তরণ, প্রতিবন্দকতা বা অন্য কোনো বাধাবিন্দাচল, যতই কঠিন পাথর হোক না কেন, প্রতিহত করার মত এমন কিছু খুজে পাওয়া যাবে কি? যদি তেমনটি সম্ভব হতো, তবে ভিষুভিয়াসের কবল থেকে পম্পেই নগরী বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হতো!
মঞ্চ নাটকে একজন প্রমটার থাকে, যার কাজ হলো নায়ক-নায়িকাদের ডায়ালগগুলো বলে চলা; তবে তিনি বলতে থাকেন অত্যান্ত নীচু গলায়, আর নায়ক-নায়িকাদের কাজ হলো আকাশ-বাতাস মুখরিত করা। মঞ্চে আমন্ত্রিত সমাসীন সকল শ্রোতাদের কানে তেমন বক্তব্যগুলো পৌছে দেয়া (মথি ১০ : ২৭)। খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহ অবশ্য তেমন উপদেশ দিয়েছেন তাঁর সাহাবীদের। মসিসের আজ্ঞা সমূহ নিয়ে যদি কেউ বিশ্লেষণ ধর্মী অধ্যয়ন করে, তবে তার কাছে বিষয়টি জলের মত সহজ হতে বাধ্য।
খোদা নিরাকার, অদৃশ্য এক রুহানী সত্ত্বা (ইউহোন্না ৪ : ২৪), ঐশি গুনাবলীতে পরিপূর্ণ প্রেম ক্ষমার ধারক-বাহক উৎস (ইউহোন্না ৪ : ১৬)। তিনি চিরকল্যাণকর প্রেমাকর সদা ঘটিয়ে চলেন আলোর বিস্তার। তার মধ্যে গুনাহ বা ছলনা বা দূরভিসন্ধি নেই, সদা সরল সহজ স্বচ্ছ কাঁচের মত (প্রকাশিত কালাম ২১ : ১৮)। মানুষকে তিনি আত্মবৎ প্রেম করেন।
প্রেম কেবল একটা শব্দের খোলস নয়; প্রেম হলো ব্যক্তি জীবনের একটি আদত, প্রকৃত বা স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, যেমন দুধের ক্রিয়া সদা থাকে অপরিবর্তীত, যতক্ষণ পর্যন্ত তার মধ্যে ঢেলে দেয়া না হয় একফোঁটা গোচনা! মানুষটি তো প্রকৃতার্থে খোদার প্রতিচ্ছবি, তিনি স্বীয় সুরতে বাতেনী খোদার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। আদম কি খোদার সাথে অন্তরঙ্গ পরিবেশে নিবিড় সহভাগিতার বন্ধনে যুক্ত ছিলেন না (পয়দায়েশ ৩ : ৮-৯)?
শোক ও পরিতাপের বিষয় হলো, যখনই তিনি অভিশপ্ত ইবলিসের কুটচালে ধরা খেল, খোদার অবাধ্য হলো অমনি সত্য আর মিথ্যার মধ্যে সৃষ্টি হলো বেজায় দূরত্ব যা ক্ষুদে আদমের পক্ষে জোড়া দেয়ার কোন উপায় অবশিষ্ট রইল না (পয়দায়েশ ৩ : ১৬-১৯)।
মানুষের মধ্যে সহজাত স্বভাব হলো প্রেম সহমর্মীতা পারষ্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও কল্যাণ সাধন করা। আর ইবলিসের অভিপ্রায় হলো মানব বাগানটিকে প্রেতপুরীতে পরিণত করে তোলা (ইউহোন্না ১০ : ১০ প্রথম অংশ)। খোদা ও মানুষের দায়িত্ব হলো মানুষের কল্যান সাধন করে চলা আর বিপরীত পক্ষে ইবলিসের ব্রত হলো মানুষকে চুরি, খুন ও বিনাশ করে ছাড়া।
মানুষের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা ও তাদের ধ্বংস সাধনকারী যাবতীয় মন্ত্রণা কেবল ইবলিসের উষর মস্তিষ্ক থেকে নিয়ত হচ্ছে উৎসারিত। খোদা ও ইবলিসের অবস্থান যেন দুই বিপরীত মেরু যা কখনোই ঐক্যে আমন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। পারবেন কি আলো আর আধার একই সভাকক্ষে সমাসীন করতে। পুরো কক্ষটি চলছে আধারের দাপটে, যেইমাত্র একটি ক্ষুদে জন্মদিনের মোম জ্বালিয়ে হেথা প্রবেশ লাভ করবেন, অমনি আধারের অস্তিত্ব চিরতরে হয়ে গেল বিলীন।
প্রদীপ না নিভিয়ে আধারের কীট আপন রাজ্য কার্যকর করতে পারে না। দেখবেন, সে কারনেই আধারের কীটগুলো আপন আপন অভিলাষ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে করে চলে পরিচালনা। তবে ক্ষণিকের জন্য ইবলিস কামিয়াব হতে পারে, আর হয়েও থাকে, কেননা বর্তমান বিশ^টি আদমের জন্য হলো দ্বীপান্তরিত স্থান, আধারের মুলুক, আর খোদার সন্তানদের জন্য হলো যাত্রাবিরতির স্থান, যেমন সরাইখানা, পথিক রাত্রীকালীন বিরতি কয়েকঘণ্টা যাপন করে তার পরবর্তী যাত্রায় প্রকৃত গন্তব্যে চলে যায়। দুনিয়াটা হলো ক্ষণভঙ্গুর আবাসন, এখানকার সবকিছুই ওয়ানটাইম ব্যবহারের নিমিত্তে সৃষ্ট।
কাঁচের জগ ভেঙ্গে গেলে জোড়া দেয়া চলে, মানুষের মন ভেঙ্গে গেলে তা জুড়বেন কি করে? কাঁচ গলিয়ে যেমন একটা পূর্ণাঙ্গ জগ তৈরি করা সম্ভব, ঠিক একইভাবে হিংসা বিদ্বেষতাড়িত লোভাতুরা মানুষগুলোকে, কেবল মাত্র খোদ নির্মাতা, পুনরায় একত্র করার ক্ষমতা রাখেন। দেখতে হবে, মনের মধ্যে বিষাক্ত বস্তুটি কোথা কোন পর্যায়ে রয়েছে কার্যরত; মসিহ মানবরূপে জগতে নেমে এসেছেন, মানুষকে স্নাতশুভ্র করার জন্য, নতুন মন্ত্রে একটি তাল সৃষ্টি করার জন্য, যেন সকলে এক মন, একপ্রাণ, এক ভাববিশিষ্ট হতে পারে, তবেইনা খোদার মুলপরিকল্পনা হবে পুনরায় কার্যরত (ফিলিপীয় ২ : ১-১১)।
যে পাপ মানুষকে এদন উদ্যান থেকে করেছে বিতাড়িত, সেই পাপের মূল্যেৎপাটন করেছেন মানবরূপী ঐশি কালাম ও পাকরূহ, খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহ; আর তা করতে গিয়ে তাঁকে দিতে হয়েছে এক চূড়ান্ত মূল্য, যা অন্য কোনো গুনাহগারদের পক্ষে সাধন করা ছিল সম্পূর্ণ অসম্ভব। গুনাহগারের কাফফারা দিতে শর্ত হলো একটি নিখুঁত প্রাণী। মসিহ হলেন ঐশি মেষ, নিঃখাদ অগাধ প্রেমের তাগিদে তিনি নিজেকে দিলেন কোরবানি, ফলে, পাপে মৃত বিশ^বাসি ফিরে পেল অনন্ত মুক্তি, যা কেবল খোদার অফুরান রহমতের দ্বারা হয়েছে সাধিত (ইফিষীয় ২ : ৮-১০)।
সকল মানুষ একই আদমের ঔরষজাত; যাতে কেউ কোনো নারাজি দেবার ক্ষমতা রাখে না; অন্তত: কালামের দৃষ্টিতে। প্রথম আদম হলেন বিতাড়িত আর তা স্ববংশে। আদমের পুত্র একজন আর একজনকে খুন করে নিজের হাত করে তুললো রঞ্জিত, মানবজাতি হলো কলঙ্কিত।
যদিও মানুষ খোদার প্রতিনিধি, ঐশি গুনাবলীতে হলো অভিষিক্ত, তা অপরাধের কারণে হয়ে গেল মর্যাদাহারা। যেমন, টেকনাফ থানার অফিসার কমান্ডিং প্রদীপ আজ প্রেরিত হলো কারাগারে। দায়িত্ব কর্তব্যে কেবল অবহেলাই নয়, করে চললো সম্পূর্ণ বিপরীত কর্মকান্ড। মানুষ খোদার পরিকল্পনা তুচ্ছজ্ঞান করে সানন্দে লুফে নিল অভিশপ্ত ইবলিসের কুটচাল, হলো প্রলুব্ধ ক্ষণকালের মোহে। আপনি যা কিছু বপন করবেন, ছেদন তো তাই করবেন, যা কতইনা স্বাভাবিক প্রত্যাশা।
যাক, কন্টক তুলে ফেলে মুল্যবান ফসলের আবাদ যদি করেন, তবে তা হবে শুভবুদ্ধির পরিচয়; আর বপনকারী হিসেবে আপনি নিজেও হবেন উপকৃত।
এবার আমাদের আসু দায়িত্ব কর্তব্য হবে, সুদীর্ঘকালের পুঞ্জিভুত বিষাক্ত পদার্থগুলো মুলোৎপাটন করে নিজেদের জমিটাকে সুফলা করে তোলা। আর তা সম্ভব যিনি কাওকে আঘাত করার জন্য ধরাপৃষ্টে আগত নন, সকল ব্যক্তিকে উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে ফিরছেন, যার হাত মানুষের রক্তে কখনোই হয়নি রঞ্জিত, মানুষ স্ববংশে ধ্বংস করার মন্ত্রণা শিখিয়ে যান নি, বরং গোটা বিশে^র পাপের কাফফারা শোধ দিয়েছেন আপন পবিত্র রক্তে, তিনি তো নিয়ত আপনার হৃদয়দ্বারে দাঁড়িয়ে করাঘাত করে চলছেন, কেবল আপনাকে গুছিয়ে পরিপাটি করে তোলার জন্য, সেই হারানো অধিকার মানমর্যাদা ফিরিয়ে দেবার জন্য, আপনাকে স্বীয় ক্রোড়ে সমাসীন করার জন্য। প্রতিক্রিয়া আপনার।
মঞ্চ নাটকে একজন প্রমটার থাকে, যার কাজ হলো নায়ক-নায়িকাদের ডায়ালগগুলো বলে চলা; তবে তিনি বলতে থাকেন অত্যান্ত নীচু গলায়, আর নায়ক-নায়িকাদের কাজ হলো আকাশ-বাতাস মুখরিত করা। মঞ্চে আমন্ত্রিত সমাসীন সকল শ্রোতাদের কানে তেমন বক্তব্যগুলো পৌছে দেয়া (মথি ১০ : ২৭)। খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহ অবশ্য তেমন উপদেশ দিয়েছেন তাঁর সাহাবীদের। মসিসের আজ্ঞা সমূহ নিয়ে যদি কেউ বিশ্লেষণ ধর্মী অধ্যয়ন করে, তবে তার কাছে বিষয়টি জলের মত সহজ হতে বাধ্য।
খোদা নিরাকার, অদৃশ্য এক রুহানী সত্ত্বা (ইউহোন্না ৪ : ২৪), ঐশি গুনাবলীতে পরিপূর্ণ প্রেম ক্ষমার ধারক-বাহক উৎস (ইউহোন্না ৪ : ১৬)। তিনি চিরকল্যাণকর প্রেমাকর সদা ঘটিয়ে চলেন আলোর বিস্তার। তার মধ্যে গুনাহ বা ছলনা বা দূরভিসন্ধি নেই, সদা সরল সহজ স্বচ্ছ কাঁচের মত (প্রকাশিত কালাম ২১ : ১৮)। মানুষকে তিনি আত্মবৎ প্রেম করেন।
প্রেম কেবল একটা শব্দের খোলস নয়; প্রেম হলো ব্যক্তি জীবনের একটি আদত, প্রকৃত বা স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, যেমন দুধের ক্রিয়া সদা থাকে অপরিবর্তীত, যতক্ষণ পর্যন্ত তার মধ্যে ঢেলে দেয়া না হয় একফোঁটা গোচনা! মানুষটি তো প্রকৃতার্থে খোদার প্রতিচ্ছবি, তিনি স্বীয় সুরতে বাতেনী খোদার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। আদম কি খোদার সাথে অন্তরঙ্গ পরিবেশে নিবিড় সহভাগিতার বন্ধনে যুক্ত ছিলেন না (পয়দায়েশ ৩ : ৮-৯)?
শোক ও পরিতাপের বিষয় হলো, যখনই তিনি অভিশপ্ত ইবলিসের কুটচালে ধরা খেল, খোদার অবাধ্য হলো অমনি সত্য আর মিথ্যার মধ্যে সৃষ্টি হলো বেজায় দূরত্ব যা ক্ষুদে আদমের পক্ষে জোড়া দেয়ার কোন উপায় অবশিষ্ট রইল না (পয়দায়েশ ৩ : ১৬-১৯)।
মানুষের মধ্যে সহজাত স্বভাব হলো প্রেম সহমর্মীতা পারষ্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও কল্যাণ সাধন করা। আর ইবলিসের অভিপ্রায় হলো মানব বাগানটিকে প্রেতপুরীতে পরিণত করে তোলা (ইউহোন্না ১০ : ১০ প্রথম অংশ)। খোদা ও মানুষের দায়িত্ব হলো মানুষের কল্যান সাধন করে চলা আর বিপরীত পক্ষে ইবলিসের ব্রত হলো মানুষকে চুরি, খুন ও বিনাশ করে ছাড়া।
মানুষের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা ও তাদের ধ্বংস সাধনকারী যাবতীয় মন্ত্রণা কেবল ইবলিসের উষর মস্তিষ্ক থেকে নিয়ত হচ্ছে উৎসারিত। খোদা ও ইবলিসের অবস্থান যেন দুই বিপরীত মেরু যা কখনোই ঐক্যে আমন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। পারবেন কি আলো আর আধার একই সভাকক্ষে সমাসীন করতে। পুরো কক্ষটি চলছে আধারের দাপটে, যেইমাত্র একটি ক্ষুদে জন্মদিনের মোম জ্বালিয়ে হেথা প্রবেশ লাভ করবেন, অমনি আধারের অস্তিত্ব চিরতরে হয়ে গেল বিলীন।
প্রদীপ না নিভিয়ে আধারের কীট আপন রাজ্য কার্যকর করতে পারে না। দেখবেন, সে কারনেই আধারের কীটগুলো আপন আপন অভিলাষ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে করে চলে পরিচালনা। তবে ক্ষণিকের জন্য ইবলিস কামিয়াব হতে পারে, আর হয়েও থাকে, কেননা বর্তমান বিশ^টি আদমের জন্য হলো দ্বীপান্তরিত স্থান, আধারের মুলুক, আর খোদার সন্তানদের জন্য হলো যাত্রাবিরতির স্থান, যেমন সরাইখানা, পথিক রাত্রীকালীন বিরতি কয়েকঘণ্টা যাপন করে তার পরবর্তী যাত্রায় প্রকৃত গন্তব্যে চলে যায়। দুনিয়াটা হলো ক্ষণভঙ্গুর আবাসন, এখানকার সবকিছুই ওয়ানটাইম ব্যবহারের নিমিত্তে সৃষ্ট।
কাঁচের জগ ভেঙ্গে গেলে জোড়া দেয়া চলে, মানুষের মন ভেঙ্গে গেলে তা জুড়বেন কি করে? কাঁচ গলিয়ে যেমন একটা পূর্ণাঙ্গ জগ তৈরি করা সম্ভব, ঠিক একইভাবে হিংসা বিদ্বেষতাড়িত লোভাতুরা মানুষগুলোকে, কেবল মাত্র খোদ নির্মাতা, পুনরায় একত্র করার ক্ষমতা রাখেন। দেখতে হবে, মনের মধ্যে বিষাক্ত বস্তুটি কোথা কোন পর্যায়ে রয়েছে কার্যরত; মসিহ মানবরূপে জগতে নেমে এসেছেন, মানুষকে স্নাতশুভ্র করার জন্য, নতুন মন্ত্রে একটি তাল সৃষ্টি করার জন্য, যেন সকলে এক মন, একপ্রাণ, এক ভাববিশিষ্ট হতে পারে, তবেইনা খোদার মুলপরিকল্পনা হবে পুনরায় কার্যরত (ফিলিপীয় ২ : ১-১১)।
যে পাপ মানুষকে এদন উদ্যান থেকে করেছে বিতাড়িত, সেই পাপের মূল্যেৎপাটন করেছেন মানবরূপী ঐশি কালাম ও পাকরূহ, খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহ; আর তা করতে গিয়ে তাঁকে দিতে হয়েছে এক চূড়ান্ত মূল্য, যা অন্য কোনো গুনাহগারদের পক্ষে সাধন করা ছিল সম্পূর্ণ অসম্ভব। গুনাহগারের কাফফারা দিতে শর্ত হলো একটি নিখুঁত প্রাণী। মসিহ হলেন ঐশি মেষ, নিঃখাদ অগাধ প্রেমের তাগিদে তিনি নিজেকে দিলেন কোরবানি, ফলে, পাপে মৃত বিশ^বাসি ফিরে পেল অনন্ত মুক্তি, যা কেবল খোদার অফুরান রহমতের দ্বারা হয়েছে সাধিত (ইফিষীয় ২ : ৮-১০)।
সকল মানুষ একই আদমের ঔরষজাত; যাতে কেউ কোনো নারাজি দেবার ক্ষমতা রাখে না; অন্তত: কালামের দৃষ্টিতে। প্রথম আদম হলেন বিতাড়িত আর তা স্ববংশে। আদমের পুত্র একজন আর একজনকে খুন করে নিজের হাত করে তুললো রঞ্জিত, মানবজাতি হলো কলঙ্কিত।
যদিও মানুষ খোদার প্রতিনিধি, ঐশি গুনাবলীতে হলো অভিষিক্ত, তা অপরাধের কারণে হয়ে গেল মর্যাদাহারা। যেমন, টেকনাফ থানার অফিসার কমান্ডিং প্রদীপ আজ প্রেরিত হলো কারাগারে। দায়িত্ব কর্তব্যে কেবল অবহেলাই নয়, করে চললো সম্পূর্ণ বিপরীত কর্মকান্ড। মানুষ খোদার পরিকল্পনা তুচ্ছজ্ঞান করে সানন্দে লুফে নিল অভিশপ্ত ইবলিসের কুটচাল, হলো প্রলুব্ধ ক্ষণকালের মোহে। আপনি যা কিছু বপন করবেন, ছেদন তো তাই করবেন, যা কতইনা স্বাভাবিক প্রত্যাশা।
যাক, কন্টক তুলে ফেলে মুল্যবান ফসলের আবাদ যদি করেন, তবে তা হবে শুভবুদ্ধির পরিচয়; আর বপনকারী হিসেবে আপনি নিজেও হবেন উপকৃত।
এবার আমাদের আসু দায়িত্ব কর্তব্য হবে, সুদীর্ঘকালের পুঞ্জিভুত বিষাক্ত পদার্থগুলো মুলোৎপাটন করে নিজেদের জমিটাকে সুফলা করে তোলা। আর তা সম্ভব যিনি কাওকে আঘাত করার জন্য ধরাপৃষ্টে আগত নন, সকল ব্যক্তিকে উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে ফিরছেন, যার হাত মানুষের রক্তে কখনোই হয়নি রঞ্জিত, মানুষ স্ববংশে ধ্বংস করার মন্ত্রণা শিখিয়ে যান নি, বরং গোটা বিশে^র পাপের কাফফারা শোধ দিয়েছেন আপন পবিত্র রক্তে, তিনি তো নিয়ত আপনার হৃদয়দ্বারে দাঁড়িয়ে করাঘাত করে চলছেন, কেবল আপনাকে গুছিয়ে পরিপাটি করে তোলার জন্য, সেই হারানো অধিকার মানমর্যাদা ফিরিয়ে দেবার জন্য, আপনাকে স্বীয় ক্রোড়ে সমাসীন করার জন্য। প্রতিক্রিয়া আপনার।