চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক কলেজছাত্রকে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ডেকে এনে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার বেলা দেড়টায় ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ক্ষেতলাল পৌর এলাকার মালিপাড়া মহল্লার একরাম (৩৫), উপজেলার মামুদপুর সরদারপাড়া গ্রামের রানা (২৫) ও ধনতলা গ্রামের পলাশ হোসেন (২৬)।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রেশমবাড়ী গ্রামের কলেজছাত্র আমির হোসেনের (২২) সঙ্গে ক্ষেতলাল পৌর এলাকার মালিপাড়া মহল্লার একরামের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। বিজিবির বেসামরিক পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ওই কলেজছাত্রকে ক্ষেতলালে আসতে বলেন একরাম। ৯ মে আমির জয়পুরহাট শহরের নতুন হাট এলাকায় আসেন। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়ান একরাম ও তাঁর সহযোগীরা। এরপর তাঁরা বিকেলে ওই কলেজছাত্রকে ক্ষেতলালের সন্ন্যাসতলী এলাকার একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে তাঁরা ওই কলেজছাত্রকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর স্বজনদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। একপর্যায়ে আমিরের স্বজনেরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের ৫১ হাজার টাকা পাঠান। টাকা পেয়ে তাঁরা আমিরকে আবার ভ্যানে তুলে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় ব্যক্তিদের দেখে ভ্যান থেকে লাফ দেন আমির এবং তাঁদের ঘটনা খুলে বলেন। তখন ওই তিনজন পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাঁদের ধরে স্থানীয় মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মশিউর রহমানকে জানান। এরপর তাঁদের তিনজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় আমিরের বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানায় মামলা করেন।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিবুল ইসলাম বলেন, চাকরির কথা বলে ডেকে এনে জিম্মি করে টাকা আদায়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।