আমি যে সাক্ষী
কালের
সাক্ষী হননের
কেমন করে করেছিল বধ
সেদিন ভাষার দাবিদারদের
দিয়েছিলুম স্লোগান
রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই
আর অমনি মোরা
ঘাতকদের গুলি খাই।
কেমন বেহায়া!
নিরস্ত্র মানুষের উপর
পড়ে ঝাপটা খাই
না জানে যুদ্ধের নিয়ম
না মানে ডাক মানবতার
শাসক না শোষক
না মৃত্যুর যম
গুলি তো করেছিলি
আপত্তি ছিল না
অন্যায়কে সিদ্ধ করবার তরে
দিলে যে ফতোয়া
বাংলার দাবি কালো দাবি
কাফেরদের দাবি
ফের বলেছ তো গুলি খাবি
মাওলানা হাকে
এতো পরিষ্কার রাষ্ট্রদ্রোহীতা
সাথে সাথে ধর্মের বিরোধীতা
দমে গেলাম ক্ষণিকের তরে
পৌঁছে দিতে হবে
স্বাধীকারের ডাক বাংলার ঘরে ঘরে
সেদিন হতে বেরিয়ে যাই
গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে
কত যে পুলিশের তাড়া
আজও মনে পড়ে
ছোট্ট ঘটনা সেদিনকার
গিয়েছিলুম নদীর ওপারে
মিটিং-এর ডাক ছিল
পুলিশ ছিল মোতায়েন
জানতে পারিনি তখন
হঠাৎ করে তাড়া খাই
এখন মোরা কোথা যাই
রাস্তা, খাল-বিল, জঙ্গল
সমানে ছুটতে হবে
যদি চাই মঙ্গল
দিলাম ছুট
পেছনে রয়েগেল মোর
এক পাটি বুট
খেয়াল নেই দিকে
পড়লাম এসে নদীতে
হাফ ছেড়ে বাঁচি।
এরপরও বহুবার
ছুটা ছুট খেলেছি এপার ওপার
উপায় ছিলনা বর্ণনার
ঘরে জ্বালা, আর বাহিরে
বাহিরে পুলিশের ঠ্যালা
এমনি করে কেটে গেল মোর
জীবনের অজস্র বেলা
শুনেছি আজীবন
বাংলা ভাষার দাবী
হবে ধর্মের অপমান
আপত্তি ছিলনা।
নদীটির কোন বিশেষ পরিবর্তন
আজও দেখা যায় না
যেখানে হারিয়েছিলুম
জুতার এক পাটি
এতদিনে মাটিই তাকে করেছে খাঁটি
তারা আজও সাক্ষী।
মোরা যে বীর স্বাধীনতার
আর মায়ের ভাষার
আর তোরা?
পদলেহনকারী
সেদিন কী বলেছিলি
হলফ করে বল?
আজ তোরা বল
একুশ হল বিজয় দিবস
বাঙ্গালীর স্বাধীনতার
কোন মুখে বল?
বদলিয়েছ কি সে কেতাব
যে কেতাব নিয়েছিলে
হাতে তুলে
ভাষা আন্দোলনের বীরদের
কাফের ঘোষণার কালে
তোদের একই কেতাবে কি
এতই কথা থাকে লেখা
একই উৎস দিয়ে বের কর
মিষ্টি জল আর তিতা
হায়রে বিধাতা।
তুমি দেখতে পাও না
তোমাকে যে করছে তারা
বেচা কেনা
তোমার নামে মানুষ ভয় পায়
করে সম্মান
সেই সুযোগটা ধরে
ওরা সবাইকে করতে চায় বিরাণ
ওরা বড়ই বেঈমান
দেখে হাসি পায়
কয়েকটি বছরের ব্যবধানে
ওদের চেহারা কিভাবে বদলে যায়
আমি কালের সাক্ষী
বড়ই নিরুপায়।
কাফেরদের জানাযায়
হাজার মাওলানা ভীড় জমায়
তবে তারা কীভাবে কাফের হয়
এসব কি তাদের
বানান মছলা নয়?
যাতে অতি সহজে
সুযোগ মত খাটানো যায়।
কালের
সাক্ষী হননের
কেমন করে করেছিল বধ
সেদিন ভাষার দাবিদারদের
দিয়েছিলুম স্লোগান
রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই
আর অমনি মোরা
ঘাতকদের গুলি খাই।
কেমন বেহায়া!
নিরস্ত্র মানুষের উপর
পড়ে ঝাপটা খাই
না জানে যুদ্ধের নিয়ম
না মানে ডাক মানবতার
শাসক না শোষক
না মৃত্যুর যম
গুলি তো করেছিলি
আপত্তি ছিল না
অন্যায়কে সিদ্ধ করবার তরে
দিলে যে ফতোয়া
বাংলার দাবি কালো দাবি
কাফেরদের দাবি
ফের বলেছ তো গুলি খাবি
মাওলানা হাকে
এতো পরিষ্কার রাষ্ট্রদ্রোহীতা
সাথে সাথে ধর্মের বিরোধীতা
দমে গেলাম ক্ষণিকের তরে
পৌঁছে দিতে হবে
স্বাধীকারের ডাক বাংলার ঘরে ঘরে
সেদিন হতে বেরিয়ে যাই
গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে
কত যে পুলিশের তাড়া
আজও মনে পড়ে
ছোট্ট ঘটনা সেদিনকার
গিয়েছিলুম নদীর ওপারে
মিটিং-এর ডাক ছিল
পুলিশ ছিল মোতায়েন
জানতে পারিনি তখন
হঠাৎ করে তাড়া খাই
এখন মোরা কোথা যাই
রাস্তা, খাল-বিল, জঙ্গল
সমানে ছুটতে হবে
যদি চাই মঙ্গল
দিলাম ছুট
পেছনে রয়েগেল মোর
এক পাটি বুট
খেয়াল নেই দিকে
পড়লাম এসে নদীতে
হাফ ছেড়ে বাঁচি।
এরপরও বহুবার
ছুটা ছুট খেলেছি এপার ওপার
উপায় ছিলনা বর্ণনার
ঘরে জ্বালা, আর বাহিরে
বাহিরে পুলিশের ঠ্যালা
এমনি করে কেটে গেল মোর
জীবনের অজস্র বেলা
শুনেছি আজীবন
বাংলা ভাষার দাবী
হবে ধর্মের অপমান
আপত্তি ছিলনা।
নদীটির কোন বিশেষ পরিবর্তন
আজও দেখা যায় না
যেখানে হারিয়েছিলুম
জুতার এক পাটি
এতদিনে মাটিই তাকে করেছে খাঁটি
তারা আজও সাক্ষী।
মোরা যে বীর স্বাধীনতার
আর মায়ের ভাষার
আর তোরা?
পদলেহনকারী
সেদিন কী বলেছিলি
হলফ করে বল?
আজ তোরা বল
একুশ হল বিজয় দিবস
বাঙ্গালীর স্বাধীনতার
কোন মুখে বল?
বদলিয়েছ কি সে কেতাব
যে কেতাব নিয়েছিলে
হাতে তুলে
ভাষা আন্দোলনের বীরদের
কাফের ঘোষণার কালে
তোদের একই কেতাবে কি
এতই কথা থাকে লেখা
একই উৎস দিয়ে বের কর
মিষ্টি জল আর তিতা
হায়রে বিধাতা।
তুমি দেখতে পাও না
তোমাকে যে করছে তারা
বেচা কেনা
তোমার নামে মানুষ ভয় পায়
করে সম্মান
সেই সুযোগটা ধরে
ওরা সবাইকে করতে চায় বিরাণ
ওরা বড়ই বেঈমান
দেখে হাসি পায়
কয়েকটি বছরের ব্যবধানে
ওদের চেহারা কিভাবে বদলে যায়
আমি কালের সাক্ষী
বড়ই নিরুপায়।
কাফেরদের জানাযায়
হাজার মাওলানা ভীড় জমায়
তবে তারা কীভাবে কাফের হয়
এসব কি তাদের
বানান মছলা নয়?
যাতে অতি সহজে
সুযোগ মত খাটানো যায়।