তখন আমি বন্দী রাজস্থানে
বাংগালী এ অপবাদে
যদিও কোন ভূমিকা আমার ছিল না
স্বায়ত্বশাসন বা তারও উচ্চ কোন শব্দ নেই জানা
নেহায়েত গোবেচারা
,
পেটের দায়ে, জীবনের বিকাশে হয়েছিলেম দেশ ছাড়া
তবুও পাইকারী হারে দোষী
হলেম বন্দী, নতুন অভিজ্ঞতা
মেনে নিলেম কোন আপত্তি ছিল না,
ছোট জেল, বড় জেল, বুঝিনি কোন কান্ড কারখানা
দু’টো বছর ধরে আপন করেছি জেলখানা
প্রত্যহ রুটি পেতাম
সকালে দু’খানা, বিকেলে দু’খানা
শুকিয়ে কাঠ হয়েছিলাম তাই ততোধিক প্রয়োজনও
হত না
বসন ভুষন অতি নগন্য
ছোট্ট একটি প্যান্ট তাও অর্ধখানা
কোমর থেকে মাঝে মাঝে পড়ে যেত,
আমারই অপরাধ, দেহে বল ছিল না।
কি জানি, কোথা হতে মাথায় ঢুকল গোরকচানা
বিদ্রোহ করলাম, স্লোগান দিলাম, রুটি খাবনা
কাঁচা, অসিদ্ধ, ময়লা আবর্জনা, তাও পুরো ভাঁজে না
ফিরিয়ে দিলাম, ঠিকাদার এল, মিনতি জানাল,
দর-ভাও ঠিক পাই না, আমাকে মারবেন না,
মনে মনে হাসি, মোরা তো মরে পড়ে আছি,
মোদের হাতে কি আছে তোমার মরা বাঁচার
তবুও অনুরোধ, কাতরোক্তি
আমায় মারবেন না।
ক্ষণিকের তরে হলেও মোরা রাজা
অন্তত একজন আছে নেতিয়ে পড়া পায়ের কাছে
প্রমাণ পেলাম, বন্দীরাও কিছু বলার আছে,
ক্ষুদে ক্ষুদে দাসের শক্তি জড় হয়ে বহু তখত উল্টে
দিয়েছে
শান্তনা দিলাম- তোমার বিরুদ্ধে নহে কোন অভিযোগ
মোরা তহশিলদারকে চাই- তাঁর কাছেই সব ব্যাথা
জানাতে চাই
নতুবা অনশন-
একদিন, দুদিন, তৃতীয় দিন
আর পারছি না, প্রবল চিৎকার
তহশিলদার ছুটে এলেন, শুধালেন,
অনেক প্রবোধ-বাক্য, শান্তনা,
বুঝতে পারলাম, মোরা নই তাঁর ভিন জনা
ভাঙ্গলাম মোর অনশন
আর নয় পর, সন্ধি করে হলেম প্রিয়জন
এবার খাবার পালা, পেয়েছি সবই খোলা
গোগ্রাসে এক লহমায় করব গলধকরণ
না তা আর হল কই
পানির ফোটাটুকুও গেলার উপর নেই
দারুণ ব্যথা কয়েকদিনের অনভ্যাসে
সবে যেন ভুলে গেছে নিজ নিজ দায়িত্ব
অলসের মত বসে থাকবে, সবই নিষ্কর্মা
দাারুণ প্রয়োজন, সময় সচল হবার
নয়ত এটা অপরাগতার, অতীব জরুরী অধ্যায়
সাহস করে এক চুমুক দুধ মুখে নিলাম
ঈষদুষ্ণ ছিল বলে একটু হাত এল
সে বিকেলে একটু তরল খাবার তুলে নিলাম
একটু আধটু অভ্যেস করে
দেখি কোন ফল লভে কি না
সমুদয় লাভের জন্য ধরেছিলাম অনশন
অথচ এমন লগ্নে রাজী হল তারা
ভক্ষণ করার শক্তি ছিল না, এসে পড়েছিল মোর
শেষ ক্ষণ
আমারই আপন যারা, স্বতঃস্ফুর্তভাবে করত সেবা
আজ তারাই হল বিক্ষুব্ধ, করছে প্রহশন
কী যে মন্ত্র পড়িয়েছে তাদের সে অলক্ষুনে দর্শন
কিছুটা ধৈর্য্য, সহনশীলতা, স্নেহ মমতা
এমনি করে কাজে এল পরিশেষে
সে বিক্ষুদ্ধ অন্তরতম আবিলতা
আজ আমি সজাগ, সজাগ মোর অন্তসত্বা
মান নয় অভিমান নয়, এক আন্তরিকতা
নিঃস্বার্থপ্রেম, সহমর্মিতা শত্রæমিত্র
মোরা এক অখন্ড, অভিন্ন জনতা
প্রত্যেকে মোরা প্রত্যেকের তরে
মিলে মিশে বসত করি একই পিতার ঘরে
একই অন্নজল দিয়ে পুষছেন
অভিন্ন প্রেম ঢেলে দিয়েছেন মোদের অন্তরে
মোরা থাকব চিরকাল সবার তরে।
বাংগালী এ অপবাদে
যদিও কোন ভূমিকা আমার ছিল না
স্বায়ত্বশাসন বা তারও উচ্চ কোন শব্দ নেই জানা
নেহায়েত গোবেচারা
,
পেটের দায়ে, জীবনের বিকাশে হয়েছিলেম দেশ ছাড়া
তবুও পাইকারী হারে দোষী
হলেম বন্দী, নতুন অভিজ্ঞতা
মেনে নিলেম কোন আপত্তি ছিল না,
ছোট জেল, বড় জেল, বুঝিনি কোন কান্ড কারখানা
দু’টো বছর ধরে আপন করেছি জেলখানা
প্রত্যহ রুটি পেতাম
সকালে দু’খানা, বিকেলে দু’খানা
শুকিয়ে কাঠ হয়েছিলাম তাই ততোধিক প্রয়োজনও
হত না
বসন ভুষন অতি নগন্য
ছোট্ট একটি প্যান্ট তাও অর্ধখানা
কোমর থেকে মাঝে মাঝে পড়ে যেত,
আমারই অপরাধ, দেহে বল ছিল না।
কি জানি, কোথা হতে মাথায় ঢুকল গোরকচানা
বিদ্রোহ করলাম, স্লোগান দিলাম, রুটি খাবনা
কাঁচা, অসিদ্ধ, ময়লা আবর্জনা, তাও পুরো ভাঁজে না
ফিরিয়ে দিলাম, ঠিকাদার এল, মিনতি জানাল,
দর-ভাও ঠিক পাই না, আমাকে মারবেন না,
মনে মনে হাসি, মোরা তো মরে পড়ে আছি,
মোদের হাতে কি আছে তোমার মরা বাঁচার
তবুও অনুরোধ, কাতরোক্তি
আমায় মারবেন না।
ক্ষণিকের তরে হলেও মোরা রাজা
অন্তত একজন আছে নেতিয়ে পড়া পায়ের কাছে
প্রমাণ পেলাম, বন্দীরাও কিছু বলার আছে,
ক্ষুদে ক্ষুদে দাসের শক্তি জড় হয়ে বহু তখত উল্টে
দিয়েছে
শান্তনা দিলাম- তোমার বিরুদ্ধে নহে কোন অভিযোগ
মোরা তহশিলদারকে চাই- তাঁর কাছেই সব ব্যাথা
জানাতে চাই
নতুবা অনশন-
একদিন, দুদিন, তৃতীয় দিন
আর পারছি না, প্রবল চিৎকার
তহশিলদার ছুটে এলেন, শুধালেন,
অনেক প্রবোধ-বাক্য, শান্তনা,
বুঝতে পারলাম, মোরা নই তাঁর ভিন জনা
ভাঙ্গলাম মোর অনশন
আর নয় পর, সন্ধি করে হলেম প্রিয়জন
এবার খাবার পালা, পেয়েছি সবই খোলা
গোগ্রাসে এক লহমায় করব গলধকরণ
না তা আর হল কই
পানির ফোটাটুকুও গেলার উপর নেই
দারুণ ব্যথা কয়েকদিনের অনভ্যাসে
সবে যেন ভুলে গেছে নিজ নিজ দায়িত্ব
অলসের মত বসে থাকবে, সবই নিষ্কর্মা
দাারুণ প্রয়োজন, সময় সচল হবার
নয়ত এটা অপরাগতার, অতীব জরুরী অধ্যায়
সাহস করে এক চুমুক দুধ মুখে নিলাম
ঈষদুষ্ণ ছিল বলে একটু হাত এল
সে বিকেলে একটু তরল খাবার তুলে নিলাম
একটু আধটু অভ্যেস করে
দেখি কোন ফল লভে কি না
সমুদয় লাভের জন্য ধরেছিলাম অনশন
অথচ এমন লগ্নে রাজী হল তারা
ভক্ষণ করার শক্তি ছিল না, এসে পড়েছিল মোর
শেষ ক্ষণ
আমারই আপন যারা, স্বতঃস্ফুর্তভাবে করত সেবা
আজ তারাই হল বিক্ষুব্ধ, করছে প্রহশন
কী যে মন্ত্র পড়িয়েছে তাদের সে অলক্ষুনে দর্শন
কিছুটা ধৈর্য্য, সহনশীলতা, স্নেহ মমতা
এমনি করে কাজে এল পরিশেষে
সে বিক্ষুদ্ধ অন্তরতম আবিলতা
আজ আমি সজাগ, সজাগ মোর অন্তসত্বা
মান নয় অভিমান নয়, এক আন্তরিকতা
নিঃস্বার্থপ্রেম, সহমর্মিতা শত্রæমিত্র
মোরা এক অখন্ড, অভিন্ন জনতা
প্রত্যেকে মোরা প্রত্যেকের তরে
মিলে মিশে বসত করি একই পিতার ঘরে
একই অন্নজল দিয়ে পুষছেন
অভিন্ন প্রেম ঢেলে দিয়েছেন মোদের অন্তরে
মোরা থাকব চিরকাল সবার তরে।