স্বাধীনতা
তুমি কে
কোন অপরূপ মূর্তি
কী বিরাট বপু তোমার?
চলার পথে সব ভেঙ্গে কর চুরমার
কোন জঠর থেকে জন্মেছিলে?
কোন পিতার ঔরস থেকে দিয়েছিলে ঠাঁই
কোন বিরাঙ্গনার ক্রোড়ে?
জানত কি তারা শৈশবে, তুমি এমন হবে
জানত কি তারা এমন নৃশংস ভাবে
তুমি তাদের প্রাণ কেড়ে নিবে।
তোমাকে বাঁচাতে মাতা হল নিঃস্ব
হত হল ভ্রাতা, ভগ্নি হল রিক্তা
তুম কী দিয়েছ তাদের ফিরিয়ে!
কিছুই কি দিবে না?
যুগে যুগে তুমি এমনি করেছ বঞ্চিতা।
তোমাকে ভালবেসে এসেছে যারা
তারাই আজ পতিতা;
তবুও তোমার প্রতি অদম্য টান
পেতে চায়, কাঁদে প্রাণ,
লুকিয়ে লুকিয়ে রচে বাসর ঘর
শুধু তোমারই তরে
প্রত্যেক বিবেকবান আপন অন্তরে
কত অপরূপ ছবি আঁকে, তুমি পূর্ণভাবে বিকশিত
তোমার পূর্ণ কলেবর শোভা পাবে
আর অন্ধের ষষ্ঠির মত বৃদ্ধ জীর্ণ হতাশাগ্রস্থ পিতা
গুনতে থাকবে তাঁর শেষ লগ্নটি।
তারও একদা শক্তি ছিল, বীর্য ছিল,
সে সবকিছু ঢেলে দিয়েছেন অকাতরে
অপূর্ব করে, তুলছে তোমায় গড়ে!
কই তুমি যে কিছু বলছ না?
কী হল?
জবাব দাও
কেন কুরে কুরে খেয়েছ জনক জননী তোমার!
তোমাকে কোন পূজোয় লাগবে;
কী হবে তোমাকে দিয়ে?
নিথর নিস্তদ্ধ হয়ে আছ।
আরও চাই রক্ত, চাই ধ্বংস, বিনাশ।
কখন হবে কর্মক্ষম সবল, স্বাবলম্বী
সবাইকে দিবে শান্তনা
ক্লান্ত দেহে পাবে বিশ্রাম
তুমি দাওনি কাউকে তা
তোমাকে যে কী বলা যাবে পাইনা কোন ভাষা
নানা অজুহাতে খেয়েছ
খেয়েছ রক্ত ব্যারেলের পর ব্যারেল
তবুও বন্ধ হল না তোমার রক্তের খেল!
কখনও বলেছ সাদা কালোর চাই সমাধান;
কখনও বা নিজ গৃহে দেখেছ ব্যবধান
চাই রক্ত, চাই সবটুকু
যদি দেখতে চাও সমান।
আর ¯েœহাদ্ধ পিতা তোমার
ঢেলে দিল শেষ সম্বলটুকু তাঁর!
বড়ই আনন্দে আছ
তাদের পানে কি কভু তাকিয়েছ?
কঙ্কালসার দেহ নিয়ে ধুকছে
দ্বারে দ্বারে যাদের ঘরে তুমি বন্দি
মেতে আছ আমোদে, দিশা পাচ্ছনা!
তোমাকে সাজায় মখমল, আতর গোলাপ
বিশেষ বিশেষ দিনে তুমি সেজে উঠ নরবেশে
একটি বারও কি মনে পড়ে না তাঁর কথা;
যার জঠরে হয়েছিলে নির্মিত;
কোলে পিঠে মানুষ করেছে যে ভ্রাতা;
যে বোন তোমার তরে ভুলত নিজের ব্যথা;
তোমাকে আড়াল করে, রেখেছে বধির করে
শুনতে পাওনা, রয়েছ কাঁচের ঘরে!
চোখে পরিয়ে দিয়েছে কালো চসমা
এখন কাউকে চিনবে না
কারা তোমার ভাই বোন, বাবা মা,
যেন বড় কুটুমের ঘরে পেয়েছ আশ্রয়
তাই অতীতকে অবশ্যই ভুলতে
আবার কখন তোমায় দেখব জনভিড়ে
মনে পড়েনা, একদিনই মাত্র তোমার দেখা মিলে
স্লোগান, ইলেকশন বহিশক্তি আক্রমন
তখন তুমি ছুটে চল ঘরে ঘরে
প্রত্যেকের পাদ প্রান্তে, নতুবা বিনাশ।
তোমাকে পাওয়া যায় তোমার দুর্বলতায়
মাথায় পানি ঢালার ক্ষণে
অসুস্থ কাতর, চলৎশক্তি হারিয়ে
পঙ্গু হয়ে হুইল চেয়ারে থাকলে।
তবুও তোমার প্রতি মোহ কারও কাটেনা
কী রয়েছে নিগুঢ় মোহীনী শক্তি তোমাতে?
কথা বল, হে স্বাধীনতা।
তোমার জন্য, হ্যা তোমারই জন্য।
তুমি কে
কোন অপরূপ মূর্তি
কী বিরাট বপু তোমার?
চলার পথে সব ভেঙ্গে কর চুরমার
কোন জঠর থেকে জন্মেছিলে?
কোন পিতার ঔরস থেকে দিয়েছিলে ঠাঁই
কোন বিরাঙ্গনার ক্রোড়ে?
জানত কি তারা শৈশবে, তুমি এমন হবে
জানত কি তারা এমন নৃশংস ভাবে
তুমি তাদের প্রাণ কেড়ে নিবে।
তোমাকে বাঁচাতে মাতা হল নিঃস্ব
হত হল ভ্রাতা, ভগ্নি হল রিক্তা
তুম কী দিয়েছ তাদের ফিরিয়ে!
কিছুই কি দিবে না?
যুগে যুগে তুমি এমনি করেছ বঞ্চিতা।
তোমাকে ভালবেসে এসেছে যারা
তারাই আজ পতিতা;
তবুও তোমার প্রতি অদম্য টান
পেতে চায়, কাঁদে প্রাণ,
লুকিয়ে লুকিয়ে রচে বাসর ঘর
শুধু তোমারই তরে
প্রত্যেক বিবেকবান আপন অন্তরে
কত অপরূপ ছবি আঁকে, তুমি পূর্ণভাবে বিকশিত
তোমার পূর্ণ কলেবর শোভা পাবে
আর অন্ধের ষষ্ঠির মত বৃদ্ধ জীর্ণ হতাশাগ্রস্থ পিতা
গুনতে থাকবে তাঁর শেষ লগ্নটি।
তারও একদা শক্তি ছিল, বীর্য ছিল,
সে সবকিছু ঢেলে দিয়েছেন অকাতরে
অপূর্ব করে, তুলছে তোমায় গড়ে!
কই তুমি যে কিছু বলছ না?
কী হল?
জবাব দাও
কেন কুরে কুরে খেয়েছ জনক জননী তোমার!
তোমাকে কোন পূজোয় লাগবে;
কী হবে তোমাকে দিয়ে?
নিথর নিস্তদ্ধ হয়ে আছ।
আরও চাই রক্ত, চাই ধ্বংস, বিনাশ।
কখন হবে কর্মক্ষম সবল, স্বাবলম্বী
সবাইকে দিবে শান্তনা
ক্লান্ত দেহে পাবে বিশ্রাম
তুমি দাওনি কাউকে তা
তোমাকে যে কী বলা যাবে পাইনা কোন ভাষা
নানা অজুহাতে খেয়েছ
খেয়েছ রক্ত ব্যারেলের পর ব্যারেল
তবুও বন্ধ হল না তোমার রক্তের খেল!
কখনও বলেছ সাদা কালোর চাই সমাধান;
কখনও বা নিজ গৃহে দেখেছ ব্যবধান
চাই রক্ত, চাই সবটুকু
যদি দেখতে চাও সমান।
আর ¯েœহাদ্ধ পিতা তোমার
ঢেলে দিল শেষ সম্বলটুকু তাঁর!
বড়ই আনন্দে আছ
তাদের পানে কি কভু তাকিয়েছ?
কঙ্কালসার দেহ নিয়ে ধুকছে
দ্বারে দ্বারে যাদের ঘরে তুমি বন্দি
মেতে আছ আমোদে, দিশা পাচ্ছনা!
তোমাকে সাজায় মখমল, আতর গোলাপ
বিশেষ বিশেষ দিনে তুমি সেজে উঠ নরবেশে
একটি বারও কি মনে পড়ে না তাঁর কথা;
যার জঠরে হয়েছিলে নির্মিত;
কোলে পিঠে মানুষ করেছে যে ভ্রাতা;
যে বোন তোমার তরে ভুলত নিজের ব্যথা;
তোমাকে আড়াল করে, রেখেছে বধির করে
শুনতে পাওনা, রয়েছ কাঁচের ঘরে!
চোখে পরিয়ে দিয়েছে কালো চসমা
এখন কাউকে চিনবে না
কারা তোমার ভাই বোন, বাবা মা,
যেন বড় কুটুমের ঘরে পেয়েছ আশ্রয়
তাই অতীতকে অবশ্যই ভুলতে
আবার কখন তোমায় দেখব জনভিড়ে
মনে পড়েনা, একদিনই মাত্র তোমার দেখা মিলে
স্লোগান, ইলেকশন বহিশক্তি আক্রমন
তখন তুমি ছুটে চল ঘরে ঘরে
প্রত্যেকের পাদ প্রান্তে, নতুবা বিনাশ।
তোমাকে পাওয়া যায় তোমার দুর্বলতায়
মাথায় পানি ঢালার ক্ষণে
অসুস্থ কাতর, চলৎশক্তি হারিয়ে
পঙ্গু হয়ে হুইল চেয়ারে থাকলে।
তবুও তোমার প্রতি মোহ কারও কাটেনা
কী রয়েছে নিগুঢ় মোহীনী শক্তি তোমাতে?
কথা বল, হে স্বাধীনতা।
তোমার জন্য, হ্যা তোমারই জন্য।