ইউহোন্না ১০:১০
চোর কেবল চুরি, খুন ও নষ্ট করবার উদ্দেশ্য নিয়েই আসে। আমি এসেছি যেন তারা জীবন পায়, আর সেই জীবন যেন পরিপূর্ণ হয়।
লূক ১০:১০
যারা হারিয়ে গেছে তাদের তালাশ করতে ও নাজাত করতেই ইব্নে আদম এসেছেন।”
ইউহোন্না ৬:৫১
আমিই সেই জীবন্ত রুটি যা বেহেশত থেকে নেমে এসেছে। এই রুটি যে খাবে সে চিরকালের জন্য জীবন পাবে। আমার শরীরই সেই রুটি। মানুষ যেন জীবন পায় সেইজন্য আমি আমার এই শরীর দেব।”
ইউহোন্না ১২:৪৭
যদি কেউ আমার কথা শুনে সেইমত না চলে তবে আমি নিজে তার বিচার করি না, কারণ আমি মানুষকে দোষী প্রমাণ করতে আসি নি বরং মানুষকে নাজাত দিতে এসেছি।
ইউহোন্না ৬:৩৩
বেহেশত থেকে নেমে এসে যিনি মানুষকে জীবন দেন তিনিই আল্লাহ্র দেওয়া রুটি।”
ইউহোন্না ৩:১৭
আল্লাহ্ মানুষকে দোষী প্রমাণ করবার জন্য তাঁর পুত্রকে দুনিয়াতে পাঠান নি, বরং মানুষ যেন পুত্রের দ্বারা নাজাত পায় সেইজন্য তিনি তাঁকে পাঠিয়েছেন।
১ তীমথিয় ১:১৫
আল্লাহ্ মানুষকে দোষী প্রমাণ করবার জন্য তাঁর পুত্রকে দুনিয়াতে পাঠান নি, বরং মানুষ যেন পুত্রের দ্বারা নাজাত পায় সেইজন্য তিনি তাঁকে পাঠিয়েছেন।
মথি ২০:২৮
“মনে রেখো, ইব্নে–আদম সেবা পেতে আসেন নি বরং সেবা করতে এসেছেন এবং অনেক লোকের মুক্তির মূল্য হিসাবে তাদের প্রাণের পরিবর্তে নিজের প্রাণ দিতে এসেছেন।”
ইউহোন্না ১০:১
“আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, যে কেউ মেষের খোঁয়াড়ের দরজা দিয়ে না ঢুকে অন্য দিক দিয়ে ঢোকে সে চোর ও ডাকাত।
ইব্রানী ৭:২৫
এইজন্য যারা তাঁর মধ্য দিয়ে আল্লাহ্র কাছে আসে তাদের তিনি সম্পূর্ণ ভাবে নাজাত করতে পারেন, কারণ তাদের পক্ষে অনুরোধ করবার জন্য তিনি সব সময় জীবিত আছেন।
ইহিষ্কেল ৩৪:২-৪
“হে মানুষের সন্তান, ইসরাইলের পালকদের বিরুদ্ধে তুমি নবী হিসাবে এই কথা বল যে, আল্লাহ্ মালিক বলছেন, ‘ঘৃণ্য, ইসরাইলের সেই পালকদের, যারা কেবল নিজেদেরই দেখাশোনা করে! মেষপালের দেখাশোনা করা কি পালকদের উচিত নয়? তোমরা তো চর্বি খাও, পশম দিয়ে কাপড় বানিয়ে পর এবং বাছাই করা ভেড়া জবাই কর, কিন্তু তোমরা ভেড়াগুলোর যত্ন কর না। তোমরা দুর্বলদের সবল কর নি, অসুস্থদের সুস্থ কর নি, আহতদের ঘা বেঁধে দাও নি। যারা বিপথে গেছে তাদের তোমরা ফিরিয়ে আন নি কিংবা হারিয়ে যাওয়া লোকদের তালাশ কর নি, বরং কড়া ও নিষ্ঠুরভাবে তাদের শাসন করেছ।
রোমীয় ৫:১৩-২১
মূসার শরীয়ত দেবার আগেই দুনিয়াতে গুনাহ্ ছিল, কিন্তু শরীয়ত না থাকলে তো গুনাহ্কে গুনাহ্ বলে ধরা হয় না। তবুও আদমের সময় থেকে শুরু করে মূসার সময় পর্যন্ত সকলের উপরেই মৃত্যু রাজত্ব করছিল। এমন কি, আল্লাহ্র হুকুম অমান্য করে যারা আদমের মত গুনাহ্ করে নি তাদের উপরেও মৃত্যু রাজত্ব করছিল। যাঁর আসবার কথা ছিল আদম ছিলেন একদিক থেকে সেই ঈসা মসীহেরই ছবি। কিন্তু আদমের গুনাহ্ যে রকম, আল্লাহ্র বিনামূল্যের দান সেই রকম নয়। যখন একজন লোকের গুনাহের ফলে অনেকে মরল তখন আল্লাহ্র রহমতের এবং আর একজন মানুষের দয়ার মধ্য দিয়ে যে দান আসল, তা সেই অনেকের জন্য আরও কত না বেশী করে উপ্চে পড়ল! সেই আর একজন মানুষ হলেন ঈসা মসীহ্। আল্লাহ্র দান আদমের গুনাহের ফলের মত নয়, কারণ একটা গুনাহের বিচারের ফলে সব মানুষকেই শাস্তির যোগ্য বলে ধরা হয়েছে, কিন্তু ধার্মিক বলে আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য হওয়ার এই যে রহমতের দান, তা অনেক গুনাহের ফলে এসেছে। একজন মানুষের গুনাহের দরুন মৃত্যু সেই একজনের মধ্য দিয়েই রাজত্ব করতে শুরু করেছিল। কিন্তু যারা প্রচুর পরিমাণে আল্লাহ্র রহমত ও ধার্মিক বলে তাঁর গ্রহণযোগ্য হওয়ার দান পায়, তারা সেই একজন মানুষের, অর্থাৎ ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে জীবনের পরিপূর্ণতা নিয়ে নিশ্চয়ই রাজত্ব করবে। তাহলে একটা গুনাহের মধ্য দিয়ে যেমন সব মানুষকেই শাস্তির যোগ্য বলে ধরা হয়েছে, তেমনি একটা ন্যায় কাজের মধ্য দিয়ে সব মানুষকেই ধার্মিক বলে গ্রহণ করবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে এবং তার ফল হল অনন্ত জীবন। যেমন একজন মানুষের অবাধ্যতার মধ্য দিয়ে অনেককেই গুনাহ্গার বলে ধরা হয়েছিল, তেমনি একজন মানুষের বাধ্যতার মধ্য দিয়ে অনেককেই ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হবে। শরীয়ত দেওয়া হল যাতে অন্যায় বেড়ে যায়, কিন্তু যেখানে অন্যায় বাড়ল সেখানে আল্লাহ্র রহমতও আরও অনেক পরিমাণে বাড়ল। সেই রহমত এইজন্য বাড়ল যাতে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যেমন গুনাহ্ রাজত্ব করেছিল, তেমনি মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করবার মধ্য দিয়ে এখন তাঁর রহমত রাজত্ব করতে পারে; আর তারই ফল হল আমাদের হযরত ঈসা মসীহের মধ্য দিয়ে অনন্ত জীবন লাভ।