তাঁতশ্রমিক শাহ আলম, সাহেদ আলী, সোবাহান, সুফিয়া ও জাহানারা জানান, নববর্ষ ও ঈদকে সামনে রেখে তাঁত মালিকরা আবার কারখানা চালু করেছেন। ফলে আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। এখন প্রতিদিনই কাজ হচ্ছে। কিছুদিন আগেও মাঝেমধ্যে কারখানা বন্ধ থাকত। তখন সংসারে অভাব অনটন লেগে থাকত। এখন তাঁত চালু হওয়ায় আমাদের অভাব দূর হয়েছে। বেলকুচি উপজেলার আব্দুল মজিদ খান, ফারুক হোসেন, চান মিয়া ও আশরাফ আলীসহ একাধিক তাঁত মালিক জানান, বর্তমান বাজার ভালো থাকায় দীর্ঘ দিনের নানা সমস্যা কাটিয়ে লাভের আশা করছি। আসন্ন নববর্ষ ও দুটি ঈদ উপলক্ষ্যে ব্যবসা ভালো হবে বলে মনে করেন তারা।
বেলকুচি উপজেলা তাঁত বোর্ড সমিতির সভাপতি হাজি বেলাল হোসেন জানান, বর্তমান বাজার ভালো দেখে লাভের আশায় তাঁত মালিকরা ঋণ করেও কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করছি, সবাই লাভবান হবেন। সিরাজগঞ্জ তাঁত বোর্ডের লিয়াজু অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মিথুন কুমার সরকার জানান, তাঁতমালিকদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের পাশাপাশি সরকারি সব সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, এবার সব মন্দা কাটিয়ে তাঁত মালিকরা লাভবান হবেন