পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট ক্রমেই বাড়ছে। দেশটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে হু হু করে। সাধারণ মানুষ এখন মহাসংকটে। রিজার্ভ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দীর্ঘদিন ধরে আইএমএফের কাছে ঋণের জন্য দেনদরবার করলেও এখনো মেলেনি। কড়া শর্ত মানলেই কেবল ঋণ মিলবে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও স্বীকার করেছেন যে, আইএমএফের শর্ত মানাটা খুবই কঠিন। যদিও দেশকে দেউলিয়াত্ব থেকে ঠেকাতে কিছু করার নেই। এই সংকট নিয়ে যখন দেশ বিপর্যস্ত তখন রাজনৈতিক সংকট আরো গভীর হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারে উঠেপড়ে লেগেছে শাহবাজের সরকার। যদিও সমর্থকদের কারণে এখনো তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নতুন করে আবার পাকিস্তানে সংকট সৃষ্টি হয়েছে ইমরান খানের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে। গত ১৫ মার্চ তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে পুলিশ দুই দিন তার লাহোরের বাসভবন জামান পার্কের বাসার সামনে অবস্থান নিয়েছিল। এমনকি আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সও সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। কারণ তাকে গ্রেফতার করা হবে এমন খবর শুনে হাজার হাজার সমর্থক জামান পার্কের সামনে হাজির হয়। তারা বিক্ষোভ করতে থাকে। এমনকি বাসার সামনে শিপিং কনটেইনারও রেখে দেয়। পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ হটতে বাধ্য হয়।
পুলিশের পিছু হটার খবর সারা বিশ্বের গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। একই সঙ্গে জানা যায়, ক্রিকেট দলের সাবেক বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেনকে ক্রিকেটই বাঁচিয়ে দিয়েছে। কারণ ১৫ মার্চ ছিল পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) নকআউট ম্যাচ। পাঞ্জাব প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী আমির মীর জানান, লাহোরের একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট যাতে ঠিক মতো হতে পারে সেজন্য পুলিশ খানকে গ্রেফতারের অভিযান স্থগিত করেছে। আমির মীর ক্রিকেটের কথা বললেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন অন্য কথা। তিনি জানিয়েছিলেন, ইমরান খান গ্রেফতার থেকে বাঁচতে সমর্থকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন। তার কথায় বোঝা যায় যে, ইমরান খানের জনপ্রিয়তা কম নয়।