মাদকদ্রব্য ও নিষিদ্ধপণ্য প্রকাশ্য দিবালোকে জনসমক্ষে পুড়িয়ে ছাই করার দৃশ্য সভ্যতা ও আইনশৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে। বুলডোজার দিয়ে ফেনসিডিলের স্তূপ পিষ্ট করে দেয়ার ঘটনা দেখে জনমনে আনন্দ জেগেছে, তারা বুঝতে পেরেছে সরকার দেশ ও জাতিকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে বড়ই তৎপর, আন্তরিক।
কতিপয় দেশে আইন আছে, চোরের শাস্তি হাত কেটে দেয়া। আপাতঃদৃষ্টে বিষয়টি যোগ্য শাস্তি হতে পারে তবে তা সৃষ্ট সমস্যার যোগ্য ও চিরস্থায়ী সমাধান নয় কিছুতেই। জানতে হবে চোর কেন চুরি কেন, এটা কি তার অভ্যাস না নিরুপায়ের উপায়? একজন ক্ষুধার্ত ব্যক্তির খাদ্য চাই। ক্ষুধার্তকে অন্নদান সভ্যসমাজের অপরিহার্য দায়িত্ব। মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার অন্যতম চাহিদা হলো অন্ন। জন্মলগ্ন থেকে মানুষ সংগ্রাম করে আসছে কেবল বাঁচার তাগিদে। বাগানে উপ্ত বীজ শত বাধা সত্তে¡ও স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি লাভ করে উর্ধ্ব মুখে এবং বাহ্যিক বাধা না পাওয়া পর্যন্ত তা বেড়ে চলতে থাকে আলোর দিকে। বৃক্ষের গতি আকৃতি বেঁকে যায় কেবল বাধার কারণে। বাঁকা শাখা কেটে দিলে পরবর্তী শাখা-প্রশাখা যে সরল উলম্বাকারে বৃদ্ধি পাবে তার নিশ্চয়তা কে দিতে পারে?
আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধপথে মাদকদ্রব্য এসেছে এবং অদ্যবধি তেমন অবৈধ কর্ম জারি রযেছে খবরে প্রকাশ বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্যাদি সরকার উদ্ধার ও ধ্বংস করেছে।
আমাদের প্রশ্ন, বিষবৃক্ষের ফল সবগুলো একত্রে নষ্ট করে ফেললে সমূহ করতালি লাভ করা যেতে পারে, কিন্তু তেমন কর্মে বিষক্রিয়ার চিরস্থায়ী সমাধান লাভ করা সম্ভব হবে কি? বৃক্ষটি যতোদিন সুস্থাবস্থায় বেঁচে থাকবে ঋতুপর্যায়ে ততোদিন সে ফুলফল উৎপাদন করে চলবে। বিষবৃক্ষের বিষাক্ত প্রভাব থেকে বাঁচতে হলে বৃক্ষটিকে সমূলে উৎপাটন করা আবশ্যিক।
হাসপাতালে রোগীদের ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়। আসলে এটা কি কোনো রোগের চিকিৎসা না সান্ত¦নাদানকারী কোনো সাময়িক ব্যবস্থা? ক্ষণিকের জন্য ঘুমোতে কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় না নিশ্চয়ই।
আমাদের দেখতে হবে, কোন পথে কার ব্যবহারের জন্য মাদকদ্রব্য দেশে ঢুকছে। কারা বয়ে আনছে ওগুলো। নিশ্চয়ই দ্রব্যের কোনো হাত-পা গজায়নি যে নিজে নিজে সীমান্তের কড়া নজর ও বেষ্টনি এড়িয়ে সুরসুর করে ঢুকে পড়বে দেশের আনাচে-কানাচে, প্রতিটি জনপদে। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে পাচারকারীদের, তাদের সহযোগীদের। তাদের কাছে জানতে হবে বদ্ধপাগলসম ধ্বংসের পথে ছুটে যাবার কারণ। মরণ নেশার ঘোর থেকে তাদের ফিরাতে হবে। বাজারে ভোক্তার অভাব হলে দ্রব্য সরবরাহ আপনা থেকে বন্ধ হয়ে যায়। আবার ভোক্তা সৃষ্টির জন্য কখনো কখনো অভিযান চালানো হয়ে থাকে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে বিষাক্ত মাদকদ্রব্যের ভোক্তা সৃষ্টিকল্পে যুবসমাজের মধ্যে অদ্যাবধি গোপনে অভিযান চালানো হচ্ছে। যুবসমাজ হলো দেশের ভবিষ্যত। যুবসমাজ ধ্বংস করার অর্থ দেশকে ধ্বংস করা। আর দেশই যদি না থাকে তবে সরকার বাহাদুর থাকবে কি করে?
কথায় বলে ‘ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়’। বর্তমানে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে সমাজকে নতুন করে ঢেলে সাজাবার। যে-সকল বিষক্রিয়া তিলে তিলে সমাজকে ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকারের অতল গর্বে তা অবশ্যই সমূলেও চিরতরে নাশ করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ।
মানুষের মর্যাদা ইট-পাথরের অনেক ঊর্ধ্বে। ইট-পাথরের কারণে মানুষ যেন হত না হয় তেমন উগ্র ও অন্ধ উন্মাদনা থেকে জাতিকে বাঁচাতে হবে। মানুষ হত্যার মন্ত্র সমাজে অশান্তি ছাড়া শান্তি বয়ে আনতে পারে না; স্থান-কাল-পাত্র, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নরবিধ্বংসী মন্ত্র সর্বযুগে অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
মাদক দ্রব্যের দু-একটি চালান বুলডোজার দিয়ে পিষ্ট করা হবে মাদক-মুক্তি অভিযানের সূচনালগ্ন মাত্র। দেশ-জনতাকে এগিয়ে যেতে হবে প্রত্যয় ও আন্তরিকতার সাথে, তবেই অর্থবহ হবে রক্তের মূল্যে অর্জিত আমাদের এ-স্বাধীনতা।
কতিপয় দেশে আইন আছে, চোরের শাস্তি হাত কেটে দেয়া। আপাতঃদৃষ্টে বিষয়টি যোগ্য শাস্তি হতে পারে তবে তা সৃষ্ট সমস্যার যোগ্য ও চিরস্থায়ী সমাধান নয় কিছুতেই। জানতে হবে চোর কেন চুরি কেন, এটা কি তার অভ্যাস না নিরুপায়ের উপায়? একজন ক্ষুধার্ত ব্যক্তির খাদ্য চাই। ক্ষুধার্তকে অন্নদান সভ্যসমাজের অপরিহার্য দায়িত্ব। মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার অন্যতম চাহিদা হলো অন্ন। জন্মলগ্ন থেকে মানুষ সংগ্রাম করে আসছে কেবল বাঁচার তাগিদে। বাগানে উপ্ত বীজ শত বাধা সত্তে¡ও স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি লাভ করে উর্ধ্ব মুখে এবং বাহ্যিক বাধা না পাওয়া পর্যন্ত তা বেড়ে চলতে থাকে আলোর দিকে। বৃক্ষের গতি আকৃতি বেঁকে যায় কেবল বাধার কারণে। বাঁকা শাখা কেটে দিলে পরবর্তী শাখা-প্রশাখা যে সরল উলম্বাকারে বৃদ্ধি পাবে তার নিশ্চয়তা কে দিতে পারে?
আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধপথে মাদকদ্রব্য এসেছে এবং অদ্যবধি তেমন অবৈধ কর্ম জারি রযেছে খবরে প্রকাশ বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্যাদি সরকার উদ্ধার ও ধ্বংস করেছে।
আমাদের প্রশ্ন, বিষবৃক্ষের ফল সবগুলো একত্রে নষ্ট করে ফেললে সমূহ করতালি লাভ করা যেতে পারে, কিন্তু তেমন কর্মে বিষক্রিয়ার চিরস্থায়ী সমাধান লাভ করা সম্ভব হবে কি? বৃক্ষটি যতোদিন সুস্থাবস্থায় বেঁচে থাকবে ঋতুপর্যায়ে ততোদিন সে ফুলফল উৎপাদন করে চলবে। বিষবৃক্ষের বিষাক্ত প্রভাব থেকে বাঁচতে হলে বৃক্ষটিকে সমূলে উৎপাটন করা আবশ্যিক।
হাসপাতালে রোগীদের ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়। আসলে এটা কি কোনো রোগের চিকিৎসা না সান্ত¦নাদানকারী কোনো সাময়িক ব্যবস্থা? ক্ষণিকের জন্য ঘুমোতে কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় না নিশ্চয়ই।
আমাদের দেখতে হবে, কোন পথে কার ব্যবহারের জন্য মাদকদ্রব্য দেশে ঢুকছে। কারা বয়ে আনছে ওগুলো। নিশ্চয়ই দ্রব্যের কোনো হাত-পা গজায়নি যে নিজে নিজে সীমান্তের কড়া নজর ও বেষ্টনি এড়িয়ে সুরসুর করে ঢুকে পড়বে দেশের আনাচে-কানাচে, প্রতিটি জনপদে। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে পাচারকারীদের, তাদের সহযোগীদের। তাদের কাছে জানতে হবে বদ্ধপাগলসম ধ্বংসের পথে ছুটে যাবার কারণ। মরণ নেশার ঘোর থেকে তাদের ফিরাতে হবে। বাজারে ভোক্তার অভাব হলে দ্রব্য সরবরাহ আপনা থেকে বন্ধ হয়ে যায়। আবার ভোক্তা সৃষ্টির জন্য কখনো কখনো অভিযান চালানো হয়ে থাকে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে বিষাক্ত মাদকদ্রব্যের ভোক্তা সৃষ্টিকল্পে যুবসমাজের মধ্যে অদ্যাবধি গোপনে অভিযান চালানো হচ্ছে। যুবসমাজ হলো দেশের ভবিষ্যত। যুবসমাজ ধ্বংস করার অর্থ দেশকে ধ্বংস করা। আর দেশই যদি না থাকে তবে সরকার বাহাদুর থাকবে কি করে?
কথায় বলে ‘ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়’। বর্তমানে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে সমাজকে নতুন করে ঢেলে সাজাবার। যে-সকল বিষক্রিয়া তিলে তিলে সমাজকে ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকারের অতল গর্বে তা অবশ্যই সমূলেও চিরতরে নাশ করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ।
মানুষের মর্যাদা ইট-পাথরের অনেক ঊর্ধ্বে। ইট-পাথরের কারণে মানুষ যেন হত না হয় তেমন উগ্র ও অন্ধ উন্মাদনা থেকে জাতিকে বাঁচাতে হবে। মানুষ হত্যার মন্ত্র সমাজে অশান্তি ছাড়া শান্তি বয়ে আনতে পারে না; স্থান-কাল-পাত্র, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নরবিধ্বংসী মন্ত্র সর্বযুগে অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
মাদক দ্রব্যের দু-একটি চালান বুলডোজার দিয়ে পিষ্ট করা হবে মাদক-মুক্তি অভিযানের সূচনালগ্ন মাত্র। দেশ-জনতাকে এগিয়ে যেতে হবে প্রত্যয় ও আন্তরিকতার সাথে, তবেই অর্থবহ হবে রক্তের মূল্যে অর্জিত আমাদের এ-স্বাধীনতা।