সোনার তরী নামক কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরশ পাথর কবিতায় তুলনামূলকভাবে দেখিয়েছেন না পাওয়ার বেদনার চেয়ে পেয়ে তা হারাবার মর্মপীড়া ব্যক্তিকে অনন্তকাল ধরে অধিক পরিমানে তুষানলে জ¦ালাতে থাকে। জটাধারী খ্যাপা যিনি বেলাভূমে পরশ পাথর খুঁজে ফিরছিলেন, তার সমস্যা ছিল, যা কিছু খুঁজে পেল তা পরীক্ষা না করেই তাচ্ছিল্ল ভরে ফেলে দেয়ার হেয়ালী তাকে তাড়িয়ে নিল পাহাড়ের শীর্ষ থেকে পাদপ্রান্তে।
ব্যক্তির অনুসন্ধানী চোখ থাকতে পারে যা আশাব্যাঞ্জক, তবে তাকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে ক্লান্তিকর শ্রমের ফসলের দিকে। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা দেশ জনতার কল্যাণে সমৃদ্ধির দিকে ক্রমান্বয়ে চালিয়ে নেয়া হবে অধিক দায়িত্বপূর্ণ বুদ্ধিমত্তা ও প্রকৃত দেশ প্রেমের কাজ।
কবিতার নায়ক স্বীয় লোহার কোমর বন্ধনির পরিবর্তন হতে দেখে বুঝতে পেরেছিল, তার জীবনে কাঙ্খিত বস্তুর প্রাপ্তী ঘটেছিল, পরিতাপের বিষয় হলো, পেয়েও তা হারিয়ে বসলো।
খ্যাপার কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা হলো, পরশ পাথর তুল্য স্বাধীনতা যা ত্যাগ-তিতীক্ষা ও এক সাগর রক্তের মূল্যে অর্জিত হয়েছে তা অবিবেচকের মতো হটকারীতার ফলে কোনোভাবেই হাতছাড়া করার উপায় নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেন ভূলুন্ঠিত হয়ে না পড়ে সেদিকে আমাদের অবশ্যই নজর রাখতে হবে। আর তেমন চেতনা হলো সবার উপর মানুষ সত্য; জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল মানুষ একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম শোষণ নির্যাতনের করাল গ্রাস থেকে অবমুক্তির জন্য, এক চূড়ান্ত মূল্যে আমরা হলাম অতন্দ্র প্রহরী স্বাধীননতা সার্বভৌমত্ব রক্ষাকল্পে।
চেতনার বিকাশ ঘটে সাহিত্যের মাধ্যমে, ব্যক্তির চিন্তা উম্মেষ ব্যক্তি থেকে সমাজের সর্বস্তরে হস্তান্তরিত হয়ে থাকে পুথিপুস্তকের মাধ্যমে; ফেব্রæয়ারীর বই মেলাকে অনুপ্রাণীত করছি সর্বান্তকরণে।
ব্যক্তির অনুসন্ধানী চোখ থাকতে পারে যা আশাব্যাঞ্জক, তবে তাকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে ক্লান্তিকর শ্রমের ফসলের দিকে। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা দেশ জনতার কল্যাণে সমৃদ্ধির দিকে ক্রমান্বয়ে চালিয়ে নেয়া হবে অধিক দায়িত্বপূর্ণ বুদ্ধিমত্তা ও প্রকৃত দেশ প্রেমের কাজ।
কবিতার নায়ক স্বীয় লোহার কোমর বন্ধনির পরিবর্তন হতে দেখে বুঝতে পেরেছিল, তার জীবনে কাঙ্খিত বস্তুর প্রাপ্তী ঘটেছিল, পরিতাপের বিষয় হলো, পেয়েও তা হারিয়ে বসলো।
খ্যাপার কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা হলো, পরশ পাথর তুল্য স্বাধীনতা যা ত্যাগ-তিতীক্ষা ও এক সাগর রক্তের মূল্যে অর্জিত হয়েছে তা অবিবেচকের মতো হটকারীতার ফলে কোনোভাবেই হাতছাড়া করার উপায় নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেন ভূলুন্ঠিত হয়ে না পড়ে সেদিকে আমাদের অবশ্যই নজর রাখতে হবে। আর তেমন চেতনা হলো সবার উপর মানুষ সত্য; জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল মানুষ একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম শোষণ নির্যাতনের করাল গ্রাস থেকে অবমুক্তির জন্য, এক চূড়ান্ত মূল্যে আমরা হলাম অতন্দ্র প্রহরী স্বাধীননতা সার্বভৌমত্ব রক্ষাকল্পে।
চেতনার বিকাশ ঘটে সাহিত্যের মাধ্যমে, ব্যক্তির চিন্তা উম্মেষ ব্যক্তি থেকে সমাজের সর্বস্তরে হস্তান্তরিত হয়ে থাকে পুথিপুস্তকের মাধ্যমে; ফেব্রæয়ারীর বই মেলাকে অনুপ্রাণীত করছি সর্বান্তকরণে।