যে কোনো পুস্তকের প্রধান উপাধি যদি সাবটাইটেলের দ্বারা ঢেকে দেয়া হয়, তবে তা বোকামি অথবা চাতুরতা বলা যাবে।
পুস্তকের উপাধি (Title) উক্ত পুস্তকের বিষয়বস্তুর প্রকাশ করে, যেমন গৌরচন্দ্রিকা পুস্তকের আলোচ্য বিষয়ের সারমর্ম প্রকাশ করে থাকে।
বলা হয় খোদা আঠারো হাজার প্রাণী সৃষ্টি করেছেন, তার মধ্যে মানুষ হলো শ্রেষ্ঠ ও অদৃশ্য খোদার দৃশ্যমান প্রতিচ্ছবি। অর্থাৎ মানুষ দেখে বাতেনি খোদাকে দেখা যাবে। সেই মুনষ্যজাতিকে নিয়ে মানবরূপী নারদের দল হিংসা-বিদ্বেষে তেতে ওঠে মরণ খেলায় মেতে উঠেছে, তা সুসভ্য মানুষের পক্ষে কল্পনা করাও অসম্ভব!
নরঘাতক তো নর হতে পারে না, নরঘাতকের পরিচয় হলো, সে একটা আস্ত নারদ, জঘণ্য ইবলিস, হয়তো বলবেন বাহ্যত তাকে মানুষের চেহারায় দেখা যায়, হোক না তা, অবয়ব তো সব কথা নয়, দেখতে হবে তার চরিত্র, দেখতে হবে ওর অন্তর জান্তব-দানব দিয়ে পুরে রাখা হয়েছে। মানুষের অন্তর যা কিছু দিয়ে থাকে পরিপূর্ণ, মুখ থেকে তেমন কথাই প্রকাশ পায়, কার্যত তেমন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে উক্ত আশ্রিত ব্যক্তি।
মানুষ আসলে দুটো আত্মা দ্বারা হয়ে থাকে পরিচালিত; সত্যের আত্মা আর মিথ্যা বা ছলনার আত্মা। খোদা হলেন সত্য ও প্রেম। যে ব্যক্তির হৃদয়ে থাকে খোদার বাস, তেমন ব্যক্তি নিয়ত চলে থাকে সত্যের পথে, কল্যাণের পথে, মানুষের কল্যাণ বই অকল্যাণ করতে সে পারে না। খোদা মানুষকে প্রেম করলেন এক চুড়ান্ত মূল্য দিয়ে। নিজের পূতপবিত্র কালাম ও পাকরূহ, মানুষের রূপে প্রেরণ করলেন, পথ ভুলো বিপন্ন মানুষ সত্য সুন্দরের পথে ফিরিয়ে নেবার জন্য। যাকে পতিত বিশে^ প্রেরণ করলেন তিনি হলেন সম্পূর্ণ বেগুনাহ অতুলনীয় একক ব্যক্তি।
কুমারী মরিয়ম নাম্মী সতিসান্ধি এক নারীর গর্ভের মাধ্যমে; তিনি হলেন প্রেমের পারাবার, মানুষের প্রতি প্রেমের আতিসহ্যে জগতের পাপের কাফফারা পরিশোধ করার জন্য স্বীয় প্রাণ পর্যন্ত দিলেন কোরবানি গুনাহের মাশুল বেগুনাহ রক্ত। জাল টাকা দিয়ে যেমন ঋণ শোধ দেয়া সম্ভব নয়, তেমনি গুনাহে কলুষিত রক্ত দিয়ে মুক্তির মাশুল শোধ দেয়াও সম্ভব নয়।
এ হলো খোদার আত্মা পাকরূহ, যিনি মানুষকে আত্মবৎ প্রেম করেন। যেমন খাঁটি প্রেমের মধ্যে কুটিলতার অবকাশ থাকতে পারে না। আর খোদার বিপরীতে রয়েছে ইবলিস, যে কিনা বদ্ধপরিকর, খোদার সুমহান সৃষ্টি ধ্বংস করার জন্য। ছলে-বলে, কলা-কৌশলে খোদার প্রিয় সৃষ্টি মানুষ ছারখার করে ছাড়ছে।
ইবলিসের মরণঘাতি খেলা শুরু হয়েছে খোদ এদন-কানন থেকে। আদম-হাওয়া মহাসুখেই কালাতিপাত করছিলেন খোদার সকাশে এদন বাগানে। প্রলোভন ও কুমন্ত্রণা দিতে শুরু করলো তাদের খোদাদ্রোহী অভিশপ্ত নরকের কীটে পরিণত করার জন্য। এক সময় তারা ফাঁদে হলো পতিত, ধরা খেল, হলো বিতাড়িত অবাধ্য যুগল, খোদার অন্তরঙ্গ ও নৈকট্য থেকে। সন্দেহ সৃষ্টি হলো খোদার প্রতি তাদের অন্তরে। গাল ভরা মিথ্যাচারে তারা হলো প্রলুব্ধ প্রতারিত, পরিশেষে হলো বন্দি ইবলিসের কয়েদখানায়। অবাধ্যতার পরিণতি ও কার্যকারিতা একে একে প্রকাশ পেতে শুরু করলো,কাবিল তার সহোদর ভ্রাতা হাবিলকে মেরে ফেললো পার্থিব স্বার্থ উদ্ধারের জন্য। মানুষের অন্তরে সঞ্চালিত হয়ে চললো সর্বপ্রকার ক্ষতিকারক চাল যা কেবল ইবলিসের রচনা সামগ্রী।
আজ আমরা বুঝতে পারি, যে মন্ত্র মানুষের ক্ষতি করে চলছে তা অবশ্যই অভিশপ্ত ইবলিসের রচিত গ্রন্থ; আর খোদার পক্ষ থেকে যা কিছু এসেছে, তাতে মানুষের কোনো ক্ষতিকারক ইন্ধন খুঁজে পাবার নয়, তাতে রয়েছে কেবল কল্যাণ আর কল্যাণ (যিহিষ্কেল ২৯ ঃ ১১)।
খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহ হলেন অদৃশ্য খোদার দৃশ্যমান প্রতিচ্ছবি। তিনি কোনো মানুষকে অভিযোগ দিলেন না, মানুষ আজ অসহায় শিকার, তা তাঁর জানা আছে! মানুষের বিবেক, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, শক্তি-সামর্থ সবকিছুই সীমিত, মানুষ আজ অন্ধকার ও পংকে ডুবন্ত, যেমন পংকে বসকারী প্রাণী, যা কিছু করে চলে, তা তো পংকেরই ফসল। যেমন জন্মান্ধের কাছে আলো আঁধার সমার্থক! শতরূপা পাতাবাহার নিয়ে তাকে দেখান, তারপর এসে বলুন। একটি অক্ষরজ্ঞানশুণ্য মানুষের কাছে সাহিত্য পত্রের কোনো মূল্য পাবেন কি? সে কি বলতে পারবে তেমন পত্রের মর্মার্থ! অসম্ভব! কোনো এক গন্ডমূর্খ বধুর কাছে লেখা প্রেমপত্র, পড়াতে গিয়ে দেবরদের কাছ থেকে যদি কিছু ফাও উপহার পেয়ে যায়, তবে তাতে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই।
প্রেম পত্র প্রেরণ করলেন খোদাএমন এক ব্যক্তির কাছে, যার মর্মার্থ হলো, ‘দেখা ভাইকে যে প্রেম করতে পারে না সে অদেখা বা অদৃশ্য রুহানি খোদার সেবা করতে পারে কি করে।’ তেমন ব্যক্তি খোদার কালাম বাস্তবায়ন করার জন্য তার তরবারি শণিত করতে শুরু করলো। হায়রে ধর্মান্ধ! খোদার আজ্ঞা মানব হত্যা নয়, আর্তপীড়িত দুঃস্থ মানুষকে সেবা দেয়া, সুস্থ করা হলো আসল কথা। কথায় বলে, মানবতার সেবার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের সেবা হয় বাস্তবায়িত। খোদার দুষমন কোনো মানুষ নয়, খোদার দুষমন হলো একমাত্র ইবলিস। হুজুরগণ বয়ান দেবার পূর্বে ইবলিসের কবল থেকে বাঁচার জন্য ফরিয়াদ জ্ঞাপন করে, তারপর বয়ান শুরু করে।
তাহলে প্রমাণ হলো, দিবালোক আর রাতের নিকশ কালো আঁধারের মতো বিশ্বটা দুটো বিপরীত আত্মার দ্বারা হচ্ছে পরিচালিত; একটি হলো শুভশক্তি, সত্যের আত্মা যা হলো খোদার আত্মা, আর একটি হলো মন্দ আত্মা ইবলিসের আত্মা। এ দুটো শক্তি পরষ্পর বিপরীতমুখী, যাদের মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপন করা অসম্ভব, সম্ভব নয় এদের সহাবস্থান। যেমন দুই মেরু; উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরু, পারবেন কি এদের গোল টেবিলে বসাতে। তেমন প্রচেষ্টা হবে মেঘের উপরে সজ্যা পেতে আরাম করার অবাস্তব প্রচেষ্টা।
কথায় বলে, মানুষ মাত্র ভুলের শিকার। ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগানো সম্ভব, তবে জেগে জেগে যে ঘুমের ভান ধরে থাকে, তাকে বোমা মারা ছাড়া আর কিভাবে জাগাবেন!
প্রসংগক্রমে রোহিঙ্গা জনগোষ্টি স্বদেশে দানবের হাতে নির্যাতন নিপিড়নের শিকার। বিশ্বের সকল মানবতাবাদী ব্যক্তিদের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে দানবের কবল থেকে মানবের উদ্ধার সম্ভব! তবে মনে রাখতে হবে, কুৎসিত বিবেকের তাড়নে মানবতার ঐক্য ভেঙ্গে দিয়ে রামরাজত্ব বা মগের মল্লুক রচনা করে রেখেছে যারা তাদের সহযোগীতা পেতে কিছুটা বেগ পেতে হতে পারে, তবুও প্রচেষ্টা নিতে দোষ কি? আমার গানে যথার্থ বর্ণীত রয়েছে, ‘মানুষের মাঝে টানে অভেধ সীমানা, পশুর কাতারে তাদের করিবে যোজনা, রচিয়া মাটির মানুষ দিলেন প্রেরণা, খোদার নায়েবভূমে অমোগ ঘোষণা…’।
পুস্তকের উপাধি (Title) উক্ত পুস্তকের বিষয়বস্তুর প্রকাশ করে, যেমন গৌরচন্দ্রিকা পুস্তকের আলোচ্য বিষয়ের সারমর্ম প্রকাশ করে থাকে।
বলা হয় খোদা আঠারো হাজার প্রাণী সৃষ্টি করেছেন, তার মধ্যে মানুষ হলো শ্রেষ্ঠ ও অদৃশ্য খোদার দৃশ্যমান প্রতিচ্ছবি। অর্থাৎ মানুষ দেখে বাতেনি খোদাকে দেখা যাবে। সেই মুনষ্যজাতিকে নিয়ে মানবরূপী নারদের দল হিংসা-বিদ্বেষে তেতে ওঠে মরণ খেলায় মেতে উঠেছে, তা সুসভ্য মানুষের পক্ষে কল্পনা করাও অসম্ভব!
নরঘাতক তো নর হতে পারে না, নরঘাতকের পরিচয় হলো, সে একটা আস্ত নারদ, জঘণ্য ইবলিস, হয়তো বলবেন বাহ্যত তাকে মানুষের চেহারায় দেখা যায়, হোক না তা, অবয়ব তো সব কথা নয়, দেখতে হবে তার চরিত্র, দেখতে হবে ওর অন্তর জান্তব-দানব দিয়ে পুরে রাখা হয়েছে। মানুষের অন্তর যা কিছু দিয়ে থাকে পরিপূর্ণ, মুখ থেকে তেমন কথাই প্রকাশ পায়, কার্যত তেমন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে উক্ত আশ্রিত ব্যক্তি।
মানুষ আসলে দুটো আত্মা দ্বারা হয়ে থাকে পরিচালিত; সত্যের আত্মা আর মিথ্যা বা ছলনার আত্মা। খোদা হলেন সত্য ও প্রেম। যে ব্যক্তির হৃদয়ে থাকে খোদার বাস, তেমন ব্যক্তি নিয়ত চলে থাকে সত্যের পথে, কল্যাণের পথে, মানুষের কল্যাণ বই অকল্যাণ করতে সে পারে না। খোদা মানুষকে প্রেম করলেন এক চুড়ান্ত মূল্য দিয়ে। নিজের পূতপবিত্র কালাম ও পাকরূহ, মানুষের রূপে প্রেরণ করলেন, পথ ভুলো বিপন্ন মানুষ সত্য সুন্দরের পথে ফিরিয়ে নেবার জন্য। যাকে পতিত বিশে^ প্রেরণ করলেন তিনি হলেন সম্পূর্ণ বেগুনাহ অতুলনীয় একক ব্যক্তি।
কুমারী মরিয়ম নাম্মী সতিসান্ধি এক নারীর গর্ভের মাধ্যমে; তিনি হলেন প্রেমের পারাবার, মানুষের প্রতি প্রেমের আতিসহ্যে জগতের পাপের কাফফারা পরিশোধ করার জন্য স্বীয় প্রাণ পর্যন্ত দিলেন কোরবানি গুনাহের মাশুল বেগুনাহ রক্ত। জাল টাকা দিয়ে যেমন ঋণ শোধ দেয়া সম্ভব নয়, তেমনি গুনাহে কলুষিত রক্ত দিয়ে মুক্তির মাশুল শোধ দেয়াও সম্ভব নয়।
এ হলো খোদার আত্মা পাকরূহ, যিনি মানুষকে আত্মবৎ প্রেম করেন। যেমন খাঁটি প্রেমের মধ্যে কুটিলতার অবকাশ থাকতে পারে না। আর খোদার বিপরীতে রয়েছে ইবলিস, যে কিনা বদ্ধপরিকর, খোদার সুমহান সৃষ্টি ধ্বংস করার জন্য। ছলে-বলে, কলা-কৌশলে খোদার প্রিয় সৃষ্টি মানুষ ছারখার করে ছাড়ছে।
ইবলিসের মরণঘাতি খেলা শুরু হয়েছে খোদ এদন-কানন থেকে। আদম-হাওয়া মহাসুখেই কালাতিপাত করছিলেন খোদার সকাশে এদন বাগানে। প্রলোভন ও কুমন্ত্রণা দিতে শুরু করলো তাদের খোদাদ্রোহী অভিশপ্ত নরকের কীটে পরিণত করার জন্য। এক সময় তারা ফাঁদে হলো পতিত, ধরা খেল, হলো বিতাড়িত অবাধ্য যুগল, খোদার অন্তরঙ্গ ও নৈকট্য থেকে। সন্দেহ সৃষ্টি হলো খোদার প্রতি তাদের অন্তরে। গাল ভরা মিথ্যাচারে তারা হলো প্রলুব্ধ প্রতারিত, পরিশেষে হলো বন্দি ইবলিসের কয়েদখানায়। অবাধ্যতার পরিণতি ও কার্যকারিতা একে একে প্রকাশ পেতে শুরু করলো,কাবিল তার সহোদর ভ্রাতা হাবিলকে মেরে ফেললো পার্থিব স্বার্থ উদ্ধারের জন্য। মানুষের অন্তরে সঞ্চালিত হয়ে চললো সর্বপ্রকার ক্ষতিকারক চাল যা কেবল ইবলিসের রচনা সামগ্রী।
আজ আমরা বুঝতে পারি, যে মন্ত্র মানুষের ক্ষতি করে চলছে তা অবশ্যই অভিশপ্ত ইবলিসের রচিত গ্রন্থ; আর খোদার পক্ষ থেকে যা কিছু এসেছে, তাতে মানুষের কোনো ক্ষতিকারক ইন্ধন খুঁজে পাবার নয়, তাতে রয়েছে কেবল কল্যাণ আর কল্যাণ (যিহিষ্কেল ২৯ ঃ ১১)।
খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহ হলেন অদৃশ্য খোদার দৃশ্যমান প্রতিচ্ছবি। তিনি কোনো মানুষকে অভিযোগ দিলেন না, মানুষ আজ অসহায় শিকার, তা তাঁর জানা আছে! মানুষের বিবেক, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, শক্তি-সামর্থ সবকিছুই সীমিত, মানুষ আজ অন্ধকার ও পংকে ডুবন্ত, যেমন পংকে বসকারী প্রাণী, যা কিছু করে চলে, তা তো পংকেরই ফসল। যেমন জন্মান্ধের কাছে আলো আঁধার সমার্থক! শতরূপা পাতাবাহার নিয়ে তাকে দেখান, তারপর এসে বলুন। একটি অক্ষরজ্ঞানশুণ্য মানুষের কাছে সাহিত্য পত্রের কোনো মূল্য পাবেন কি? সে কি বলতে পারবে তেমন পত্রের মর্মার্থ! অসম্ভব! কোনো এক গন্ডমূর্খ বধুর কাছে লেখা প্রেমপত্র, পড়াতে গিয়ে দেবরদের কাছ থেকে যদি কিছু ফাও উপহার পেয়ে যায়, তবে তাতে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই।
প্রেম পত্র প্রেরণ করলেন খোদাএমন এক ব্যক্তির কাছে, যার মর্মার্থ হলো, ‘দেখা ভাইকে যে প্রেম করতে পারে না সে অদেখা বা অদৃশ্য রুহানি খোদার সেবা করতে পারে কি করে।’ তেমন ব্যক্তি খোদার কালাম বাস্তবায়ন করার জন্য তার তরবারি শণিত করতে শুরু করলো। হায়রে ধর্মান্ধ! খোদার আজ্ঞা মানব হত্যা নয়, আর্তপীড়িত দুঃস্থ মানুষকে সেবা দেয়া, সুস্থ করা হলো আসল কথা। কথায় বলে, মানবতার সেবার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের সেবা হয় বাস্তবায়িত। খোদার দুষমন কোনো মানুষ নয়, খোদার দুষমন হলো একমাত্র ইবলিস। হুজুরগণ বয়ান দেবার পূর্বে ইবলিসের কবল থেকে বাঁচার জন্য ফরিয়াদ জ্ঞাপন করে, তারপর বয়ান শুরু করে।
তাহলে প্রমাণ হলো, দিবালোক আর রাতের নিকশ কালো আঁধারের মতো বিশ্বটা দুটো বিপরীত আত্মার দ্বারা হচ্ছে পরিচালিত; একটি হলো শুভশক্তি, সত্যের আত্মা যা হলো খোদার আত্মা, আর একটি হলো মন্দ আত্মা ইবলিসের আত্মা। এ দুটো শক্তি পরষ্পর বিপরীতমুখী, যাদের মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপন করা অসম্ভব, সম্ভব নয় এদের সহাবস্থান। যেমন দুই মেরু; উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরু, পারবেন কি এদের গোল টেবিলে বসাতে। তেমন প্রচেষ্টা হবে মেঘের উপরে সজ্যা পেতে আরাম করার অবাস্তব প্রচেষ্টা।
কথায় বলে, মানুষ মাত্র ভুলের শিকার। ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগানো সম্ভব, তবে জেগে জেগে যে ঘুমের ভান ধরে থাকে, তাকে বোমা মারা ছাড়া আর কিভাবে জাগাবেন!
প্রসংগক্রমে রোহিঙ্গা জনগোষ্টি স্বদেশে দানবের হাতে নির্যাতন নিপিড়নের শিকার। বিশ্বের সকল মানবতাবাদী ব্যক্তিদের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে দানবের কবল থেকে মানবের উদ্ধার সম্ভব! তবে মনে রাখতে হবে, কুৎসিত বিবেকের তাড়নে মানবতার ঐক্য ভেঙ্গে দিয়ে রামরাজত্ব বা মগের মল্লুক রচনা করে রেখেছে যারা তাদের সহযোগীতা পেতে কিছুটা বেগ পেতে হতে পারে, তবুও প্রচেষ্টা নিতে দোষ কি? আমার গানে যথার্থ বর্ণীত রয়েছে, ‘মানুষের মাঝে টানে অভেধ সীমানা, পশুর কাতারে তাদের করিবে যোজনা, রচিয়া মাটির মানুষ দিলেন প্রেরণা, খোদার নায়েবভূমে অমোগ ঘোষণা…’।