দৃশ্যত যতোধরনের স্থাপনা আমরা দেখছি পৃথিবীজুড়ে তার সবকটা ধরিত্রি নির্ভর, পাদমূল মাটিতেই স্থাপিত এবং একসময় মাটিতে মিশে যাবার জন্য হয়ে আছে তালিকাবদ্ধ। খনন প্রক্রিয়ার ফলে ভূ-অভ্যন্তরে বিলীন হয়ে যাওয়া প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শণ আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে ছাড়ে। প্রাচীন যুগের অতিকায় ডাইনোসর আজ কেবল ফসিল হয়ে বর্তমানকার সমাজকে জানান দিচ্ছে, কোনো এক কালে তারা সকল প্রাণীকুল দাবড়ে ফিরতো। এ জ্ঞান আজ আমাদের জন্য চেতনাপ্রদ। তাছাড়া আমাদের বাপ-দাদা ভূপৃষ্টের মায়া ত্যাগ করে পরপারে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। আমরা রয়েছি তালিকাবদ্ধ হয়ে, কার যে কখন ডাক পড়ে!
দেখতে দেখতে কালো ছাতা সাদা হয়ে গেছে, কালো চুল কেবল সাদাই হয় নি, স্ববংশে বিদায়ও নিয়েছে ও নিচ্ছে! একেই বলে ক্ষণকালের বিশ্ব। ট্রাঞ্জিট ক্যাম্প। বর্তমান বিশ্বে এক দেশের অধিবাসি আর এক দেশে বেড়াতে গেলে প্রচুর অর্থ সাথে করে নিতে হয় উক্ত দেশে যতদিন থাকবে তার খরচার জন্য, আর উক্ত দেশের কোনো লোক বা প্রতিষ্ঠান যদি নিমন্ত্রন করে তবে নিমন্ত্রন পত্রটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে রাখতে হবে, তবেই না আপনি উক্ত দেশে ভ্রমনের অধিকার পাবেন। মজার বিষয় হলো, মৃত্যু এমন একটা ভিসা যা ব্যক্তির ক্ষেত্রে জারি হয় একতরফাভাবে, আপনি ভ্রমনে আগ্রহী হোন বা না হোন তাতে কিছু এসে যায় না। ভিসা ইস্যু হয়ে গেছে আপনাকে নির্ঘন্ট অনুযায়ী ডিপারচার করতেই হবে, এক্ষেত্রে নেই কোনো গত্যন্তর।
গাছে জন্মানো ফল নিজের প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় রসটুকু গাছ থেকেই সংগ্রহ করে, তৃপ্ত থাকে গাছ যতোটা পরিমাণ সরবরাহ করে তার উপর। তবে মজার বিষয় হলো, পরিপক্কতার পূর্ব থেকে ফলটি আর পূর্বের মতো অধিক পরিমাণে রস ধারণ করতে পারে না, রস তো আর জমা করে রাখা চলে না, তাই তা অন্যান্য কঁচি ফলে সরবরাহ করা হয়। আর পরিপক্ক ফলটিকে ভূ-পৃষ্টে প্রেরণ করা হয় অন্য একটি নতুন গাছ উৎপন্ন করার জন্য। মধ্যাকর্শন শক্তি পরিপক্ক ফলটি ভূপৃষ্টে স্থাপিত হতে সাহায্য করে থাকে। মানুষের ক্ষেত্রেও জীবনাবসানে আবার আমাদের ফিরে যেতে হয় ভূগর্ভে যার ব্যত্যয় খুঁজে পাবার নয়।
প্রভাব বলয় নিয়ে আমাদের অতোটা ব্যস্ত হতে হবে না, আমাদের যা কিছু আসু করনিয় তা হলো জ্বলে দৃঢ়স্থিরভাবে থাকা থাকা। মানুষ হিসেবে আমি সৃষ্ট, মানুষের মতো জীবন যাপন করাই হলো আমার প্রধান ভূমিকা। মোম যখন জ্বলে বা জ্বালানো হয় তখন সে একটা আলোর বলয় সৃষ্টি করে, আর বলয়ের কেন্দ্রে থাকে মোমটি নিজে। মোমটি নিয়ে আপনি যে স্থানেই যান না কেন বলয় অর্থাৎ আলোর বলয় কেন্দ্রের সাথে সংযোগ রেখে সেখানেই জুড়ে থাকবে। আপনি বলয় নিয়ে চিন্তা করবেন না, আপনাকে নজর রাখতে হবে প্রজ্জ্বলিত মোমটি ঠিকমতো জ্বলছে কিনা সেদিকে।
মোমটিকে যেমন জ্বালানো হয়, আর জ্বালানোর দায়িত্ব মোমটি যিনি অধিকারে রাখেন থাকে তার হাতে। একইভাবে মানুষ খোদার হাতে সৃষ্ট, খোদার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য, তাই তাঁর শতভাগ অধিকার রয়েছে আপনাকে তাঁর কাজে লাগানোর বিষয়ে। আপনি যদি হৃষ্টচিত্তে তাঁর ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হোন তবে সকল বন্ধুর পথে শত চড়াই উৎড়ায়ের মধ্যেও আপনাকে পৌছে দিবেন তাঁর নির্ধারিত গন্তব্যে, আর অবাধ্য হলে প্রচুর নাকানি চুবানি আপনাকে সইতে হবে, পরিশেষে নবী ইউনুসের মতো হয়তো বাধ্য হবেন তাঁর কাছে ও কাজে আত্ম সমর্পণ করতে।
প্রভাব বলয় থাকে সবকিছুর, ফুলের, ফলের, বন-বনানির, রাজা-মহারাজার, অর্থবিত্তের, দৈহিক কামনা-বাসনার ইত্যাদি। আমরা আলোর বলয় নিয়ে আলোকপাত করবো। সূর্যের আলো ও তার প্রভাব বলয় রয়েছে যা কেউ অস্বীকার করার যুক্তি খুঁজে পাবে না। একটি ক্ষুদে মোমেরও নিজস্ব প্রভাব বলয় থাকে যখন তাকে জ্বালানো হয়। আর মানুষের প্রভাব বলয় তো আছেই যখন উক্ত ব্যক্তি খোদার নূরে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। কিতাবে তেমন একটি আয়াত রয়েছে, ‘যদি কেউ মসিহের সাথে যুক্ত হয় তবে সে খোদার রহমতে এক নতুন মানুষ হয়ে ওঠে, যা কেবল খোদার শক্তি ও কুদরতের দ্বারাই হয়ে থাকে সাধিত।’ তিনি তখন ঐশি আলো বিস্তারকল্পে হলেন মনোনিত, তাকে জ্বালিয়ে রাখার দায়িত্ব বর্তমানে সেই ক্ষমতাধর হাতের উপর নির্ভর করে যিনি উক্ত ব্যক্তিকে বাছাই করেছেন ও কাজে লাগিয়েছে (ইউহোন্না ১৫ ঃ ১৬)।
মানুষ রোবট নয়, সে খোদার সুরতে স্বাধীন চেতা প্রতিনিধি, খোদার প্রতিনিধি। দুঃখের বিষয় হলো, আজ সে বড়ই অসহায়, বিপন্ন ইবলিসের ধোকা খাওয়া বোকা ব্যক্তি। তবে তার মধ্যে আবেগ অনুশোচনা রয়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মতো স্বাধীনতা রয়েছে, রয়েছে ভালো মন্দের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করার ক্ষমতা। মানুষ মাত্রেই ভুলের শিকার। বিবি হাওয়া ভুল করেছে, নিজে নিষিদ্ধ ফল খেয়েছে, নিজ স্বামীকে রাজি করিয়েছে উক্ত ফল উপভোগ করতে, উভয়ে হলেন খোদার মনোনিত এদন কানন থেকে বিতাড়িত, যার কুফল আজ আমাদের ভুগে চলতে হচ্ছে, নিরুপায়! নবী-রাসুল বলুন আর মহান ব্যক্তিত্ব বলুন, সকলেই বনের রাজা। পাইকারিহারে সকলেরই একই অক্সিজেন টেনে তবে বেঁচে থাকা!
জগতে আকশচুম্বি অট্টালিকার অবশেষ নেই, তবে মজার বিষয় হলো সবগুলো দাঁড়িয়ে আছে মাটির পৃথিবীতে, গত্যন্তর নেই। সকলেই গুনাহগার আর বেগুনাহ হবার জন্য মাত্র একটিই উপায় রয়েছে খোলা, সহজলভ্য যা হলো ঐশি ব্যবস্থা খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহের বেগুনাহ রক্ত যা বিশ্বের পাপের কাফফারা শোধকল্পে কোরবানি হয়েছেন প্রেমের তাগিদে।
সকলে যেমন একাধারে বিনষ্ট পাপের কারণে, একইভাবে অনুতাপ অনলে জ্বলে পুড়ে মসিহের মধ্যে আবার সকলে হতে পারি স্নাতশুভ্র, খোদার সন্তান হবার অনুপম ব্যবস্থা সিদ্ধান্ত কেবল ব্যক্তিগত। তবে যতজন তাঁর উপর ঈমান এনে তাঁকে গ্রহণ করলো তাদের প্রত্যেককে তিনি আলাহর সন্তান হবার অধিকার দিলেন। এই লোকদের জন্ম রক্ত থেকে হয় নি, শারীরিক কামনা বা পুরুষের বাসনা থেকেও হয় নি, কিন্তু আলাহ থেকেই হয়েছে (ইউহোন্না ১ ঃ ১২-১৩)।
দেখতে দেখতে কালো ছাতা সাদা হয়ে গেছে, কালো চুল কেবল সাদাই হয় নি, স্ববংশে বিদায়ও নিয়েছে ও নিচ্ছে! একেই বলে ক্ষণকালের বিশ্ব। ট্রাঞ্জিট ক্যাম্প। বর্তমান বিশ্বে এক দেশের অধিবাসি আর এক দেশে বেড়াতে গেলে প্রচুর অর্থ সাথে করে নিতে হয় উক্ত দেশে যতদিন থাকবে তার খরচার জন্য, আর উক্ত দেশের কোনো লোক বা প্রতিষ্ঠান যদি নিমন্ত্রন করে তবে নিমন্ত্রন পত্রটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে রাখতে হবে, তবেই না আপনি উক্ত দেশে ভ্রমনের অধিকার পাবেন। মজার বিষয় হলো, মৃত্যু এমন একটা ভিসা যা ব্যক্তির ক্ষেত্রে জারি হয় একতরফাভাবে, আপনি ভ্রমনে আগ্রহী হোন বা না হোন তাতে কিছু এসে যায় না। ভিসা ইস্যু হয়ে গেছে আপনাকে নির্ঘন্ট অনুযায়ী ডিপারচার করতেই হবে, এক্ষেত্রে নেই কোনো গত্যন্তর।
গাছে জন্মানো ফল নিজের প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় রসটুকু গাছ থেকেই সংগ্রহ করে, তৃপ্ত থাকে গাছ যতোটা পরিমাণ সরবরাহ করে তার উপর। তবে মজার বিষয় হলো, পরিপক্কতার পূর্ব থেকে ফলটি আর পূর্বের মতো অধিক পরিমাণে রস ধারণ করতে পারে না, রস তো আর জমা করে রাখা চলে না, তাই তা অন্যান্য কঁচি ফলে সরবরাহ করা হয়। আর পরিপক্ক ফলটিকে ভূ-পৃষ্টে প্রেরণ করা হয় অন্য একটি নতুন গাছ উৎপন্ন করার জন্য। মধ্যাকর্শন শক্তি পরিপক্ক ফলটি ভূপৃষ্টে স্থাপিত হতে সাহায্য করে থাকে। মানুষের ক্ষেত্রেও জীবনাবসানে আবার আমাদের ফিরে যেতে হয় ভূগর্ভে যার ব্যত্যয় খুঁজে পাবার নয়।
প্রভাব বলয় নিয়ে আমাদের অতোটা ব্যস্ত হতে হবে না, আমাদের যা কিছু আসু করনিয় তা হলো জ্বলে দৃঢ়স্থিরভাবে থাকা থাকা। মানুষ হিসেবে আমি সৃষ্ট, মানুষের মতো জীবন যাপন করাই হলো আমার প্রধান ভূমিকা। মোম যখন জ্বলে বা জ্বালানো হয় তখন সে একটা আলোর বলয় সৃষ্টি করে, আর বলয়ের কেন্দ্রে থাকে মোমটি নিজে। মোমটি নিয়ে আপনি যে স্থানেই যান না কেন বলয় অর্থাৎ আলোর বলয় কেন্দ্রের সাথে সংযোগ রেখে সেখানেই জুড়ে থাকবে। আপনি বলয় নিয়ে চিন্তা করবেন না, আপনাকে নজর রাখতে হবে প্রজ্জ্বলিত মোমটি ঠিকমতো জ্বলছে কিনা সেদিকে।
মোমটিকে যেমন জ্বালানো হয়, আর জ্বালানোর দায়িত্ব মোমটি যিনি অধিকারে রাখেন থাকে তার হাতে। একইভাবে মানুষ খোদার হাতে সৃষ্ট, খোদার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য, তাই তাঁর শতভাগ অধিকার রয়েছে আপনাকে তাঁর কাজে লাগানোর বিষয়ে। আপনি যদি হৃষ্টচিত্তে তাঁর ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হোন তবে সকল বন্ধুর পথে শত চড়াই উৎড়ায়ের মধ্যেও আপনাকে পৌছে দিবেন তাঁর নির্ধারিত গন্তব্যে, আর অবাধ্য হলে প্রচুর নাকানি চুবানি আপনাকে সইতে হবে, পরিশেষে নবী ইউনুসের মতো হয়তো বাধ্য হবেন তাঁর কাছে ও কাজে আত্ম সমর্পণ করতে।
প্রভাব বলয় থাকে সবকিছুর, ফুলের, ফলের, বন-বনানির, রাজা-মহারাজার, অর্থবিত্তের, দৈহিক কামনা-বাসনার ইত্যাদি। আমরা আলোর বলয় নিয়ে আলোকপাত করবো। সূর্যের আলো ও তার প্রভাব বলয় রয়েছে যা কেউ অস্বীকার করার যুক্তি খুঁজে পাবে না। একটি ক্ষুদে মোমেরও নিজস্ব প্রভাব বলয় থাকে যখন তাকে জ্বালানো হয়। আর মানুষের প্রভাব বলয় তো আছেই যখন উক্ত ব্যক্তি খোদার নূরে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। কিতাবে তেমন একটি আয়াত রয়েছে, ‘যদি কেউ মসিহের সাথে যুক্ত হয় তবে সে খোদার রহমতে এক নতুন মানুষ হয়ে ওঠে, যা কেবল খোদার শক্তি ও কুদরতের দ্বারাই হয়ে থাকে সাধিত।’ তিনি তখন ঐশি আলো বিস্তারকল্পে হলেন মনোনিত, তাকে জ্বালিয়ে রাখার দায়িত্ব বর্তমানে সেই ক্ষমতাধর হাতের উপর নির্ভর করে যিনি উক্ত ব্যক্তিকে বাছাই করেছেন ও কাজে লাগিয়েছে (ইউহোন্না ১৫ ঃ ১৬)।
মানুষ রোবট নয়, সে খোদার সুরতে স্বাধীন চেতা প্রতিনিধি, খোদার প্রতিনিধি। দুঃখের বিষয় হলো, আজ সে বড়ই অসহায়, বিপন্ন ইবলিসের ধোকা খাওয়া বোকা ব্যক্তি। তবে তার মধ্যে আবেগ অনুশোচনা রয়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মতো স্বাধীনতা রয়েছে, রয়েছে ভালো মন্দের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করার ক্ষমতা। মানুষ মাত্রেই ভুলের শিকার। বিবি হাওয়া ভুল করেছে, নিজে নিষিদ্ধ ফল খেয়েছে, নিজ স্বামীকে রাজি করিয়েছে উক্ত ফল উপভোগ করতে, উভয়ে হলেন খোদার মনোনিত এদন কানন থেকে বিতাড়িত, যার কুফল আজ আমাদের ভুগে চলতে হচ্ছে, নিরুপায়! নবী-রাসুল বলুন আর মহান ব্যক্তিত্ব বলুন, সকলেই বনের রাজা। পাইকারিহারে সকলেরই একই অক্সিজেন টেনে তবে বেঁচে থাকা!
জগতে আকশচুম্বি অট্টালিকার অবশেষ নেই, তবে মজার বিষয় হলো সবগুলো দাঁড়িয়ে আছে মাটির পৃথিবীতে, গত্যন্তর নেই। সকলেই গুনাহগার আর বেগুনাহ হবার জন্য মাত্র একটিই উপায় রয়েছে খোলা, সহজলভ্য যা হলো ঐশি ব্যবস্থা খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহের বেগুনাহ রক্ত যা বিশ্বের পাপের কাফফারা শোধকল্পে কোরবানি হয়েছেন প্রেমের তাগিদে।
সকলে যেমন একাধারে বিনষ্ট পাপের কারণে, একইভাবে অনুতাপ অনলে জ্বলে পুড়ে মসিহের মধ্যে আবার সকলে হতে পারি স্নাতশুভ্র, খোদার সন্তান হবার অনুপম ব্যবস্থা সিদ্ধান্ত কেবল ব্যক্তিগত। তবে যতজন তাঁর উপর ঈমান এনে তাঁকে গ্রহণ করলো তাদের প্রত্যেককে তিনি আলাহর সন্তান হবার অধিকার দিলেন। এই লোকদের জন্ম রক্ত থেকে হয় নি, শারীরিক কামনা বা পুরুষের বাসনা থেকেও হয় নি, কিন্তু আলাহ থেকেই হয়েছে (ইউহোন্না ১ ঃ ১২-১৩)।