সত্যিই আলাহ মহব্বত। তিনি আমাদের প্রথমে মহব্বত করেছেন বিধায় আমরা জানতে পেরেছি মহব্বতের প্রকৃত বিবরণ ও তাৎপর্য। অপরাধিকে তিনি প্রথমে মহব্বত করেছেন, ফলেই খারাপ পথের পথিক সত্যানুরাগি হবার প্রেরণা লাভ করেছে। যেমন অন্ধকারে বন্দি ব্যক্তি আলো দেখতে পেল। তার অর্থ হলো আলো তাকে খুঁজে নিল, সে যে অন্ধকারে বিচরণ করছে তা তাকে বুঝাতে সক্ষম হলো, তাই সে আলোর রাজ্যে ফিরে আসার উৎসাহ পেল, পেল আনন্দ পেল সাচ্ছন্দ।
অন্ধকারাচ্ছন্ন ব্যক্তি যেমন আলোর পরশ পেলে আলোকিত হতে পারে, হয়ে থাকে, তদ্রুপ সত্যের আদলে মিথ্যাচারের মধ্যে যাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা, তারা যখন প্রকৃত সত্যের মুখোমুখি হবার সুযোগ লাভ করে, তবে হট-কেকের মতো তা লুফে নেয়, করে না কখনোই তারা হাত ছাড়া।
আদমের বিতাড়িত হবার পর থেকে মানুষ ভুগে চলছে জীবনভর; রোগ ব্যধি, শত্রুতা, ঈর্ষাকাতরতা, হানাহানি, রাহাজানি, খুন-খারাপিতে ভরে আছে বিশ্বটা। সৌভাগ্য আর দুর্ভাগ্য যাই বলুন না কেন, একবার সুযোগ হয়েছিল একটানা দু’টি বৎসর জেলের প্রকোষ্ঠে জীবন-যাপন করার। আয়-উপার্জনের কোনো চিন্তা ছিল না, সময়মতো খাবার চলে আসতো, তবুও উক্ত ব্যবস্থা ছিল মৃত্যু যন্ত্রনার চেয়ে একডিগ্রি বেশি। প্রতিটি মুহুর্ত কামনা করেছি মুক্তির! বন্দি জীবনটা বন্দিদের কাছে কষ্টদায়ক হবার প্রধান কারণ হলো, তারা মুক্তস্বাধীন জীবনের আস্বাদন করার সুযোগ পেয়েছে ইতোমধ্যে। তবে কোনো ব্যক্তি যদি জেলখানার মধ্যে জন্মগ্রহণ করে, তবে তার ক্ষেত্রটি অবশ্যই ভিন্ন হতে বাধ্য। চঞ্চল গানের পাখীটি সোনার খাঁচায় বন্দি হয়ে গেলে সেকি তার বন্দিত্ব নিয়ে তৃপ্ত হতে পরবে? আমার ধারণা, উক্ত পাখীটি মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত নিয়ত ছটফট করে নিজেকে ক্লান্ত করে তুলবে!
অনেক আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেট দেখেছি যেথা কোনোদিনই সৌরালোক পৌছাবে না, তেমন ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক আলার সাথে তুলনা করা সম্ভব হয়ে আর উঠে না। ধর্মীয় ক্ষেত্রটি বরাবর যেন পাতালে নির্মিত বাজার, কেউ এর অনুশাসনমালা জানতেই পারে না, কতিপয় ধর্মপ্রচারক নিষেধ করে দেয়, তাদের বক্তব্য হলো, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি চলবে না। এ বাড়াাবাড়ি আর জানাজানি কি এক কথা না সাধারণ লোকদের ধর্মের পয়গাম থেকে বঞ্চিত করে রাখা, তা আমাদের হলো প্রধান জিজ্ঞাসা।
বিশ্বে যতগুলো ধর্মগ্রন্থের সমাহার রয়েছে, তার সবগুলোর সারসংক্ষেপ করা হলে দেয়া যাবে, খোদা হলেন মহব্বত। মহব্বতের তাগিদে তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। শুধু কি তাই, তিনি মানুষকে দিয়েছেন এক অভাবিত মর্যাদা আর তার প্রমাণ হলো, ফেরেশতাকুলকে তিনি আজ্ঞা দিলেন আদম (আ.)কে সেজদা দিতে। মানুষ হলো খোদার সুরতে তাঁর স্বীয় প্রতিনিধি। খোদা তো বরাবরের মতো এক বাতেনি রুহানি সত্তা। তিনি নিজেকে নানাভাবে মানুষের কাছে প্রকাশ করেছেন এবং চূড়ান্তভাবে আমরা দেখতে পাই খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিরেহ মাধ্যমে। কিতাবে তাই যথার্থ বর্ণনা রয়েছে, যে কেউ মসিহকে প্রত্যক্ষ করেছে সে তো খোদাকেই প্রত্যক্ষ করার সুযোগ লাভ করেছে।
খোদা মাত্র একজন মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আপনি নবী হোন বা রাসুল হোন অথবা ধর্মপ্রচারক হোন আপনাকে অবশ্যই মৌলিক সত্য প্রচার করতে হবে। ভিত্তিমূল থেকে সরে গেলে আপনার প্রচারের জন্য যা থাকবে তা হলো কতকগুলো মিথ্যাচার যা প্রচার করে রেখেছে অভিশপ্ত ইবলিস, যার জন্ম হলো অহংকারে। কথায় বলে ‘তাকাব্বরিতে হলো আযাজিলের পয়দা।’ অহংকার পতনের মূল। খোদা অহংকারিকে দমন করেন আর বিনম্রদের উন্নীত করেন।
বর্তমান বিশ্বে অগণিত ভাষাভাষি রয়েছে বসবাসরত। গোটা বিশ্ব আদমের সন্তান দিয়ে ভরে দেবার আজ্ঞা ও দোয়া খোদা তাঁকে দিয়েছেন। গোটা বিশ্ববাসি সকলেই আদম সন্তান, যদিও তাদের ভাষা ভিন্ন ভিন্ন তবুও একই জলকাদায় তাদের বাস করতে হয়। গত্যন্তর নেই। জলবায়ু তো অভিন্ন!
বর্তমানে জগতে যে সকল ভাষার প্রচলন রয়েছে, তার কোনোটাই ছিল না এদন কাননে; সেখানে ছিল ভালোবাসা যাকে সহজেই আমরা প্রেম বা মহব্বত বলতে পারি। ঠিক তাই, খোদা নিজেই প্রেম, আর তার এই সীমাহিন প্রেমের কারণেই আজ আমরা সকলে বেঁচে আছি। ‘আলাহ আমাদের আশ্রয়স্থান ও শক্তি; বিপদের সময় সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত থাকেন’ (আল যবুর ৪৬ ঃ ১)।
প্রশ্ন জাগতে পারে, ভাষান্তরে বাক্যের পরিবর্তন ঘটে থাকে, বাক্যের চেহারা বদলে যায়, তাই বলে কি বক্তব্যের কোনো পরিবর্তন ঘটতে পারে? আমরা যদি আহাম্মক না হয়ে থাকি তবে সৃষ্টিলগ্নে মহান রাব্বুল আল-আমিন যে ঘোষণা দিয়েছেন কাল কেয়ামত পর্যন্ত উক্ত বক্তব্যের মর্মার্থ একই থাকবে, তা যতবারই ভাষান্তরিত করা হোক না কেন। ভাষান্তরে মৌল অর্থে বা তাৎপর্যে প্রভাব পড়ার কোনো কারণ নেই, থাকতে পারে না।
ভাষা মানুষের সৃষ্টি, আর খোদা সৃষ্টি করেছেন মানুষ! খোদা মহব্বত, নিজেই মহব্বত, আর মহব্বতের তাগিদে তিনি সারা জাহান সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন মানুষের কল্যাণে। মানুষ এ সকল উপভোগ করবে, মিলেমিশে বসবাস করবে তাই হলো খোদার মহান পরিকল্পনা। কেবলমাত্র অভিশপ্ত ইবলিস হলো সকল গোলযোগের মূল হোতা। মানুষের সাথে মানুষের বিবাদ-বিভেদ কেবল ইবলিসের কুটচালে চলে আসছে সেই এদন বাগান থেকে। আমরা জেনে গেছি জাহান্নামি ইবলিসের কর্মকান্ড। যা একে একে সবিশেষ বর্ণনা দেয়া চলে: জেনা, নাপাকী, লম্পটতা, মূর্তিপূজা, যাদুবিদ্যা, শত্রুতা, ঝগড়া, লোভ, রাগ, স্বার্থপরতা, অমিল, দলাদলি, হিংসা, মাতলামি ইত্যাদি আরও অনেক যা কিছু মানুষের ক্ষতি করে, ঐক্য ভ্রাতৃত্বে ফাটল সৃষ্টি করে বিশ্বভ্রাতৃত্ব নষ্ট করে ছাড়ে। আর ইবলিস তো প্রথম দিনই ব্রত নিয়ে বসেছে মানুষের ক্ষতিসাধন করার জন্য। তাই ইবলিসকে আমরা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারি না, যতই চাতুর্য্যপূর্ণ কথা বলুক না কেন।
একই মানুষকে শতধা করেছে ইবলিস, আর বিপন্ন মানুষকে রক্ষা করার জন্য মসিহ মানবরূপ ধারণ করে ভূপৃষ্টে নেমে আসলেন, নিজের পূতপবিত্র প্রাণের দামে গুনাহগারদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত শোধ দিয়ে তাদের ফিরিয়ে দিলেন হারানো অধিকার। খোদার প্রতিনিধিত্ব করার, পরিণত হলো তারা খোদার রুহানি সন্তানে, যা ইবলিসের পক্ষে কল্পনা করাও অসম্ভব! খোদার রহমতে ঈমান আনিবার মধ্য দিয়ে হতভাগ্য গুনাহগার ব্যক্তি মসিহের মধ্যে ঠাই পেল; আর প্রত্যেকের জন্য এ শ্বাস্যত অপূর্ব সুযোগ রয়েছে অবারিত!
খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহের কোরবানিতে যারা বিশ্বাস করে তাদের জীবনে যে সুফলগুলো ফলে তা হলো: মহব্বত, আনন্দ, শান্তি, সহ্যগুন, দয়ার স্বভাব, ভালো স্বভাব, বিশ্বস্ততা, নম্রতা ও নিজেকে দমন (গালাতীয় ৫ ঃ ২২-২৪)
অন্ধকারাচ্ছন্ন ব্যক্তি যেমন আলোর পরশ পেলে আলোকিত হতে পারে, হয়ে থাকে, তদ্রুপ সত্যের আদলে মিথ্যাচারের মধ্যে যাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা, তারা যখন প্রকৃত সত্যের মুখোমুখি হবার সুযোগ লাভ করে, তবে হট-কেকের মতো তা লুফে নেয়, করে না কখনোই তারা হাত ছাড়া।
আদমের বিতাড়িত হবার পর থেকে মানুষ ভুগে চলছে জীবনভর; রোগ ব্যধি, শত্রুতা, ঈর্ষাকাতরতা, হানাহানি, রাহাজানি, খুন-খারাপিতে ভরে আছে বিশ্বটা। সৌভাগ্য আর দুর্ভাগ্য যাই বলুন না কেন, একবার সুযোগ হয়েছিল একটানা দু’টি বৎসর জেলের প্রকোষ্ঠে জীবন-যাপন করার। আয়-উপার্জনের কোনো চিন্তা ছিল না, সময়মতো খাবার চলে আসতো, তবুও উক্ত ব্যবস্থা ছিল মৃত্যু যন্ত্রনার চেয়ে একডিগ্রি বেশি। প্রতিটি মুহুর্ত কামনা করেছি মুক্তির! বন্দি জীবনটা বন্দিদের কাছে কষ্টদায়ক হবার প্রধান কারণ হলো, তারা মুক্তস্বাধীন জীবনের আস্বাদন করার সুযোগ পেয়েছে ইতোমধ্যে। তবে কোনো ব্যক্তি যদি জেলখানার মধ্যে জন্মগ্রহণ করে, তবে তার ক্ষেত্রটি অবশ্যই ভিন্ন হতে বাধ্য। চঞ্চল গানের পাখীটি সোনার খাঁচায় বন্দি হয়ে গেলে সেকি তার বন্দিত্ব নিয়ে তৃপ্ত হতে পরবে? আমার ধারণা, উক্ত পাখীটি মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত নিয়ত ছটফট করে নিজেকে ক্লান্ত করে তুলবে!
অনেক আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেট দেখেছি যেথা কোনোদিনই সৌরালোক পৌছাবে না, তেমন ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক আলার সাথে তুলনা করা সম্ভব হয়ে আর উঠে না। ধর্মীয় ক্ষেত্রটি বরাবর যেন পাতালে নির্মিত বাজার, কেউ এর অনুশাসনমালা জানতেই পারে না, কতিপয় ধর্মপ্রচারক নিষেধ করে দেয়, তাদের বক্তব্য হলো, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি চলবে না। এ বাড়াাবাড়ি আর জানাজানি কি এক কথা না সাধারণ লোকদের ধর্মের পয়গাম থেকে বঞ্চিত করে রাখা, তা আমাদের হলো প্রধান জিজ্ঞাসা।
বিশ্বে যতগুলো ধর্মগ্রন্থের সমাহার রয়েছে, তার সবগুলোর সারসংক্ষেপ করা হলে দেয়া যাবে, খোদা হলেন মহব্বত। মহব্বতের তাগিদে তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। শুধু কি তাই, তিনি মানুষকে দিয়েছেন এক অভাবিত মর্যাদা আর তার প্রমাণ হলো, ফেরেশতাকুলকে তিনি আজ্ঞা দিলেন আদম (আ.)কে সেজদা দিতে। মানুষ হলো খোদার সুরতে তাঁর স্বীয় প্রতিনিধি। খোদা তো বরাবরের মতো এক বাতেনি রুহানি সত্তা। তিনি নিজেকে নানাভাবে মানুষের কাছে প্রকাশ করেছেন এবং চূড়ান্তভাবে আমরা দেখতে পাই খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিরেহ মাধ্যমে। কিতাবে তাই যথার্থ বর্ণনা রয়েছে, যে কেউ মসিহকে প্রত্যক্ষ করেছে সে তো খোদাকেই প্রত্যক্ষ করার সুযোগ লাভ করেছে।
খোদা মাত্র একজন মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আপনি নবী হোন বা রাসুল হোন অথবা ধর্মপ্রচারক হোন আপনাকে অবশ্যই মৌলিক সত্য প্রচার করতে হবে। ভিত্তিমূল থেকে সরে গেলে আপনার প্রচারের জন্য যা থাকবে তা হলো কতকগুলো মিথ্যাচার যা প্রচার করে রেখেছে অভিশপ্ত ইবলিস, যার জন্ম হলো অহংকারে। কথায় বলে ‘তাকাব্বরিতে হলো আযাজিলের পয়দা।’ অহংকার পতনের মূল। খোদা অহংকারিকে দমন করেন আর বিনম্রদের উন্নীত করেন।
বর্তমান বিশ্বে অগণিত ভাষাভাষি রয়েছে বসবাসরত। গোটা বিশ্ব আদমের সন্তান দিয়ে ভরে দেবার আজ্ঞা ও দোয়া খোদা তাঁকে দিয়েছেন। গোটা বিশ্ববাসি সকলেই আদম সন্তান, যদিও তাদের ভাষা ভিন্ন ভিন্ন তবুও একই জলকাদায় তাদের বাস করতে হয়। গত্যন্তর নেই। জলবায়ু তো অভিন্ন!
বর্তমানে জগতে যে সকল ভাষার প্রচলন রয়েছে, তার কোনোটাই ছিল না এদন কাননে; সেখানে ছিল ভালোবাসা যাকে সহজেই আমরা প্রেম বা মহব্বত বলতে পারি। ঠিক তাই, খোদা নিজেই প্রেম, আর তার এই সীমাহিন প্রেমের কারণেই আজ আমরা সকলে বেঁচে আছি। ‘আলাহ আমাদের আশ্রয়স্থান ও শক্তি; বিপদের সময় সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত থাকেন’ (আল যবুর ৪৬ ঃ ১)।
প্রশ্ন জাগতে পারে, ভাষান্তরে বাক্যের পরিবর্তন ঘটে থাকে, বাক্যের চেহারা বদলে যায়, তাই বলে কি বক্তব্যের কোনো পরিবর্তন ঘটতে পারে? আমরা যদি আহাম্মক না হয়ে থাকি তবে সৃষ্টিলগ্নে মহান রাব্বুল আল-আমিন যে ঘোষণা দিয়েছেন কাল কেয়ামত পর্যন্ত উক্ত বক্তব্যের মর্মার্থ একই থাকবে, তা যতবারই ভাষান্তরিত করা হোক না কেন। ভাষান্তরে মৌল অর্থে বা তাৎপর্যে প্রভাব পড়ার কোনো কারণ নেই, থাকতে পারে না।
ভাষা মানুষের সৃষ্টি, আর খোদা সৃষ্টি করেছেন মানুষ! খোদা মহব্বত, নিজেই মহব্বত, আর মহব্বতের তাগিদে তিনি সারা জাহান সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন মানুষের কল্যাণে। মানুষ এ সকল উপভোগ করবে, মিলেমিশে বসবাস করবে তাই হলো খোদার মহান পরিকল্পনা। কেবলমাত্র অভিশপ্ত ইবলিস হলো সকল গোলযোগের মূল হোতা। মানুষের সাথে মানুষের বিবাদ-বিভেদ কেবল ইবলিসের কুটচালে চলে আসছে সেই এদন বাগান থেকে। আমরা জেনে গেছি জাহান্নামি ইবলিসের কর্মকান্ড। যা একে একে সবিশেষ বর্ণনা দেয়া চলে: জেনা, নাপাকী, লম্পটতা, মূর্তিপূজা, যাদুবিদ্যা, শত্রুতা, ঝগড়া, লোভ, রাগ, স্বার্থপরতা, অমিল, দলাদলি, হিংসা, মাতলামি ইত্যাদি আরও অনেক যা কিছু মানুষের ক্ষতি করে, ঐক্য ভ্রাতৃত্বে ফাটল সৃষ্টি করে বিশ্বভ্রাতৃত্ব নষ্ট করে ছাড়ে। আর ইবলিস তো প্রথম দিনই ব্রত নিয়ে বসেছে মানুষের ক্ষতিসাধন করার জন্য। তাই ইবলিসকে আমরা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারি না, যতই চাতুর্য্যপূর্ণ কথা বলুক না কেন।
একই মানুষকে শতধা করেছে ইবলিস, আর বিপন্ন মানুষকে রক্ষা করার জন্য মসিহ মানবরূপ ধারণ করে ভূপৃষ্টে নেমে আসলেন, নিজের পূতপবিত্র প্রাণের দামে গুনাহগারদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত শোধ দিয়ে তাদের ফিরিয়ে দিলেন হারানো অধিকার। খোদার প্রতিনিধিত্ব করার, পরিণত হলো তারা খোদার রুহানি সন্তানে, যা ইবলিসের পক্ষে কল্পনা করাও অসম্ভব! খোদার রহমতে ঈমান আনিবার মধ্য দিয়ে হতভাগ্য গুনাহগার ব্যক্তি মসিহের মধ্যে ঠাই পেল; আর প্রত্যেকের জন্য এ শ্বাস্যত অপূর্ব সুযোগ রয়েছে অবারিত!
খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহের কোরবানিতে যারা বিশ্বাস করে তাদের জীবনে যে সুফলগুলো ফলে তা হলো: মহব্বত, আনন্দ, শান্তি, সহ্যগুন, দয়ার স্বভাব, ভালো স্বভাব, বিশ্বস্ততা, নম্রতা ও নিজেকে দমন (গালাতীয় ৫ ঃ ২২-২৪)