“আমি আল্লাহ মালিক বলছি যে, আমি নিজেই আমার মেষদের খোঁজ নেব ও তাদের দেখাশোনা করব। রাখাল যেমন করে তার ছড়িয়ে পড়া পালের খোঁজ করে তেমনি করে আমি আমার মেষদের খোঁজ করব। মেঘ ও অন্ধকারের দিনে তারা যে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে আমি সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করব। আমি নানা জাতি ও দেশের মধ্য থেকে তাদের বের করে আনব এবং তাদের নিজের দেশে তাদের জমায়েত করব। ইসরাইলের পাহাড়-পর্বতের উপরে, নদীগুলোর ধারে এবং দেশের সব বসতি স্থানগুলোতে আমি তাদের চরাব। চরে বেড়াবর ভাল জায়গায় আমি তাদের চরাব এবং ইসরাইলের উঁচু উঁচু পাহাড়ে তাদের চরবার জায়গা হবে। ভাল চরবার জায়গায় তারা থাকবে এবং সেখানে ইসরাইলের পাহাড়গুলোর উপরকার ভাল চারণ ভূমিতে খেয়ে বেড়াবে। আমি নিজেই আমার মেষদের চরাব এবং বিশ্রামস্থানে নিয়ে যাব। যারা হারিয়ে গেছে আমিই তাদের খুঁজব এবং যারা বিপথে গেছে তাদের ফিরিয়ে আনব। আমি আহতদের ঘা বেঁধে দেব এবং দূর্বলদের সবল করব, কিন্তু মোটাসোটা ও বলবানদের আমি ধ্বংস করব, কারণ আমি ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়ে আমার পালের দেখাশোনা করব” (ইহিস্কেল ৩৪ ঃ ১১-১৬)।
আল্লাহ মালিক, নিজেই খোঁজ নিবেন তাঁর হারিয়ে যাওয়া মেষদের। খুঁজে বের করবেন ও তাদের দেখাশুনা করবেন, উপযুক্ত চরানিতে তাদের চরাবেন, বিগত ক্ষতগুলো বেধে দিবেন সুস্রসা করবেন, অতীতের ইল্লত ধুয়ে মুছে স্নাতশুভ্র করে তুলবেন, নিজের ক্রোড়ে তুলে আদর করবেন, যা সচারচর মেষের রাখালদের আদর করতে দেখা যায়। তিনি হলেন মেষের উত্তম রাখাল, তিনি ব্যতিত ভিন্ন কোনো রাখাল খুঁজে পেলেন না পতীত আদমকুলে।
বিষয়টি যদি রূপক হিসেবে দেখা যা, খোদা স্বীয় সুরতে আদমকে সৃষ্টি করলেন, অধিকার, ক্ষমতা, প্রজ্ঞা-ধার্মিকতা দিলেন অফুরান, কিন্তু আদম ভড়কে গেল অভিশপ্ত ইবলিসের চালবাজিতে। হারাতে হলো তাঁর মর্যাদা অধিকার আর তেমন অমর্যাদা কেবল তার মধ্যেই সীমিত রইলো না, সে অপমান তার পুত্র পৌত্রদের উপর পর্যন্ত গড়ালো।
যেমন সমাজে যদি কোনো লোক দুষ্কর্মে ধরা পড়ে, বিচারে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হয় এবং শাস্তি ঘটে তবে তার পুত্র পৌত্ররা পর্যন্ত অপমানিত হয়, সমাজে মুখ দেখানো তাদের জন্য দায় হয়ে বসে। প্রথম মানুষ আদম এবং তার সন্তানদের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটলো মানবজাতির যাত্রারম্ভে।
কালামপাকে যথার্থ লিখিত রয়েছে, সকলে পাপ করেছে এবং আল্লাহপাকের প্রশংসা পাবার অযোগ্য হযে পড়েছে। কিন্তু আল্লাহ বড়ই মেহেরবান, তাই তিনি মানুষের প্রতি দয়াপরবশ হলেন। মানুষের পাপের কাফফারা নিজেই শোধ দেবার ব্যবস্থা নিজেই করলেন। মানুষের পক্ষে যা কিছু অসাধ্য খোদার পক্ষে তা কোনো কঠিন বিসয় হতেই পারে না।
পৃথিবীতে এমন কোনো বস্তু বা ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া গেল না, যাকে দিয়ে পাপের প্রায়শ্চিত্ত শোধ দেয়া যেতে পারে। সকলেই গুনাহগার। আদম থেকে শুরু করে মানুষের কাতারে সর্বশেষ মানুষটি পর্যন্ত গুনাহে জর্জরিত। আর প্রেমিক খোদা এদের প্রতি হলেন করুণাবিষ্ট, তিনি ন্যায়বিচারক। লোভে পাপ আর পাপের বেতন মৃত্যু। পাপের শাস্তি তাদের নিতেই হবে। তিনি তো চুলচেড়া বিচার করেন। মানুষের পাপের শাস্তি তাদের পেতেই হবে, খোদা নিজেই এমন একটি মেষ সাবক প্রেরণ করলেন, বিশ্বের তাবৎ গুনাহগারদের গুনাহমুক্ত করার জন্য, উক্ত মেষটিকেই দিলেন কোরবানি, ফলে মানুষ হয়ে গেল গুনাহ মুক্ত। ‘মসিহ এসেছিলেন ভবিষ্যতের সব উন্নতির বিষয়ের মহা-ইমাম হয়ে। আরও মহৎ ও আরও ভালো এবাদত-তাম্বুতে আল্লাহর এবাদত-কাজ করবার জন্য তিনি এসেছিলেন। এই তাম্বু মানুষের হাতে তৈরি নয়, অর্থাৎ তা দুনিযার কোন জিনিস নয়। ছাগল ও বাছুরের রক্ত নিয়ে মসিহ সেই মহাপবিত্র স্থানে ঢোকেন নি। তিনি নিজের রক্ত নিয়ে একবারই সেখানে ঢুকেছিলেন। এভাবে তিনি চিরকালের জন্য গুনাহ থেকে মুক্তির উপায় করলেন। যারা নাপাক হত তাদের উপর ছাগল ও ষাঁড়ের রক্ত বা বাছুর-পোড়ানো ছাই ছিটানো হত; তাতে তাদের বাইরের শরীরটাই কেবল পাক-সাফ হয়ে পরিষ্কার হত। কিন্তু যিনি অনন্ত পাকরূহের মধ্য দিয়ে আল্লাহর কাছে নিজেকে নিখুঁত কোরবানী হিসাবে দান করলেন সেই ঈসার রক্ত আমাদের বিবেককে নিষ্ফল কাজকর্ম থেকে আরও কত না বেশি করে পাক-সাফ করবে, যাতে আমরা জীবন্ত আল্লাহর এবাদত করতে পারি’ (ইবরানী ৯ ঃ ১১-১৪)
খোদা নিজেই এমন ব্যবস্থা সম্পন্ন করলেন। কালামে তাই যথার্থ বর্ণীত রয়েছে, ‘খোদার রহমতে ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে আজ আমরা নাজাত পেলাম’ (ইফিষীয় ২ ঃ ৮-১০)। ‘এ নাজাত কোনো ব্যক্তির ধার্মিকতার দ্বারা অর্জিত হবার নয়, কেননা মানুষের ধার্মিকতা খোদার পবিত্রতার কাছে ছেড়া মলিন ন্যাকড়া তুল্য’ (ইশাইয়া ৬৪ ঃ ৬)।
যদিও আমরা দিকভ্রান্ত, কিন্তু আমাদের রয়েছে মেহেরবান মাবুদ, যিনি নিজের চেয়েও অধিক প্রেম করেন আমাদের। খোদা মানুষকে এতই প্রেম করলেন যে, তিনি তার একমাত্র পুত্রকে প্রেরণ করলেন বিশ্ববাসিকে রক্ষা করার জন্য। আজ আমরা মসিহের প্রাণের দামে ক্রিত। তিনি যদি নিজের প্রাণের দামে আমাদের গুনাহের কাফফারা শোধ না দিতেন তবে, গুনাহগার হিসেবে আমাদের জীবনভর শাস্তি পেতে হতো দোযখের প্রজ্জলিত আগুনে।
আলো থেকে বিচ্ছিন্নতা যেমন অন্ধকার, তদ্রুপ খোদার সান্ধিদ্ধ থেকে দূরে থাকা হলো অনন্ত দোযখ। খোদা হলেন নূর, যার মধ্যে কালিমা নেই, তাই যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সেই নূরের মধ্যে জীবন-যাপন করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি আছেন আলোকিত। খোদা হলেন অনন্তজীবি, মসিহ আপনাকে সেই অনন্তজীবি খোদার সাথে যুক্ত করে দিলেন, আপনার পাপের ইল্লত ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দিলেন স্বীয় পবিত্র রক্তে, ফলে আজ আপনি হলেন মুক্তপাপ, আর তা সম্ভব হয়েছে মসিহের দাতব্য কোরবানির ফলে।
মসিহের মধ্য দিয়ে আজ সকলকে পৌঁছাতে হবে খোদার দরবারে। মসিহ খোদার কাছ থেকে বর্তমানকার ধুলির ধরনিতে নেমে এসেছেন। কেবল ধুলিধুষরিত ব্যক্তিদের কুড়িয়ে নেবার জন্য, মুক্ত করার জন্য, স্বাধীন করা জন্য, যেন মুক্তপাপ সন্তানদের যে কেউ দেখবে, ঐশি জ্যোতির বিচ্ছুরণ তাদের চোখে গিয়ে পড়ে।
আয়না দিয়ে যখন সূর্যালোক প্রতিফলন ঘটানো হয় তখন উক্ত ব্যক্তি আয়নাটি আদৌ দেখতে পায় না, সে কেবল প্রতিফলিত সৌরালোকই দেখতে পায়। মসিহে নিবেদিত ব্যক্তিবর্গ তেমন পরিষ্কার আয়না, যারা অন্যের উপর মসিহের জ্যোতির ছটা প্রতিফলিত করবে। মসিহের স্বভাব চরিত্র নবজন্ম প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়বে, এ কারণেই মসিহ স্বীয় পুতপবিত্র রক্তের মুল্যে আমাদের ক্রয় করে নিলেন। ‘তোমরা আমাকে বেছে নাও নি, কিন্তু আমিই তোমাদের বেছে নিয়ে কাজে লাগিয়েছি যাতে তোমাদের জীবনে ফল ধরে আর তোমাদের জীবনে ফল ধরে আর তোমাদের সেই ফল যেন টিকে থাকে। তাহলে আমার নামে পিতার কাছে যা কিছু চাইবে তা তিনি তোমাদের দেবেন’ (ইউহোন্না ১৫ ঃ ১৬)।
আল্লাহ মালিক, নিজেই খোঁজ নিবেন তাঁর হারিয়ে যাওয়া মেষদের। খুঁজে বের করবেন ও তাদের দেখাশুনা করবেন, উপযুক্ত চরানিতে তাদের চরাবেন, বিগত ক্ষতগুলো বেধে দিবেন সুস্রসা করবেন, অতীতের ইল্লত ধুয়ে মুছে স্নাতশুভ্র করে তুলবেন, নিজের ক্রোড়ে তুলে আদর করবেন, যা সচারচর মেষের রাখালদের আদর করতে দেখা যায়। তিনি হলেন মেষের উত্তম রাখাল, তিনি ব্যতিত ভিন্ন কোনো রাখাল খুঁজে পেলেন না পতীত আদমকুলে।
বিষয়টি যদি রূপক হিসেবে দেখা যা, খোদা স্বীয় সুরতে আদমকে সৃষ্টি করলেন, অধিকার, ক্ষমতা, প্রজ্ঞা-ধার্মিকতা দিলেন অফুরান, কিন্তু আদম ভড়কে গেল অভিশপ্ত ইবলিসের চালবাজিতে। হারাতে হলো তাঁর মর্যাদা অধিকার আর তেমন অমর্যাদা কেবল তার মধ্যেই সীমিত রইলো না, সে অপমান তার পুত্র পৌত্রদের উপর পর্যন্ত গড়ালো।
যেমন সমাজে যদি কোনো লোক দুষ্কর্মে ধরা পড়ে, বিচারে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হয় এবং শাস্তি ঘটে তবে তার পুত্র পৌত্ররা পর্যন্ত অপমানিত হয়, সমাজে মুখ দেখানো তাদের জন্য দায় হয়ে বসে। প্রথম মানুষ আদম এবং তার সন্তানদের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটলো মানবজাতির যাত্রারম্ভে।
কালামপাকে যথার্থ লিখিত রয়েছে, সকলে পাপ করেছে এবং আল্লাহপাকের প্রশংসা পাবার অযোগ্য হযে পড়েছে। কিন্তু আল্লাহ বড়ই মেহেরবান, তাই তিনি মানুষের প্রতি দয়াপরবশ হলেন। মানুষের পাপের কাফফারা নিজেই শোধ দেবার ব্যবস্থা নিজেই করলেন। মানুষের পক্ষে যা কিছু অসাধ্য খোদার পক্ষে তা কোনো কঠিন বিসয় হতেই পারে না।
পৃথিবীতে এমন কোনো বস্তু বা ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া গেল না, যাকে দিয়ে পাপের প্রায়শ্চিত্ত শোধ দেয়া যেতে পারে। সকলেই গুনাহগার। আদম থেকে শুরু করে মানুষের কাতারে সর্বশেষ মানুষটি পর্যন্ত গুনাহে জর্জরিত। আর প্রেমিক খোদা এদের প্রতি হলেন করুণাবিষ্ট, তিনি ন্যায়বিচারক। লোভে পাপ আর পাপের বেতন মৃত্যু। পাপের শাস্তি তাদের নিতেই হবে। তিনি তো চুলচেড়া বিচার করেন। মানুষের পাপের শাস্তি তাদের পেতেই হবে, খোদা নিজেই এমন একটি মেষ সাবক প্রেরণ করলেন, বিশ্বের তাবৎ গুনাহগারদের গুনাহমুক্ত করার জন্য, উক্ত মেষটিকেই দিলেন কোরবানি, ফলে মানুষ হয়ে গেল গুনাহ মুক্ত। ‘মসিহ এসেছিলেন ভবিষ্যতের সব উন্নতির বিষয়ের মহা-ইমাম হয়ে। আরও মহৎ ও আরও ভালো এবাদত-তাম্বুতে আল্লাহর এবাদত-কাজ করবার জন্য তিনি এসেছিলেন। এই তাম্বু মানুষের হাতে তৈরি নয়, অর্থাৎ তা দুনিযার কোন জিনিস নয়। ছাগল ও বাছুরের রক্ত নিয়ে মসিহ সেই মহাপবিত্র স্থানে ঢোকেন নি। তিনি নিজের রক্ত নিয়ে একবারই সেখানে ঢুকেছিলেন। এভাবে তিনি চিরকালের জন্য গুনাহ থেকে মুক্তির উপায় করলেন। যারা নাপাক হত তাদের উপর ছাগল ও ষাঁড়ের রক্ত বা বাছুর-পোড়ানো ছাই ছিটানো হত; তাতে তাদের বাইরের শরীরটাই কেবল পাক-সাফ হয়ে পরিষ্কার হত। কিন্তু যিনি অনন্ত পাকরূহের মধ্য দিয়ে আল্লাহর কাছে নিজেকে নিখুঁত কোরবানী হিসাবে দান করলেন সেই ঈসার রক্ত আমাদের বিবেককে নিষ্ফল কাজকর্ম থেকে আরও কত না বেশি করে পাক-সাফ করবে, যাতে আমরা জীবন্ত আল্লাহর এবাদত করতে পারি’ (ইবরানী ৯ ঃ ১১-১৪)
খোদা নিজেই এমন ব্যবস্থা সম্পন্ন করলেন। কালামে তাই যথার্থ বর্ণীত রয়েছে, ‘খোদার রহমতে ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে আজ আমরা নাজাত পেলাম’ (ইফিষীয় ২ ঃ ৮-১০)। ‘এ নাজাত কোনো ব্যক্তির ধার্মিকতার দ্বারা অর্জিত হবার নয়, কেননা মানুষের ধার্মিকতা খোদার পবিত্রতার কাছে ছেড়া মলিন ন্যাকড়া তুল্য’ (ইশাইয়া ৬৪ ঃ ৬)।
যদিও আমরা দিকভ্রান্ত, কিন্তু আমাদের রয়েছে মেহেরবান মাবুদ, যিনি নিজের চেয়েও অধিক প্রেম করেন আমাদের। খোদা মানুষকে এতই প্রেম করলেন যে, তিনি তার একমাত্র পুত্রকে প্রেরণ করলেন বিশ্ববাসিকে রক্ষা করার জন্য। আজ আমরা মসিহের প্রাণের দামে ক্রিত। তিনি যদি নিজের প্রাণের দামে আমাদের গুনাহের কাফফারা শোধ না দিতেন তবে, গুনাহগার হিসেবে আমাদের জীবনভর শাস্তি পেতে হতো দোযখের প্রজ্জলিত আগুনে।
আলো থেকে বিচ্ছিন্নতা যেমন অন্ধকার, তদ্রুপ খোদার সান্ধিদ্ধ থেকে দূরে থাকা হলো অনন্ত দোযখ। খোদা হলেন নূর, যার মধ্যে কালিমা নেই, তাই যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সেই নূরের মধ্যে জীবন-যাপন করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি আছেন আলোকিত। খোদা হলেন অনন্তজীবি, মসিহ আপনাকে সেই অনন্তজীবি খোদার সাথে যুক্ত করে দিলেন, আপনার পাপের ইল্লত ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দিলেন স্বীয় পবিত্র রক্তে, ফলে আজ আপনি হলেন মুক্তপাপ, আর তা সম্ভব হয়েছে মসিহের দাতব্য কোরবানির ফলে।
মসিহের মধ্য দিয়ে আজ সকলকে পৌঁছাতে হবে খোদার দরবারে। মসিহ খোদার কাছ থেকে বর্তমানকার ধুলির ধরনিতে নেমে এসেছেন। কেবল ধুলিধুষরিত ব্যক্তিদের কুড়িয়ে নেবার জন্য, মুক্ত করার জন্য, স্বাধীন করা জন্য, যেন মুক্তপাপ সন্তানদের যে কেউ দেখবে, ঐশি জ্যোতির বিচ্ছুরণ তাদের চোখে গিয়ে পড়ে।
আয়না দিয়ে যখন সূর্যালোক প্রতিফলন ঘটানো হয় তখন উক্ত ব্যক্তি আয়নাটি আদৌ দেখতে পায় না, সে কেবল প্রতিফলিত সৌরালোকই দেখতে পায়। মসিহে নিবেদিত ব্যক্তিবর্গ তেমন পরিষ্কার আয়না, যারা অন্যের উপর মসিহের জ্যোতির ছটা প্রতিফলিত করবে। মসিহের স্বভাব চরিত্র নবজন্ম প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়বে, এ কারণেই মসিহ স্বীয় পুতপবিত্র রক্তের মুল্যে আমাদের ক্রয় করে নিলেন। ‘তোমরা আমাকে বেছে নাও নি, কিন্তু আমিই তোমাদের বেছে নিয়ে কাজে লাগিয়েছি যাতে তোমাদের জীবনে ফল ধরে আর তোমাদের জীবনে ফল ধরে আর তোমাদের সেই ফল যেন টিকে থাকে। তাহলে আমার নামে পিতার কাছে যা কিছু চাইবে তা তিনি তোমাদের দেবেন’ (ইউহোন্না ১৫ ঃ ১৬)।