সত্যিই (ইশাইয়া ১ ঃ ১৮) আলাপ আলোচনার ফলে সর্বপ্রকার সমস্যার হয় সমাধান। মুখের কথায় সাপের বিষ পর্যন্ত নেমে যায় (পয়দায়েশ ১ ঃ ৩) মুখের কথায় গোটাবিশ্ব হয়েছে নির্মিত। মহান আল্লাহপাক বললেন, ‘হও’ অমনি হয়ে গেল। তিনি তো (ইউহোন্না ১ ঃ ১) কালাম, নিজেও কালাম আর কালাম মানবরূপে নেমে আসলেন পতিত ভূপৃষ্টে। মানুষের প্রতি অতটা প্রেম প্রকাশ করার জন্যই তিনি মানুষের মধ্যে বসবাস করলেন, বুঝতে পারলেন, কতটা (মথি ৯ ঃ ৩৬) অসহায় হয়ে আছে আজ তারা।
যেমন ছোট্ট একটা দৃষ্টান্ত দেয়া চলে ছিটমহল বাসির জীবনের উপর বয়ে যাওয়া অবহেলা (জবুর ১২ ঃ ২, ইয়ারমিয়া ৯ ঃ ৬) প্রবঞ্চনা অমর্যাদার নিকেশ দিয়ে। তাদের কি দোষ ছিল, যে শিশুটি বিগত ৬৮ বৎসর পূর্বে কোনো এক দম্পতির মাধ্যমে জগতে আবির্ভূত হলো সম্পূর্ণ মানবাকারে? হলো ভূমিষ্ট যথাযথ, বৃদ্ধি পেল কলায় কলায় সুঠাম সুপুরুষ হিসেবে জন্ম লগ্নে সে তো জানতো না উক্ত এলাকাটি ঝুলে আছে সিদ্ধান্তহীনতায়, না ঘরকা না ঘাটকা, না বাংলাদেশের সাথে যুক্ত না ভারতের সাথে যুক্ত, আসলে তাকে তো বলাই হয় নি, তিনি ইতোপূর্বে এক অনন্ত খাতায় রয়েছেন লিপিবদ্ধ, স্বর্ণালি অক্ষরে, আর উক্ত খাতার মালিক খোদ মাবুদ, মহাবিশ্বের ধারক বাহক খোদা।
গোটাবিশ্ব আজ তাকে জানে, কতিপয় মানে আর সম্ভবত খুব অল্প সংখ্যক তার মৌলিক পরিচয় লাভ করার (কলসিয় ১ঃ ১৫) সুযোগ পেয়েছে। কথাটা বলছি এ কারণে তিনি হলেন (ইউহোন্না ৪ ঃ ২৪) রুহানি সত্তা, (ইব্রানি ১১ ঃ ২৭) যিনি বাতেনি, তাকে তো চর্মচোখে দর্শণ করা সম্ভব নয়! তাই তিনি নিজেকে মানুষের কাছে (ইউহোন্না ১ ঃ ১৪) মানবরূপে প্রকাশ করলেন বেগুনাহ মসিহ খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহের মাধ্যমে। তাই যে কেউ (ইউহোন্না ১৪ ঃ ৯) মসিহকে দেখার সুযোগ লাভ করেছে তিনিই সেই অপূর্ব অভাবিত সুযোগ পেয়েছে খোদাকে দর্শন করার।
কথা বলছিলাম ছিট মহলের প্রসংঙ্গে। কথাটা বলছি। ছিট মহলে যে সন্তানটি জন্ম নিয়েছে তার কোনো অপরাধ নেই, বরং তাকে (২ করিন্থীয় ৪ ঃ ৬, জাকারিয়া ১২ ঃ ৫) সুসভ্য সমাজে অন্তর্ভূক্ত করে দেয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব বর্তায় সমাজপতিদের উপর। এ দায়িত্ব তারা পালন করবে বলেই তাদের উক্ত পদে অভিষিক্ত থাকার আছে অধিকার। অন্ধকারে ডুবে থাকা ব্যক্তি গোটা জীবনই আধারে ডুবে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত আলোকবর্তিকা, আলোর মশাল হাতে নিয়ে কোনো আলোকিত ব্যক্তি তথা হাজির না হয়। আপনি যদি নিজেকে আলোকিত ব্যক্তি বলে মনে করেন তবে আপনার উপর অবশ্য দায়িত্ব রয়েছে আলোর ফোয়ারা নিয়ে তথায় হাজির হবার। খোদা তেমন কাজটিই করলেন জগতকে আলোকিত করার জন্য এক বিশাল আলোর দীপ সৃষ্টি করে দিলেন যার ফলে তা নিয়ত আলো বিকিরণ করে চলছে সেই সৃষ্টিলগ্ন থেকে।
গোটা আদম সন্তানদের ঐশি নূরের পরশে নূরানি বেগুনাহ করার জন্য তিনি আর (ইউহোন্না ১ ঃ ৫) একটি বিশেষ ব্যবস্থা প্রেরণ করলেন, আর তা হলো জীবন্ত জাগ্রত মসিহ যিনি হলেন খোদার জীবন্ত কালাম ও পাকরূহ মানবরূপে আগত নাজাতদাতা।
আজ থেকে ছিটমহলের অধিবাসিদের উপর থেকে ‘ছিট’ শব্দটি মুছে গেল। ঠিক এমন একটি লগ্ন এসেছে যখন মানুষকে (আদি ১ ঃ ২৭) মানুষ হিসেবে গণনা করা হবে, তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া বিভক্তি সূচক সবকটা ‘ছিট’ মুছে যাবে, যখন তারা আবার নতুনভাবে জন্মলাভ করবে; আর তা সম্ভব বিশ্বাসহেতু ঈসা মসিহের মধ্যে সমর্পণ করার ফলে, কালাম পাকে তাই যথার্থ বর্ণিত রয়েছে, যদি কেউ মসিহের উপর বিশ্বাস করলো, তাকে (তীমথিয় ২ ঃ ১১-১৪) মুক্তিদাতা হিসেবে বরণ করে নিল তখন তারা খোদার রহমতে (২করিন্থীয় ৫ ঃ ১৭) এক নতুন সৃষ্টিতে হয়ে গেলেন রূপান্তরিত। তাদের পুরাতন নাম আর থাকলো না, তাদের উপর থেকে সর্বপ্রকার ‘ছিট’ মুছে গেল, সর্বপ্রকার কলঙ্কের দাগ তিনি মুছে দিলেন। আজ তারা সকলে মানুষ, সবার উপরে মানুষ সত্য, মানুষের পরিচয়ের উপরে আর কোনো পরিচয় কার্যকর আছে বলে আমি মনে করি না।
(মথি ৭ ঃ ৭,৮) মানুষকে চিনতে হবে তার চিন্তা চেতনা, আচার আচরণে, মন-মানসিকতার মাধ্যমে, আসলে সে খোদার মন নিয়ে চলছে না অভিশপ্ত ইবলিসের আত্মার দ্বারা হচ্ছে পরিচালিত। আপনি কোন ভূখন্ডে বাস করেন তা আমার বিবেচ্য নয়, আমি জানতে চাই আপনি কোন আত্মার অধিকারি, কোন আত্মা আপনাকে করছে পরিচালনা, তা যদি খোদার আত্মা হয়ে থাকে তবে আপনি নমস্য, সন্দেহ নেই, আপনাকেই খুঁজছে গোটা বিশ্ব! আজ আমাদের জানতে হবে, মানতে হবে, গোটা বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত; সাধু আর অসাধু; ধলো আর কালো, আলো আর অন্ধকার, মানব রক্ষাকারি আর মানব বিধ্বংসী। খোদা হলেন আলোর প্রতিক, ন্যায়ের প্রতিক জীবনের প্রতিক, প্রেমের প্রতিক, আর অভিশপ্ত ইবলিস হলো তাঁর সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে। সুন্দর সৃষ্টি ধ্বংস করার জন্য নিয়ত কুটচাল চেলে চলছে উক্ত অভিশপ্ত ইবলিস।
ইবলিসের কাজের ফিরিস্তি দেবার চেয়ে পাকরূহের কার্যকলাপের বয়ান দেয়া উত্তম মনে করি, কেননা আজ আমরা নিয়ত ভুগে চলছি ইবলিসের দাগায়। গোটা বিশ্ব হলো ইবলিসের কারসাজিতে ভরা। মানুষ মানুষকে কচুকাটা করা কি পাকরূহের প্রেরণা না ইবলিসের ব্রত তা একবার ভেবে দেখুন। বিবদমান বিশ্বটাই হলো ইবলিসের কর্মকান্ডের প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
আর পাকরূহের জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হলেন খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহ, যিনি প্রেমের আতিসয্যে মানবরূপে পতিত বিশ্বে নেমে আসলেন, মানুষের কৃত পাপের কাফফারা পরিশোধ করার নিমিত্তে নিজের পূতপবিত্র রক্ত ঝরালেন। ফলে গোটা বিশ্ববাসি হয়ে গেল মুক্তপাপ, সম্পূর্ণ যোগ্য উত্তরাধিকারি খোদার সন্তান হবার।
মানুষের সাথে খোদার (পিতার) যে বিরোধ ছিল অর্থাৎ পূতপবিত্র খোদা আর নিয়ত গুনাহে পড়ে থাকে ক্লেদাক্ত ব্যক্তির মধ্যে যে বৈষম্য তা মসিহের পূতপবিত্র রক্তে স্নাতশুভ্র হবার কারণে আজ আমরা সকলেই হতে পেরেছি অবমুক্ত। তা কে কোন দেশের নাগরিক তার উপর আমাদের পূতপবিত্রতা নির্ভর করে না, যেমন শীতের দেশে আর গ্রীষ্মের খড়তাপে আপনি খোদার দান অযাচিত অক্সিজেনের প্রচুর পরিমানে পাবেন জীবন বাঁচাতে। স্থান কাল পাত্রের ফলে বৈশ্বিক সুযোগ সুবিধার হেরফের হতে পারে তাই বলে পাপ পূণ্যের মধ্যে কোনো পরিবর্তন ঘটার কথা নয়। গোটা বিশ্ব আদমের (আ.) জন্য নির্বাশিত স্থান, কালাপানি, আর সেই সুবাদে আমরা সকলে জৈবিক উত্তরাধিকার সুত্রে কালাপানির অধিকারী। এ প্রসঙ্গে অধিকারীদের কিছু বক্তব্য আছে কি?
যাক, আমরা পৃথিবীর মানুষ, স্বর্গের রূপ রং দেখার সুযোগ হয় নি আদমের বিতাড়িত হবার পর থেকে, নবী-রাসুল বলুন আর পীর-মুর্শেদ বলুন সকলেরই একই দশা। জন্ম সূত্রে সকলেই বিতাড়িত, আদমের সন্তান বৈ অন্য কিছু নয়; সকলেই আদমি।
অতিসহজেই গোটা বিশ্ব আমরা মাত্র দুটি ভাগে ভাগ করতে পারি; একটি হলো খোদার পক্ষে আর একটি হলো অভিশপ্ত ইবলিসের পক্ষে। তারপরে আপনি কতো হাজার উপভাগে ভাগ করবেন তা আমার বিষয় নয়। তবে বিপন্নদের জন্য চাই সমাজে অন্তর্ভূক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা। বিতরণ করার জন্য আপনাকে ঝর্ণাধারা হিসেবে ব্যবহার করতে চান মাবুদ নিজেই। নদী যেমন ঝর্ণাধারার চলমান জীবন যা দু’কুল শিক্ত করে, সুজলা-সুফলা করে নিজে গিয়ে মিলিত হয় মোহনায়, যথা থেকে আসলে তার জন্ম।
আমরা খোদার হাতে হয়েছি নির্মিত, অবশ্য তাঁরই সুরতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব করনার্থে, কথাটা ভুলে গেলে চলবে না। আমাদের দ্বারা ইবলিসের চালাকি বাস্তবায়ন করা আদৌ সম্ভব নয়। যেটুকু হয়েছে তা আমাদের পদস্খলন। তার জন্য আমরা কেবল ভুগেই চলছি না, এর কবল থেকে মুক্তি লাভের জন্য নিয়ত ত্রাহিভাব করছি। আজ আমরা অনুতপ্ত। চরম ঘৃণা করি ইবলিসের কারসাজি।
আমাদের জন্য অভাবিত সুযোগ এসেছে স্বয়ং খোদার কাছ থেকে, যা মাত্র একটিই উপায়; আমাদের দায়িত্ব; হয় বরণ করে পুনরায় মিলে যাবো পিতার ক্রোড়ে, নতুবা প্রত্যাখ্যান করে রয়ে যাবো যেই তিমীরে আজীবন থেকে আসছি সেখানেই অনন্ত আজাবে, অনন্ত অমানিশায়।
আমি নিশ্চিতভাবে জানি, মানুষের হাতে কোনো মাষুল নেই যা দিয়ে তারা নিজেদের জন্য নাজাত অর্জন করতে পারে, নাজাত হলো ঐশি দাতব্য দান, যা একমাত্র খোদার সম্পদ, খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহ বিশ্বের সকল মানুষের জন্য ক্রয় করে নিয়েছেন স্বীয় পূতপবিত্র রক্তের বিনিময়ে, আর তাঁর হৃদয় হলো আমাদের জন্য একমাত্র আশ্রয়স্থল। তিনি আমাদের অভয়বাণী দিয়েছেন যেন আমরা তাঁর দ্বিতীয় আগমন পর্যন্ত কষ্টে ক্লেষে অপেক্ষা করি অত্র ট্রানজিট ক্যাম্পে।
যেমন ছোট্ট একটা দৃষ্টান্ত দেয়া চলে ছিটমহল বাসির জীবনের উপর বয়ে যাওয়া অবহেলা (জবুর ১২ ঃ ২, ইয়ারমিয়া ৯ ঃ ৬) প্রবঞ্চনা অমর্যাদার নিকেশ দিয়ে। তাদের কি দোষ ছিল, যে শিশুটি বিগত ৬৮ বৎসর পূর্বে কোনো এক দম্পতির মাধ্যমে জগতে আবির্ভূত হলো সম্পূর্ণ মানবাকারে? হলো ভূমিষ্ট যথাযথ, বৃদ্ধি পেল কলায় কলায় সুঠাম সুপুরুষ হিসেবে জন্ম লগ্নে সে তো জানতো না উক্ত এলাকাটি ঝুলে আছে সিদ্ধান্তহীনতায়, না ঘরকা না ঘাটকা, না বাংলাদেশের সাথে যুক্ত না ভারতের সাথে যুক্ত, আসলে তাকে তো বলাই হয় নি, তিনি ইতোপূর্বে এক অনন্ত খাতায় রয়েছেন লিপিবদ্ধ, স্বর্ণালি অক্ষরে, আর উক্ত খাতার মালিক খোদ মাবুদ, মহাবিশ্বের ধারক বাহক খোদা।
গোটাবিশ্ব আজ তাকে জানে, কতিপয় মানে আর সম্ভবত খুব অল্প সংখ্যক তার মৌলিক পরিচয় লাভ করার (কলসিয় ১ঃ ১৫) সুযোগ পেয়েছে। কথাটা বলছি এ কারণে তিনি হলেন (ইউহোন্না ৪ ঃ ২৪) রুহানি সত্তা, (ইব্রানি ১১ ঃ ২৭) যিনি বাতেনি, তাকে তো চর্মচোখে দর্শণ করা সম্ভব নয়! তাই তিনি নিজেকে মানুষের কাছে (ইউহোন্না ১ ঃ ১৪) মানবরূপে প্রকাশ করলেন বেগুনাহ মসিহ খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহের মাধ্যমে। তাই যে কেউ (ইউহোন্না ১৪ ঃ ৯) মসিহকে দেখার সুযোগ লাভ করেছে তিনিই সেই অপূর্ব অভাবিত সুযোগ পেয়েছে খোদাকে দর্শন করার।
কথা বলছিলাম ছিট মহলের প্রসংঙ্গে। কথাটা বলছি। ছিট মহলে যে সন্তানটি জন্ম নিয়েছে তার কোনো অপরাধ নেই, বরং তাকে (২ করিন্থীয় ৪ ঃ ৬, জাকারিয়া ১২ ঃ ৫) সুসভ্য সমাজে অন্তর্ভূক্ত করে দেয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব বর্তায় সমাজপতিদের উপর। এ দায়িত্ব তারা পালন করবে বলেই তাদের উক্ত পদে অভিষিক্ত থাকার আছে অধিকার। অন্ধকারে ডুবে থাকা ব্যক্তি গোটা জীবনই আধারে ডুবে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত আলোকবর্তিকা, আলোর মশাল হাতে নিয়ে কোনো আলোকিত ব্যক্তি তথা হাজির না হয়। আপনি যদি নিজেকে আলোকিত ব্যক্তি বলে মনে করেন তবে আপনার উপর অবশ্য দায়িত্ব রয়েছে আলোর ফোয়ারা নিয়ে তথায় হাজির হবার। খোদা তেমন কাজটিই করলেন জগতকে আলোকিত করার জন্য এক বিশাল আলোর দীপ সৃষ্টি করে দিলেন যার ফলে তা নিয়ত আলো বিকিরণ করে চলছে সেই সৃষ্টিলগ্ন থেকে।
গোটা আদম সন্তানদের ঐশি নূরের পরশে নূরানি বেগুনাহ করার জন্য তিনি আর (ইউহোন্না ১ ঃ ৫) একটি বিশেষ ব্যবস্থা প্রেরণ করলেন, আর তা হলো জীবন্ত জাগ্রত মসিহ যিনি হলেন খোদার জীবন্ত কালাম ও পাকরূহ মানবরূপে আগত নাজাতদাতা।
আজ থেকে ছিটমহলের অধিবাসিদের উপর থেকে ‘ছিট’ শব্দটি মুছে গেল। ঠিক এমন একটি লগ্ন এসেছে যখন মানুষকে (আদি ১ ঃ ২৭) মানুষ হিসেবে গণনা করা হবে, তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া বিভক্তি সূচক সবকটা ‘ছিট’ মুছে যাবে, যখন তারা আবার নতুনভাবে জন্মলাভ করবে; আর তা সম্ভব বিশ্বাসহেতু ঈসা মসিহের মধ্যে সমর্পণ করার ফলে, কালাম পাকে তাই যথার্থ বর্ণিত রয়েছে, যদি কেউ মসিহের উপর বিশ্বাস করলো, তাকে (তীমথিয় ২ ঃ ১১-১৪) মুক্তিদাতা হিসেবে বরণ করে নিল তখন তারা খোদার রহমতে (২করিন্থীয় ৫ ঃ ১৭) এক নতুন সৃষ্টিতে হয়ে গেলেন রূপান্তরিত। তাদের পুরাতন নাম আর থাকলো না, তাদের উপর থেকে সর্বপ্রকার ‘ছিট’ মুছে গেল, সর্বপ্রকার কলঙ্কের দাগ তিনি মুছে দিলেন। আজ তারা সকলে মানুষ, সবার উপরে মানুষ সত্য, মানুষের পরিচয়ের উপরে আর কোনো পরিচয় কার্যকর আছে বলে আমি মনে করি না।
(মথি ৭ ঃ ৭,৮) মানুষকে চিনতে হবে তার চিন্তা চেতনা, আচার আচরণে, মন-মানসিকতার মাধ্যমে, আসলে সে খোদার মন নিয়ে চলছে না অভিশপ্ত ইবলিসের আত্মার দ্বারা হচ্ছে পরিচালিত। আপনি কোন ভূখন্ডে বাস করেন তা আমার বিবেচ্য নয়, আমি জানতে চাই আপনি কোন আত্মার অধিকারি, কোন আত্মা আপনাকে করছে পরিচালনা, তা যদি খোদার আত্মা হয়ে থাকে তবে আপনি নমস্য, সন্দেহ নেই, আপনাকেই খুঁজছে গোটা বিশ্ব! আজ আমাদের জানতে হবে, মানতে হবে, গোটা বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত; সাধু আর অসাধু; ধলো আর কালো, আলো আর অন্ধকার, মানব রক্ষাকারি আর মানব বিধ্বংসী। খোদা হলেন আলোর প্রতিক, ন্যায়ের প্রতিক জীবনের প্রতিক, প্রেমের প্রতিক, আর অভিশপ্ত ইবলিস হলো তাঁর সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে। সুন্দর সৃষ্টি ধ্বংস করার জন্য নিয়ত কুটচাল চেলে চলছে উক্ত অভিশপ্ত ইবলিস।
ইবলিসের কাজের ফিরিস্তি দেবার চেয়ে পাকরূহের কার্যকলাপের বয়ান দেয়া উত্তম মনে করি, কেননা আজ আমরা নিয়ত ভুগে চলছি ইবলিসের দাগায়। গোটা বিশ্ব হলো ইবলিসের কারসাজিতে ভরা। মানুষ মানুষকে কচুকাটা করা কি পাকরূহের প্রেরণা না ইবলিসের ব্রত তা একবার ভেবে দেখুন। বিবদমান বিশ্বটাই হলো ইবলিসের কর্মকান্ডের প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
আর পাকরূহের জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হলেন খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহ, যিনি প্রেমের আতিসয্যে মানবরূপে পতিত বিশ্বে নেমে আসলেন, মানুষের কৃত পাপের কাফফারা পরিশোধ করার নিমিত্তে নিজের পূতপবিত্র রক্ত ঝরালেন। ফলে গোটা বিশ্ববাসি হয়ে গেল মুক্তপাপ, সম্পূর্ণ যোগ্য উত্তরাধিকারি খোদার সন্তান হবার।
মানুষের সাথে খোদার (পিতার) যে বিরোধ ছিল অর্থাৎ পূতপবিত্র খোদা আর নিয়ত গুনাহে পড়ে থাকে ক্লেদাক্ত ব্যক্তির মধ্যে যে বৈষম্য তা মসিহের পূতপবিত্র রক্তে স্নাতশুভ্র হবার কারণে আজ আমরা সকলেই হতে পেরেছি অবমুক্ত। তা কে কোন দেশের নাগরিক তার উপর আমাদের পূতপবিত্রতা নির্ভর করে না, যেমন শীতের দেশে আর গ্রীষ্মের খড়তাপে আপনি খোদার দান অযাচিত অক্সিজেনের প্রচুর পরিমানে পাবেন জীবন বাঁচাতে। স্থান কাল পাত্রের ফলে বৈশ্বিক সুযোগ সুবিধার হেরফের হতে পারে তাই বলে পাপ পূণ্যের মধ্যে কোনো পরিবর্তন ঘটার কথা নয়। গোটা বিশ্ব আদমের (আ.) জন্য নির্বাশিত স্থান, কালাপানি, আর সেই সুবাদে আমরা সকলে জৈবিক উত্তরাধিকার সুত্রে কালাপানির অধিকারী। এ প্রসঙ্গে অধিকারীদের কিছু বক্তব্য আছে কি?
যাক, আমরা পৃথিবীর মানুষ, স্বর্গের রূপ রং দেখার সুযোগ হয় নি আদমের বিতাড়িত হবার পর থেকে, নবী-রাসুল বলুন আর পীর-মুর্শেদ বলুন সকলেরই একই দশা। জন্ম সূত্রে সকলেই বিতাড়িত, আদমের সন্তান বৈ অন্য কিছু নয়; সকলেই আদমি।
অতিসহজেই গোটা বিশ্ব আমরা মাত্র দুটি ভাগে ভাগ করতে পারি; একটি হলো খোদার পক্ষে আর একটি হলো অভিশপ্ত ইবলিসের পক্ষে। তারপরে আপনি কতো হাজার উপভাগে ভাগ করবেন তা আমার বিষয় নয়। তবে বিপন্নদের জন্য চাই সমাজে অন্তর্ভূক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা। বিতরণ করার জন্য আপনাকে ঝর্ণাধারা হিসেবে ব্যবহার করতে চান মাবুদ নিজেই। নদী যেমন ঝর্ণাধারার চলমান জীবন যা দু’কুল শিক্ত করে, সুজলা-সুফলা করে নিজে গিয়ে মিলিত হয় মোহনায়, যথা থেকে আসলে তার জন্ম।
আমরা খোদার হাতে হয়েছি নির্মিত, অবশ্য তাঁরই সুরতে তাঁর প্রতিনিধিত্ব করনার্থে, কথাটা ভুলে গেলে চলবে না। আমাদের দ্বারা ইবলিসের চালাকি বাস্তবায়ন করা আদৌ সম্ভব নয়। যেটুকু হয়েছে তা আমাদের পদস্খলন। তার জন্য আমরা কেবল ভুগেই চলছি না, এর কবল থেকে মুক্তি লাভের জন্য নিয়ত ত্রাহিভাব করছি। আজ আমরা অনুতপ্ত। চরম ঘৃণা করি ইবলিসের কারসাজি।
আমাদের জন্য অভাবিত সুযোগ এসেছে স্বয়ং খোদার কাছ থেকে, যা মাত্র একটিই উপায়; আমাদের দায়িত্ব; হয় বরণ করে পুনরায় মিলে যাবো পিতার ক্রোড়ে, নতুবা প্রত্যাখ্যান করে রয়ে যাবো যেই তিমীরে আজীবন থেকে আসছি সেখানেই অনন্ত আজাবে, অনন্ত অমানিশায়।
আমি নিশ্চিতভাবে জানি, মানুষের হাতে কোনো মাষুল নেই যা দিয়ে তারা নিজেদের জন্য নাজাত অর্জন করতে পারে, নাজাত হলো ঐশি দাতব্য দান, যা একমাত্র খোদার সম্পদ, খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহ বিশ্বের সকল মানুষের জন্য ক্রয় করে নিয়েছেন স্বীয় পূতপবিত্র রক্তের বিনিময়ে, আর তাঁর হৃদয় হলো আমাদের জন্য একমাত্র আশ্রয়স্থল। তিনি আমাদের অভয়বাণী দিয়েছেন যেন আমরা তাঁর দ্বিতীয় আগমন পর্যন্ত কষ্টে ক্লেষে অপেক্ষা করি অত্র ট্রানজিট ক্যাম্পে।