সৃষ্টির রহস্য যদিও আমাদের নাগালের মধ্যে সাজিয়ে রেখেছেন প্রেমাকর স্রষ্টা মাবুদ মাওলা, তা আমাদরে চোখ বন্ধ করে রাখা উচিত হবে না। তিনি নিয়ত আমাদের আহ্বান জানিয়ে ফিরছেন এবং দিবানিশি, যেমন বখে যাওয়া সন্তানের প্রতি পিতার হৃদয় সদা রাখেন জাগ্রত।
একটি দৃষ্টান্ত রাখতে চাই, সাগরের এক ধরণের বাইন মাছ রয়েছে ওদের ক্ষমতা রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার, আর তা ৬০০ ভোল্টেজ পর্যন্ত উৎপন্ন করে থাকে। সচরাচর আমাদের বাসা-বাড়িতে ২৪০ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকি। উক্ত মাছ একদিকে আত্মরক্ষার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, আর শিকার ধরার জন্যও তা ব্যবহার করে।
আপনি কি জানেন উক্ত মাছ সৃষ্টির প্রথম থেকে সাগর মহাসগরে রাজত্ব করে আসছে, অথচ বিদ্যুতের সাথে যিনি আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তিনিই সম্মানিত বিজ্ঞানী গ্যালভনি, জন্ম হয়েছে (১৭৮০) সালে। এমনিভাবে আমরা অনেক কিছু জানিনা, উপরন্তু, কালেভদ্রে প্রত্যক্ষ করার পরও মনেপ্রাণে মেনে নিতে থাকি সন্দিহান। সূর্যের বিশালতা নিয়ে আমাদের ক্ষুদে জ্ঞানে জন্ম নিয়েছে অপ্রকাশ্য প্রহেলিকা। গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে গবেষণা চলছে নিত্যদিন, আমাদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে সৌরকিরণ উপভোগ করতে হচ্ছে, যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরের বিষয়। ভূমিষ্ট হয়ে শিশু স্বীয় মা-বাবাকে চিন্তে পারে না। তা বুঝতে পরুক বা না পারুক, মা-বাবা শিশুর প্রতি যত্ন আদরে ত্রুটি রাখে কি?
বিশ্ব চরাচরের মালিক স্বীয় সৃষ্টির প্রতি রয়েছেন যত্নশীল; যদিও তিনি অব্যয় অক্ষয় অনন্তজীবি এক রুহানি সত্ত্বা, প্রেম, সহমর্মীতা, ত্যাগ ও ক্ষমাধণে হলেন পরিপূর্ণ। মানুষের শিশুসুলভ আচরণে তাঁর এমন কি এসে যায়? মানুষ যখন তার কাছ থেকে সরে যায় তখন তারাই হয়ে পড়ে বিপন্ন। তাঁকে অস্বীকার করার বিপাদ যে কতটা মারাত্মক তা বিতাড়িত হবার পরে আদম হাওয়ার আর্তচীৎকার শুনে কতকটা অনুমান করা চলে। তা আমাদের অবস্থা কম কিসে? মারাত্মক বিষয় শরীরে প্রবেশ করার পরবর্তী অবস্থা কেবল অশান্তি আর অশান্তি। যে কোনো মূল্যে চাই বিষের কবল থেকে সম্পূর্ণ মুক্তিলাভ। খোদার বিরুদ্ধে দ্রোহ হলো একটি মারাত্মক পাপ। চাই পাপের কবল থেকে অবমুক্তি। শরীরের শোণিত ধারা শিরার মধ্যে নিয়ত থাকে বহমান। দোষিত রক্তপ্রবাহ পরিবর্তন করে হেথা স্থাপন করতে হবে সম্পূর্ণ পূত পবিত্র রক্তপ্রবাহ। খোদা নিজেই সে ওয়াদা দিয়েছেন আমাদের মধ্যে আমূল পরিবর্তন এনে দিবেন বলে। আমি তোমাদের ভিতরে নতুন দিল ও নতুন মন দেব; আমি তোমাদের কঠিন দিল দূর করে নরম দিল দেব” (যিহিষ্কেল ৩৬ অধ্যায় ২৬পদ)।
আমাদের জন্মের পূর্বেই তিনি তাঁর অনুপ্রাণীত কালামপাকে আমাদের জীবনের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করে রেখেছেন। যেমন আদমের পতনের সাথে সাথে গোটা আদম বংশের মুক্তির বিষয় ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন; একটি বিশেষ পুত্র, পূর্ণ ক্ষমতাধর, সম্পূর্ণ পাক-পবিত্র, ঐশি প্রাধিকার প্রাপ্ত, নিবেদিত প্রাণ, ক্ষমা ও প্রেমের অথৈ পারাবার, যার মধ্যে ডুব দিয়ে সকল জ্বালার হাত থেকে পাবে সকলে মুক্তি, স্বাধীনতা, অনন্তজীবন ও পিতার সাথে পুর্ণমিলন।
আমাদের অবশ্যই কালামপাক নিয়মিত অধ্যয়ন করতে হবে অজানা বাস্তবতা জানার ও মানার জন্য। অবশ্যই মাতৃভাষায় তা পাঠ করতে হবে। ভিন ভাষায় পঠন ও শ্রবণ করা হবে পন্ডশ্রম মাত্র।
গুনাহগার মানুষের পক্ষে সাধন করা যা ছিল সম্পূর্ণ অসম্ভব, খোদার কুদরতে ও বিশেষ রহমতে ঐশি তনয় আমাদের জন্য তা পূর্ণতা দিলেন স্বীয় প্রাণের কোরবানি প্রদানের মাধ্যমে। গোটা বিশ্বের পাপের কাফফারা সাধনকারী কোরবানিকৃত মেষ হলেন খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহ, যিনি হলেন খোদার জীবন্ত ও কর্মক্ষম পাকরূহ ও পাককালাম, খোদার কুদরতে কুমারী মরিয়মের জঠর থেকে মানবরূপে ধরাপৃষ্টে হলেন আবির্ভূত। যার নাম হলো ইম্মানুয়েল, অর্থাৎ মানবের মধ্যে খোদার আগমন। কালামপাকে বিষয়টি এভাবে বর্ণীত রয়েছে: কাজেই দীন-দুনিয়ার মালিক নিজেই তোমাদের কাছে একটা চিহ্ন দেখাবেন। তা হলে, একজন অবিবাহিতা সতী মেয়ে গর্ভবতী হবে, আর তাঁর একটি ছেলে হবে; তাঁর নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল” (ইশাইয়া ৭ অধ্যায় ১৪পদ)।
পাপের প্রায়শ্চিত্ত পরিশোধ করার জন্য গুনাহগার ব্যক্তি নিজের পরিবর্তে একটি নিখুঁত কোরবানি দিয়ে থাকে, কোরবানিকৃত পশুটি হলো উক্ত ব্যক্তির বিকল্প; ঠিক একইভাবে গুনাহগার বিশ্ববাসির পাপের কোরবানি দিলেন বেগুনাহ মসিহ নিজের প্রাণের বিনিময়ে; যারাই উক্ত কোরবানিতে বিশ্বাস স্থাপন করলেন, আজ তারা হতে পারলেন পাপমুক্ত। মসিহ যাদের স্বাধীন করেছেন তারাই হলো পাপ ও ইবলিসের কবল থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। একটি প্রদীপ্ত মোম তার চারতরফ যেমন আলোর বলয় সৃষ্টি করে চলে ঠিক একইভাবে মসিহে নিবেদিত মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি সত্য-সুন্দরের আবহ তৈরী করে চলে তার সংস্পর্শে আগত প্রত্যেকতকটি লোকের জন্য।
মসিহ তাই প্রত্যয়ের সাথে বলেছেন, “যারা ঈমান আনে তাদের মধ্যে এই চিহ্নগুলো দেখা যাবে, আমার নামে তারা ভুত ছাড়াবে, তারা নতুন নতুন ভাষায় কথা বলবে, তারা হাতে ধরে সাপ তুলে ধরবে, যদি তারা ভীষণ বিষাক্ত কিছু খায় তবে তাদের কোনো ক্ষতি হবে না, আর তারা রোগীদের গায়ে হাত দিলে রোগীরা ভাল হবে” (মার্ক ১৬ অধ্যায় ১৭ থেকে ১৮পদ)।
একটি দৃষ্টান্ত রাখতে চাই, সাগরের এক ধরণের বাইন মাছ রয়েছে ওদের ক্ষমতা রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার, আর তা ৬০০ ভোল্টেজ পর্যন্ত উৎপন্ন করে থাকে। সচরাচর আমাদের বাসা-বাড়িতে ২৪০ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকি। উক্ত মাছ একদিকে আত্মরক্ষার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, আর শিকার ধরার জন্যও তা ব্যবহার করে।
আপনি কি জানেন উক্ত মাছ সৃষ্টির প্রথম থেকে সাগর মহাসগরে রাজত্ব করে আসছে, অথচ বিদ্যুতের সাথে যিনি আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তিনিই সম্মানিত বিজ্ঞানী গ্যালভনি, জন্ম হয়েছে (১৭৮০) সালে। এমনিভাবে আমরা অনেক কিছু জানিনা, উপরন্তু, কালেভদ্রে প্রত্যক্ষ করার পরও মনেপ্রাণে মেনে নিতে থাকি সন্দিহান। সূর্যের বিশালতা নিয়ে আমাদের ক্ষুদে জ্ঞানে জন্ম নিয়েছে অপ্রকাশ্য প্রহেলিকা। গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে গবেষণা চলছে নিত্যদিন, আমাদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে সৌরকিরণ উপভোগ করতে হচ্ছে, যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরের বিষয়। ভূমিষ্ট হয়ে শিশু স্বীয় মা-বাবাকে চিন্তে পারে না। তা বুঝতে পরুক বা না পারুক, মা-বাবা শিশুর প্রতি যত্ন আদরে ত্রুটি রাখে কি?
বিশ্ব চরাচরের মালিক স্বীয় সৃষ্টির প্রতি রয়েছেন যত্নশীল; যদিও তিনি অব্যয় অক্ষয় অনন্তজীবি এক রুহানি সত্ত্বা, প্রেম, সহমর্মীতা, ত্যাগ ও ক্ষমাধণে হলেন পরিপূর্ণ। মানুষের শিশুসুলভ আচরণে তাঁর এমন কি এসে যায়? মানুষ যখন তার কাছ থেকে সরে যায় তখন তারাই হয়ে পড়ে বিপন্ন। তাঁকে অস্বীকার করার বিপাদ যে কতটা মারাত্মক তা বিতাড়িত হবার পরে আদম হাওয়ার আর্তচীৎকার শুনে কতকটা অনুমান করা চলে। তা আমাদের অবস্থা কম কিসে? মারাত্মক বিষয় শরীরে প্রবেশ করার পরবর্তী অবস্থা কেবল অশান্তি আর অশান্তি। যে কোনো মূল্যে চাই বিষের কবল থেকে সম্পূর্ণ মুক্তিলাভ। খোদার বিরুদ্ধে দ্রোহ হলো একটি মারাত্মক পাপ। চাই পাপের কবল থেকে অবমুক্তি। শরীরের শোণিত ধারা শিরার মধ্যে নিয়ত থাকে বহমান। দোষিত রক্তপ্রবাহ পরিবর্তন করে হেথা স্থাপন করতে হবে সম্পূর্ণ পূত পবিত্র রক্তপ্রবাহ। খোদা নিজেই সে ওয়াদা দিয়েছেন আমাদের মধ্যে আমূল পরিবর্তন এনে দিবেন বলে। আমি তোমাদের ভিতরে নতুন দিল ও নতুন মন দেব; আমি তোমাদের কঠিন দিল দূর করে নরম দিল দেব” (যিহিষ্কেল ৩৬ অধ্যায় ২৬পদ)।
আমাদের জন্মের পূর্বেই তিনি তাঁর অনুপ্রাণীত কালামপাকে আমাদের জীবনের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করে রেখেছেন। যেমন আদমের পতনের সাথে সাথে গোটা আদম বংশের মুক্তির বিষয় ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন; একটি বিশেষ পুত্র, পূর্ণ ক্ষমতাধর, সম্পূর্ণ পাক-পবিত্র, ঐশি প্রাধিকার প্রাপ্ত, নিবেদিত প্রাণ, ক্ষমা ও প্রেমের অথৈ পারাবার, যার মধ্যে ডুব দিয়ে সকল জ্বালার হাত থেকে পাবে সকলে মুক্তি, স্বাধীনতা, অনন্তজীবন ও পিতার সাথে পুর্ণমিলন।
আমাদের অবশ্যই কালামপাক নিয়মিত অধ্যয়ন করতে হবে অজানা বাস্তবতা জানার ও মানার জন্য। অবশ্যই মাতৃভাষায় তা পাঠ করতে হবে। ভিন ভাষায় পঠন ও শ্রবণ করা হবে পন্ডশ্রম মাত্র।
গুনাহগার মানুষের পক্ষে সাধন করা যা ছিল সম্পূর্ণ অসম্ভব, খোদার কুদরতে ও বিশেষ রহমতে ঐশি তনয় আমাদের জন্য তা পূর্ণতা দিলেন স্বীয় প্রাণের কোরবানি প্রদানের মাধ্যমে। গোটা বিশ্বের পাপের কাফফারা সাধনকারী কোরবানিকৃত মেষ হলেন খোদাবন্দ হযরত ঈসা মসিহ, যিনি হলেন খোদার জীবন্ত ও কর্মক্ষম পাকরূহ ও পাককালাম, খোদার কুদরতে কুমারী মরিয়মের জঠর থেকে মানবরূপে ধরাপৃষ্টে হলেন আবির্ভূত। যার নাম হলো ইম্মানুয়েল, অর্থাৎ মানবের মধ্যে খোদার আগমন। কালামপাকে বিষয়টি এভাবে বর্ণীত রয়েছে: কাজেই দীন-দুনিয়ার মালিক নিজেই তোমাদের কাছে একটা চিহ্ন দেখাবেন। তা হলে, একজন অবিবাহিতা সতী মেয়ে গর্ভবতী হবে, আর তাঁর একটি ছেলে হবে; তাঁর নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল” (ইশাইয়া ৭ অধ্যায় ১৪পদ)।
পাপের প্রায়শ্চিত্ত পরিশোধ করার জন্য গুনাহগার ব্যক্তি নিজের পরিবর্তে একটি নিখুঁত কোরবানি দিয়ে থাকে, কোরবানিকৃত পশুটি হলো উক্ত ব্যক্তির বিকল্প; ঠিক একইভাবে গুনাহগার বিশ্ববাসির পাপের কোরবানি দিলেন বেগুনাহ মসিহ নিজের প্রাণের বিনিময়ে; যারাই উক্ত কোরবানিতে বিশ্বাস স্থাপন করলেন, আজ তারা হতে পারলেন পাপমুক্ত। মসিহ যাদের স্বাধীন করেছেন তারাই হলো পাপ ও ইবলিসের কবল থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। একটি প্রদীপ্ত মোম তার চারতরফ যেমন আলোর বলয় সৃষ্টি করে চলে ঠিক একইভাবে মসিহে নিবেদিত মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি সত্য-সুন্দরের আবহ তৈরী করে চলে তার সংস্পর্শে আগত প্রত্যেকতকটি লোকের জন্য।
মসিহ তাই প্রত্যয়ের সাথে বলেছেন, “যারা ঈমান আনে তাদের মধ্যে এই চিহ্নগুলো দেখা যাবে, আমার নামে তারা ভুত ছাড়াবে, তারা নতুন নতুন ভাষায় কথা বলবে, তারা হাতে ধরে সাপ তুলে ধরবে, যদি তারা ভীষণ বিষাক্ত কিছু খায় তবে তাদের কোনো ক্ষতি হবে না, আর তারা রোগীদের গায়ে হাত দিলে রোগীরা ভাল হবে” (মার্ক ১৬ অধ্যায় ১৭ থেকে ১৮পদ)।